স্বপন সেন ছিলেন শোষণহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার এক নির্ভিক কর্মী। বামপন্থী এই রাজনীতিক কোনো পদ-পদবীর আকাঙ্খা না করে আমৃত্যু গণমানুষের মুক্তির জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করে গেছেন। লেখাপড়া শেষ করে স্থায়ী কোনে চাকরি করেননি। চিরকুমার স্বপন সেন একটি সম্ভ্রান্ত ও সম্পন্ন পরিবারে জন্ম নিলেও আড়ম্বরহীন জীবনযাপন করেছেন। বক্তারা আরও বলেন, রাজনীতি ছাড়াও শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়ে তাঁর গভীর আগ্রহ ছিল। মুক্তিযুদ্ধ ও দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের অনেক খুঁটিনাটি বিষয় ছিল তাঁর নখদর্পনে। আজকের স্মরণসভার মধ্য দিয়ে আমরা এমন ব্যক্তি সম্মান জানিয়ে মূলত নিজেদেরই সম্মানিত করেছি। স্বপন সেন নাগরিক শোকসভায় বক্তারা উক্ত কথাগুলো ব্যক্ত করেন। স্বপন সেন নাগরিক শোকসভা কমিটির আয়োজনে মঙ্গলবার চট্টগ্রামের থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গত ৯ অক্টোবর চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বপন সেন মৃত্যুবরণ করেন। প্রয়াত স্বপন সেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
শোকসভায় আলোচনা পর্বে অংশ নেন অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বপন সেন নাগরিক শোকসভা কমিটির পক্ষ থেকে স্বপন সেনের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কমিটির আহ্বায়ক কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক অশোক সাহা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমেদ, সদস্য সচিব কামরুল হাসান বাদল এবং প্রধান সমন্বয়কারী মিটুল দাশগুপ্ত। অনুষ্ঠানের শুরুতে শোক সঙ্গীত পরিবেশন করেন আইরিন সাহা, মার্গারেট সাহা ও উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর শিল্পীরা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন নাগরিক শোকসভা কমিটির সদস্য সচিব কামরুল হাসান বাদল। শোক প্রস্তাব পাঠ করেন রাহুল দত্ত। প্রয়াত স্বপন সেনের জীবনী পাঠ করেন শীলা দাশগুপ্ত। অনুষ্ঠানে রাজনীতিজন স্বপন সেনের উপর নির্মিত তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। তথ্যচিত্রটি পরিচালনা করেন কমল দাশ। আবৃত্তি পরিবেশন করেন প্রণব চৌধুরী। শোকসভা পর্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, আবু তাহের মাসুদ, প্রফেসর রীতা দত্ত, অশোক সাহা অভিক ওসমান, ওমর কায়সার, কালাম চৌধুরী, জেসমিন সুলতানা পারু, প্রকৌশলী দেলোওয়ার মজুমদার, শাহরিয়ার খালেদ, সুভাষ দে, সৌরীন্দ্রনাথ সেন, সমৃদ্ধি সেন, আমিনুল ইসলাম মুন্না, নয়ন ধর, সিনসন ভৌমিক। শোকসভা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শোক সভা কমিটির আহ্বায়ক কমরেড শাহ আলম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কবি মনিরুল মনির।



