২৭ এপ্রিল ২০২৪ / ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ৭:০০/ শনিবার
এপ্রিল ২৭, ২০২৪ ৭:০০ পূর্বাহ্ণ

সুনামগঞ্জের অপ্রকৃতিস্থ মানুষের মুখে খাবার তুলে দিলেন ফজলে রাব্বী স্মরন

     

আল-হেলাল,সুনামগঞ্জ 
গ্রাম থেকে দারিদ্র্যতার কারণে শহরে সাহায্যের জন্য এসে বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বা বাসাবাড়ির বারান্দায়,বস্তিতে ও ফুটপাতে অবস্থান নেয়া অভুক্ত নারী পুরুষ ছাড়াও মানসিক ভারসাম্য হারানো লোকদের মুখে খাবার তুলে দিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফজলে রাব্বী স্মরণ। সুনামগঞ্জ পৌরসভার জামতলা আবাসিক এলাকার অজবিথী ১ নং বাসভবনের বাসিন্দা প্রয়াত সাংবাদিক রাজনীতিবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম গোলাম রব্বানী ও সাবেক এমপি এডভোকেট শামছুন নাহার বেগম শাহানা রব্বানীর একমাত্র পুত্র স্মরণ ।
জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারন সম্পাদক রিংকু চৌধুরী, সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাসুক আহমেদ, জেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সাজিদুর রহমান লিমন,কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি মীর্জা রাকিব সুমন,সাবেক সহ-সম্পাদক রাসেল মিয়া,সদস্য তারেক আহমদ,জেলা ছাত্রলীগ নেতা হৃদয় রহমান ও শাহ অনিকসহ আরো অনেককে সাথে নিয়ে তিনি গত ১২ দিন ধরে সুন্দরভাবে পরিচালনা করেছেন তার এই মানবিক কাজটি। রোববার রাত ১১টায় শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড,ওয়েজখালী,সুরমা মার্কেটসহ বিভিন্ন অলিগলি ঘুরে এই মানবিক কাজ পরিচালনা করেন তিনি। ভারসাম্যহীন লোকদেরকে খাদ্য সহায়তা প্রদানকালে শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে এসে গত একমাস ধরে একই কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী আরেক মানবতাবাদী শহরের তেঘরিয়া নিবাসী লাল মিয়ার সাথেও তার দেখা হয়। এ সময় লাল মিয়ার মাধ্যমে স্থানীয় আরেকজন মানসিক ভারসাম্যহীনের হাতে খাবার প্যাকেট ও পানির বোতল প্রদান করেন তিনি।

উল্লেখ্য করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউনভূক্ত সুনামগঞ্জের সব কিছুই এখন বন্ধ। যে কারণে সুনামগঞ্জে অবস্থান করা মানসিক ভারসাম্যহীন (অপ্রকৃতস্থ) মানুষ খাদ্য সঙ্কটে চরম মানবেতর জীবন-যাপন করছিল। যাদের ঠিকানা রাস্তায়, ব্রীজে,ফুটপাতে কিংবা গাছতলায়। এক সময় তাদের খাবার জুটত বিভিন্ন হোটেল- রেস্তুরা থেকে। কিন্তু সবকিছু বন্ধ হয়ে গেলে অসহায় মানুষগুলো ক্ষুধার জ্বালায় আরও কাহিল হয়ে ওঠে। ঠিক এমন সময় তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ফজলে রাব্বী স্মরণ।
খোজ নিয়ে জানা যায়, করোণা ভাইরাস পরিস্থিতিতে জেলা শহরে লকডাউন শুরু হলে প্রত্যেকদিন রাতে ভারসাম্যহীন (অপ্রকৃতিস্থ) মানুষদেরকে ১ বেলা খাবারের যোগান দিয়ে যাচ্ছেন স্মরন ও তাঁর বন্ধুরা। এ ছাড়া স্মরণের মাতা এডভোকেট শাহানা রব্বানী নিজ হাতে খাবার রান্না করে দিচ্ছেন প্রতিদিন। মানবতাবাদী ফজলে রাব্বী স্মরণ জানান, সুনামগঞ্জ শহরের মানসিক ভারসাম্যহীন লোকগুলো কারও না কারও সন্তান। এ সমাজেরই মানুষ তারা। পৃথিবীতে তাদেরও অধিকার রয়েছে দু’বেলা-দু’মুঠো খাবার খেয়ে বেঁচে থাকার। এখন ওরা পেটপুরে খেতে পারছে। স্মরন ও তার
বন্ধুদের এমন মানবতার কর্ম দেখে নিত্যদিন কেউ না কেউ এগিয়ে আসছে ভারসাম্যহীন মানুষদের খাবার দিতে। সারা বিশ্বে করোনার আঘাতে মানবজাতি যখন দিশেহারা তখন বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। তাই মানবিক দিক বিবেচনায় এনে প্রান্তিক জেলা সদর সুনামগঞ্জে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আমরা তাদের মধ্যে খাবার বিলিয়ে দিচ্ছি। আমরা চাই আমাদের এ প্রচেষ্টায় সমাজের বিত্তবান মানুষরাও মানবতার রক্ষার তাগিদে ভূমিকা পালন করুক।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply