১৯ মার্চ ২০২৪ / ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / সকাল ১১:৩৬/ মঙ্গলবার
মার্চ ১৯, ২০২৪ ১১:৩৬ পূর্বাহ্ণ

অধিভুক্তি বাতিল আন্দোলনে ডাকসু সমর্থন দিলেও, তিলোত্তমার বাঁধা

     

 ঢাবি করেসপনডেন্ট

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের করা অবরোধে বাঁধা দিলেন ডাকসু ও সিনেট সদস্য তিলোত্তমা শিকদার। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) অবরোধ চলার এক পর্যায়ে এসে শিক্ষার্থীদের অবরোধ তুলে নেয়ার আদেশ দেন তিনি। সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১ টা থেকে টিএসসির চতুর্দিকের রাস্তাসহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও দোয়েল চত্বর অবরোধ করে রেখেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে দুপুর একটার দিকে সেখান থেকে সরে গিয়ে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় তারা। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, টিএসসিতে অবরোধ চলাকালীন দুপুর ১২ টার দিকে সুফিয়া কামাল হল থেকে রিকশা নিয়ে টিএসসিতে আসেন তিলোত্তমা শিকদার। টিএসসিতে এসে তিনি নিজ হাতে ব্যারিকেড সরিয়ে ফেলেন এবং আন্দোলনকারীদের অবরোধ তুলে নেয়ার জন্য শাসিয়ে যান।’ প্রত্যক্ষদর্শী কিছু শিক্ষার্থী জানান, তিলোত্তমা শিকদার ব্যারিকেড সরিয়ে দিলে আন্দোলনকারীদের সাথে তার বাদানুবাদ হয়। তখন তিলোত্তমা বলেন, সুফিয়া কামাল হল থেকে টিএসএসি পর্যন্ত আসতে তার ৪০ মিনিট সময় লেগেছে। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয় পত্র না দেখালে অবরোধকারী শিক্ষার্থীরা কোনো রিকশা ছেড়ে দিচ্ছেন না। তাই তিনি অবরোধ তুলে নিতে বলেন। উল্লেখ্য, চার দফা– যেকোনো মূল্যে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসা, দুই মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পরীক্ষার ফলাফল দেয়া, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সকল ধরণের বহিরাগত যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও রিকশা ভাড়া নির্ধারণ- বাস্তবায়নের দাবিতে গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টা থেকে দুইটা পর্যন্ত শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রেখেছিল আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পরে, দুপুর দুইটার দিকে ডাকসু সদস্য তানভির হাসান সৈকত আন্দোলনকারীদের সাথে একাত্মতা পোষণ করেন। ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, আন্দোলনকারীদের যৌক্তিক দাবির সাথে পুরো ডাকসু আছে। তখন, আজ বৃহস্পতিবার থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়ে অবরোধ স্থগিত করেছিলেন তারা।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply