মাননীয়,

বিএনিপি’র কেন্দ্রীয় নেতা, সাবেক মন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমেদ সমীপে,

শ্রদ্ধেয় সালাহ উদ্দিন ভাইজানরে ,

 গরম গরম কথার শুরুতে আমার লাখ কোটি সালাম জানিবেন। আশা করি, আল্লাহ মালিকের অপার মহিমায় ভালো থাকিয়া নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে নানান ফর্মূলা তৈরী ও বাস্তবায়ন করিয়া ভালোই আছেন। আমিও গ্রাম বাংলার চট্টগ্রাম শহরে থাকিয়া দেশের ভবিষ্যতের কথা ভাবিয়া ভাবিয়াই নানান রকম চিন্তা করিয়া ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্ছার মতো খাইয়া না খাইয়া বাঁচিয়া আছি।

  গেলবার সাবেক মন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী সমীপে গরম কথা লিখিবার সময় এইবার আপনার সমীপে লিখিব বলিয়াছিলাম বলিয়াই আপনাকে লিখিতেছি বলিয়া রাগ করিবেন না বরং শত ব্যস্ততার মধ্যেও গরম কথাটুকু পড়িয়া দেখিবেন ও যাহা প্রয়োজন তাহা করিবেন আর ভুল হইলে নিজ গুণে মাফও করিয়া দিবেন।

সালাহ উদ্দিন ভাইজানরে,

   আপনি হইলেন,  এইদেশের একজন  অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ, সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ও কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।  বর্তমানে  বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বিএনপির মুখপাত্র হিসেবে কাজ করিতেছেন। আপনি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে আইনজীবী তালিকাভুক্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া অ্যাডভোকেট হিসাবে সনদ লাভ করিয়াছিলেন। ৭ম বিসিএস পরীক্ষায় ১৯৮৫ সালে অংশ নিয়া বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারে উত্তীর্ণ হইয়াছিলেন। ১৯৮৮ সালে  বিসিএস (প্রশাসন) চাকরিতেও  যোগদান করিয়াছিলেন। বগুড়া জেলা প্রশাসনে সিনিয়র সহকারী সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে ১৯৯১ সালে তৎকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া’র সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) হিসাবে যোগ দিয়াছিলেন। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে আপনি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি ও  ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সহ সফলতার সাথে আরো বিভিন্ন পদে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করিয়াছিলেন। ছাত্রদলের দায়িত্বে থাকাকালে স্বৈরাচারী সরকারের রোষানলে পড়ে গ্রেপ্তার হইয়া জেলেও ছিলেন অনেকবার।যাক, সেই সব কথা।

ভাইজানরে,

আপনি ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করিয়া কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হইয়াছেন। একটানা তিনবার কক্সবাজার-১ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হইয়া রেকর্ড সৃষ্টি করিয়াছেন। সপ্তম ও অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনি বিপুল ভোটের ব্যবধানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে পরাজিত করিয়াছেন। অষ্টম সংসদ নির্বাচনের পর চার দলীয় জোট দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া’র নেতৃত্বে সরকার গঠন করিলে আপনি ২০০১ সালের ১০ অক্টোবর মন্ত্রি পরিষদে যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী নিযুক্ত হন।

আপনিই একমাত্র রাজনীতিবিদ যিনি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হইয়া স্বাধীনতাত্তোর কক্সবাজার জেলা থেকে সর্ব প্রথম মন্ত্রী হইয়াছেন। শুনিয়াছি, ২০১৫ সালের ২৫ মার্চ ঢাকার উত্তরা থেকে আপনি অপহৃত হইয়াছিলেন এবং দুই মাস পরে অপহরণকারীরা আপনাকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং শহরে নিয়া মুক্ত করিয়া দেয়। ভারতের মেঘালয়ের সিলং শহরে নির্বাসিত থাকাবস্থায় আপনি বিএনপি’র সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হইয়াছেন । পরবর্তীতে ড. ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার আমলে ১১ আগস্ট ‘২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগ করিলে আপনি দেশে ফিরিয়া আসেন।

ভাইজানরে,

হালে, আমির খসরু  মাহমুদ চৌধুরী  ও আপনার জনপ্রিয়তা দেশ জুড়িয়া বিরাজ করিতেছে। চট্টগ্রামে খসরু ও কক্সবাজারে আপনার আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা রহিয়াছে। দুইজনেই বিএনপির অতি বিশ্বস্থ রাজনীতিবিদ।নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি লোকেরা খাইয়া না খাইয়া আপনার বদনাম করিতেছে।আপনি যখন তাহাদের জন্য বিএনপি’র দরজা খোলা আছে বলিলেন তখনই তাহারা বলিতেছে ৫ আগষ্টের পর ভারত থেকে দরজা খুলিয়া তাহারাই আপনাকে বাংলাদেশে আসিবার সুযোগ করিয়া দিয়াছেন। তাহা ছাড়া সবখানে সচেতন লোকেরা বলিতেছে আপনি নাকি ব্যাংক লুন্ঠনকারী এস আলমের লোক। এস আলম পরিবারের অনুপস্থিতে আপনার ছেলে এস আলমের ব্যবসা বাণিজ্য দেখা শুনা করিতেছে। বিষয়টি দেশবাসীকে সহজ ব্যাখ্যা দিয়া বুঝাইয়া দিবেন। নইলে তলে তলে আপনি বিতর্কের মুখে পড়িবেন। কথাটা আপনার অতি ভক্তরা বলিতেছে।

আজ আর না।আপনার মঙ্গল ও সুস্বাস্থ্য কামনায় ইতি আপনারই গ্রাম বাংলার অখ্যাত ঠান্ডা মিয়া।

গ্রন্থনা ম. আ. হ

তারিখ  ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আগামী সংখ্যায় জাতীয় নেতা তারেক জিয়া সমীপে ঠান্ডা মিয়ার গরম কথা ( ৩৪৯ ) সম্প্রচার করা হইবে।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ