২৭ এপ্রিল ২০২৪ / ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / দুপুর ২:০৫/ শনিবার
এপ্রিল ২৭, ২০২৪ ২:০৫ অপরাহ্ণ

জাগো মুসলমান

     

কায়সার আল মালেকী

দ্বীন-ইসলাম ও মাজহাব-মিল্লাতের ক্রান্তিলগ্নে আমরা অবস্থান করছি। যেকালে কুরআন ও সুন্নাহের বিপরীতমুখী কুসংস্কার কে আমরা ইসলামের মানদন্ড হিসেবে দাঁড় করিয়েছি। আলোচনা ব্যতিরেখে একদল মুসলিম; আরেকদল মুসলিসকে ঠাট্টাতামাসার পাত্র বানিয়েছি। এটি আমাদের জন্য অশোভনীয় সংকেত। যেসময় মানুষ, সকালে ঘর থেকে বের হচ্ছে ঈমানদার হয়ে; সন্ধ্যায় ঘরে ফিরছে বেঈমান হয়ে। এ প্রজন্ম পাশ্চাত্যের বেহায়াপনা কৃষ্টি-কালচার কে ফ্যাশন হিসেবে গ্রহণ করেছে। ইসলামের দর্শন কী? সুন্নতে নববী দ. কী? মুসলিম জাতির চারিত্রিক জীবন, সামাজিক জীবন, রাজনৈতিক জীবন, অর্থনৈতিক জীবন ও ধর্মীয় জীবন প্রণালী কেমন হওয়া দরকার তা আমরা ভুলে গেছি! এ সবের সঠিক রূপরেখা বর্তমান প্রজন্মের কাছে আলেমগণ উপস্থাপন করতে দিনদিন ব্যর্থ হচ্ছে দলীয় কোন্দল ও বিপরীদ মুখী আক্বিদা পোষণ করার কারণে। যার কারণে দিনদিন মুসলমান জাতির অধঃপতন দিকে ধাবিত হচ্ছে। দ্বীনের প্রকৃত পালনীয় ও করণীয় বিষয়াদি চর্চা না করে অতিরিক্ত বিষয় গুলোকে আমরা ইসলামের মুল প্রতিপাদ্য বিষয় বানিয়ে পেলেছি। ইসলামের ভাষ্যমতে, এক মুমিন আরেক মুমিনের শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মতন। কিন্তু আমরা এ দর্শন ভুলে গিয়ে নিজেদের মধ্যে কাদাছুড়াছুড়ি ও হিংসা-বিদ্বেষ ছড়াছড়িতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে, চীনের কয়েক স্থানে, বার্মার আরাকানে, ফিলিস্তিনের গাজায় ও হামাসে প্রতিদিন আমাদের ভাইবোন ও মা-বাবারা কুচক্রীমহলের নির্যাতনের স্বীকার হয়ে কেউ কুমারিত্ব হারাচ্ছে, কেউ বেদুইনের যৌনলিপ্সার স্বীকার হচ্ছে, কেউ ভাই-বোন, মা-!বাব হারাচ্ছে, কেউ ঘর-বাড়ী হারাচ্ছে, কেউ ক্ষুধার্ত হয়ে অমানবিক জীবনযাপন করছে, কেউ পঙ্গুত্ব বরণ করে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে । এ বীভৎস চিত্র আমাদের চোখে দৃশ্যমান হলেও আমরা না দেখার ভান করছি। সব নির্যাতনের আর্তনাতের আওয়াজে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে যাচ্ছে; অথচ আমাদের কানে এ আওয়াজ পৌঁছাচ্ছেনা। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ইসলাম, জিহাদের কথা আল্লাহ পাক বারবার কুরআন শরীফে বর্ণনা এসেছেন। কিন্তু আমরা এখনো আসহাবে কাহাফের মত আজব ঘুমে ঘুমিয়ে আছি। পীর-আউলিয়া ও প্রকৃত আলেমগণ আল্লাহর দ্বীনকে সমুন্নত রাখার জন্য নিজেদের জীবনকে উৎস্বর্গ করেছেন। আমরা বীরের জাতি। কিন্তু বর্তমানে আমরা ভীতুর জাতিতে পরিণত হয়েছি। এ দায়ভার আলেমের কাঁধে বর্তাবে। কারণ তাঁরা ইসলামের সঠিক বার্তা জাতির সামনে তুলে ধরতে পারেনি। আল্লাহর দ্বীনকে আল্লাহ হেফাজত করবেন কিন্তু আমাদের একত্রিত ও সংঘবদ্ধ হওয়া সময়ের দাবি। শায়খুল হাদিস, শহীদ আল্লামা শাহ্ আবদুল মালেক আল-কুতুবী রহ. বলেছিলেন, “অদূর ভবিষতে; বার্মার আরকান রাজ্য হতে আফগান পর্যন্ত ইসলামের বিজয়ের পতাকা পতপত করে ওড়বে। ভারত বিভিন্ন প্রদেশে বিভক্ত হয়ে খন্ড বিখন্ড হয়ে যাবে। বাংলাদেশে সর্বদলীয় ঐক্যজোট তথা ৩✘১২=৩৬ (ছত্রিশ) জন বিশিষ্ট সরকার গঠন হবে; তখনি এ দেশে শান্তি ফিরে আসবে।” আমাদের উচিত আল্লাহর ঘর বায়তুল মুকাদ্দাস; রক্ষায় ফিলিস্তিন ভাইদের সহযোগিতা করা। বাংলাদেশর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অসংখ্য আরকানী মুসলমানদের এ বাংলায় থাকার ব্যবস্থা করেছেন এবং সবসময় ফিলিস্তিন সরকারের পাশে থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। দোয়া করি, প্রধানমন্ত্রীর সাহায্যের হাত মুসলিমম বাসীর জন্য আরো সম্প্রসারিত হোক। আল্লাহ পাকের কাছে করজোরে ফরিয়াদ জানাই, হে আল্লাহ! আপনি আমাদের দ্বীনি ভাই-বোন কে কুচক্রীমহলের আগ্রাসন থেকে হেফাজত করুন। তাঁদের পাশে থেকে সহযোগিতা ও যোদ্ধ পরিচালনা করার তৌফিক দান করুন।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply