৮ মে ২০২৪ / ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / দুপুর ১২:৩৩/ বুধবার
মে ৮, ২০২৪ ১২:৩৩ অপরাহ্ণ

অবক্ষয় যুব সমাজ দায়ী কে?

     

ইদানীং একটা নৈমত্তিক চিত্র আমাদের চোখে পরে গলির মুখে , রেস্তোরায় , ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে , বাসে , রাস্তার ফুটপাতে যেখানে আধুনিক ছেলে মেয়েরা একসাথে সিগারেট , গাজা , ইলেকট্রিক সিগারেট পান করছেন সংকোচনহীন ফ্রী স্টাইলে । তাদের চেহেরা আচার আচরন দেখে মনে হয় যেন নেশার কাতর তারা হয় ড্রাগ নয় যৌনতার। এমন চিত্র যদি আপনার চোখে না পরে থাকে তবে আপনি ভাগ্যবান কিন্ত বিধিবাম তখনি যখন সকালে আপনি বাচ্চা নিয়ে স্কুলে যাচ্ছেন বা ফিরছেন পথিমধ্যেই এই নেশাতুর কিশোর কিশোরদের ধোয়ায় এবং অশালিন বাক্য বিনিময়ের মাঝখানে পরে গেলেন আর আপনার ছোট শিশুটি আপনাকে প্রশ্ন করে বসল বাবা এই আপুরা কেন সিগারেট খায় । তাদের সবাই মা বারার অঢেল টাকায় তাদের ভাষায় দুনিয়ার দামী এবং স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে বড় বড় বিষয়ে অধ্যায়নরত আর হয়ত তাদের মা বাবার রাশি রাশি টাকা তাই হয়ত রুমের ভিতরে যে সংকৃতিটা গোপনে করা যেত তা তারা উম্মুক্ত করছে অন্যদের আকৃষ্ট করার তাগিদেই  । আমি ৪র্থ শ্রেনীতে পড়ার সময় সমবয়সী এক মামার সাথে পাটের খড়ি দিয়ে বিড়ি থেয়েছিলাম মাঝে মাঝে প্রাইভেট শিক্ষক এবং মামা বাবার সিগারেটের অবশিষ্ট অংশ খেয়ে বাঁশের কঞ্চির গরম ধোলাই থেয়েছিলাম এমন না যে জীবনে কখনো গাজা , মদ বা বিয়ারের বোতল  কেউ স্পর্শ করিনি তবে একটা সীমাবদ্ধতা ছিল । আমাদের ও মেয়ে বান্ধবী ছিল তবে তাদের সাথে মিশতে হয়েছিল শালীনতার মধ্যেই সেটা কিন্ত মা বাবার সামর্থের কারনে নয় সমাজ এবং পরিবারের প্রতি দ্বায়িত্ববোধ এবং জবাবদীহিতার কারনেই । প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে আমিও ২ বার এম বি এ করেছি কিন্ত ক্যাম্পাসের সামনে দাঁড়িয়ে সিগারেট খাব ভাবতে পারিনি কারন শিক্ষকদের পিতৃতুল্যই মনে করতাম আর লুকিয়ে  সিগারেট খেতাম যেন কোন মুরব্বী না দেখে সে তো অনেক দিনের ইতিহাস নয় আমার শেষ এম বি এ করলাম ২০০৯ সালে এই কয় বছরে কি আমাদের এতই পরিবর্তন হয়ে গেল তার মানে কি বিশ্বায়নে জ্ঞানবিজ্ঞানের অবাধ বিকাশ কি আমাদের সভ্য করছে  এবং আধুনিক করল এইভাবেই ? আমাদের মা বাবারা কি খবর নিতে ভুলে যাচ্ছেন যে রাত ১০/১১ টা অব্দি তাদের ছেলে মেয়ে রাস্তার ফুটাপাতে কুজো হয়ে বসে কি পড়ছে ? একা তাঁরা কাদের সাথে ঘুরছে , নাকি ব্যাবসায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিষ্টার ভিত্তিক কমন প্রশ্নের উত্তর লিখে জি পি এ নামক একধরনের রোভোটিক শিক্ষাগত সার্টিফিকেট নামের পেপার নিতে তারা লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করছে । মানলাম তাদের অনেক টাকা বা প্রতিপত্তি কিন্ত সমাজকে কেন তারা বাধ্য করছেন তাদের অনুসরনে আর যদি বলেন এটা আমার স্বাধীনতা তবে রাস্তায় লাঞ্চিত হওয়া কি স্বাধীনতা । আপনারা নিজে তো বিপদগামী হচ্ছেন সেইসাথে মধ্যবিত্ত বাঙ্গালীদেরও বিপদগামী করছেন কারন আপনাদের সন্তানদের বেহাল্লাপনা অন্যরাও অনুকরন করছে আর জোড়াতালির সংসারগুলো ভেঙ্গে পড়ছে। মধ্যবিত্ত মা বাবারা বাধ্য হচ্ছেন তাদের সন্তানদের আপনাদের সন্তানদের অনুসরন করতে । আসুন সবাই মিলেই প্রতিহত করি আমাদের প্রজন্মের সুরক্ষায় ।এখনি ব্যাবস্থা না নিলে নিচ্ছিত আমরা এক ধংস্বাত্বক সমাজের দিকে এগিয়ে যাব আর মেধাহীন নেশাতুর অপসংকৃতির সমাজে বোবার মত মৃত হয়ে বেচে থাকব।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply