২৯ এপ্রিল ২০২৪ / ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সন্ধ্যা ৭:৫৭/ সোমবার
এপ্রিল ২৯, ২০২৪ ৭:৫৭ অপরাহ্ণ

বাগমারায় একই শিক্ষকের উপর একাধিক শোকজ : থানায় অভিযোগ

     

রাজশাহী ব্যুরো

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় একই শিক্ষকের উপর একের পর এক শোকজ নোটিশ দিয়েও কোন প্রতিকার হচ্ছেনা শিক্ষক হাফিজের।অবশেষে সংশ্লিষ্ট থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার এসএম মাহমুদুল হাসান। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায়, চলতি বছরের ১৫ আগষ্ট অর্থাৎ জাতীয় শোক দিবসকে অবমাননা করে কোন ধরনের কর্মসূচি পালন না করে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন করেন উপজেলার মুগাইপাড়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজ আল আসাদ @ হাফিজ মাষ্টার। বিষয়টি জানাজানি হলে ১৬ আগষ্ট জেলা শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দিনের নির্দেশক্রমে ঐ শিক্ষককে শোকজ নোটিশ দিয়ে কারন দর্শানোর জন্য ২৪ ঘন্টার সময় বেঁধে দেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার এসএম মাহমুদুল হাসান। এরপর ঐ শিক্ষক তার মন গড়া, মন মত জবাব দেন। এর কয়েকদিন যেতে না যেতেই আবারও অপরাধে জড়িয়ে পড়েন হাফিজ মাষ্টার। গত ৩০ আগষ্ট জোর করে স্কুলের ৭ টা গাছ কেটে নেয় প্রধান শিক্ষক হাফিজ। এই বিষয়টি জানাজানি হলে, উক্ত ওয়ার্ডের কৃষক লীগের সভাপতি মোজাফফর হোসেন বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও), শিক্ষা অফিসার ও হাটগাঙ্গোপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে লিখিত অভিযোগ করেন। ঐ দিনেই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে তদন্তে যায় উপজেলা শিক্ষা অফিসার এসএম মাহমুদুল হাসান ও তার প্রতিনিধি দল। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেলে ইউএনও এর নির্দেশে শোকজ নোটিশ করা এবং তিন কর্মদিবসের সময় দেয়া হয় কারন দর্শানোর জন্য। এছাড়াও উপজেলা শিক্ষা অফিসার বাদী হয়ে হাফিজ মাষ্টারের বিরুদ্ধে বাগমারা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এই বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার এসএম মাহমুদুল হাসান এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, মুগাইপাড়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করেননি। এর জন্য বিভাগীয়ভাবে শোকজ করা হয়েছিল এবং সন্তোসজনক জবাব চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি সন্তোসজনক জবাব দিতে পারেননি। আবার ৩০ আগষ্ট স্কুলের নিয়মভঙ্গ করে গাছ কেটেছে। এটা অনেক বড় অপরাধ। উনার উচিত ছিল ম্যানেজিং কমিটির সাথে মিটিং করে একটি রেজুলেশন করে ইউএনও স্যার বরাবর আবেদন করা। কিন্তু তিনি কোন নিয়মের তোয়াক্কা না করে গাছগুলো কেটেছে। এর জন্য আবারও তাকে শোকজ করা হয়েছে এবং তিন কর্মদিবসের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তবে এই নিয়ে এলাকাবাসির অনেকটায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। কারন এই প্রধান শিক্ষক একের পর এক অপরাধ করে চলেছে আর প্রশাসন নিশ্চুপ রয়েছে। এই হাফিজ মাষ্টারের ব্যপারে অনাস্থা প্রকাশ করেছে পুরো ইউনিয়নবাসি। এবিষয়ে আউচপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার জান মোহাম্মাদ বলেন, এই মাষ্টেরর ঐ স্কুলের শিক্ষকতা করার কোন যোগ্যতা নাই। তিনি এর আগেও ৪র্থ শ্রেনীর শিশুকে বিয়ে করেন, মানে তার নজর বা চরিত্র খারাপ। এই শিক্ষকের কাছে স্কুলের কোমলমতি মেয়েরা নিরাপদ নয়। এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে হাজারও অভিযোগ তবুও কোন ক্ষমতায় এখনও বহাল তবিয়তে আছে এটাই ভাবতে হচ্ছে। আর থানার ওসি কেন গ্রেফতার করছেনা এটাই বুঝতে পারছিনা। আমি বলবো এই শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করে অনতিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। বিষয়টি নিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) কল্যান চৌধুরীর সাথে কথা বললে, তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নাই, আমি এখনই ইউএনও কে বলে দিচ্ছি যেন, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়। পরে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফ আহমেদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ঐ মাষ্টারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় সিদ্ধান্ত নিবে শিক্ষা বিভাগ। আপনি জেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে যোগাযোগ করেন সর্বশেষ জানার জন্য। তবে এই বিষয়ে বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ মুস্তাক আহমেদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply