১৯ মে ২০২৪ / ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ১:২৭/ রবিবার
মে ১৯, ২০২৪ ১:২৭ পূর্বাহ্ণ

ঈদ যাত্রায় চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করার অভিযোগ-যাত্রী কল্যাণ সমিতি

     

ঈদ যাত্রায় চট্টগ্রাম থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করছে পরিবহন মালিকরা। টিকেট ব্যবস্থাপনাসহ নানানক্ষেত্রে ঈদ ব্যবস্থাপনায় গলদ থাকায় পদে পদে যাত্রীরা হয়রানির শিকারহচ্ছে। বিআরটিএ’র ভিজিল্যান্স টিম বা মনিটরিং কমিটি গঠন করার কথা থাকলেও মাঠ পর্যায়ে তাদের কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া হয়রানীর শিকার যাত্রীরা। এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটি গত ২৫রমযান থেকে নগরীর বিভিন্ন বাস টিকেট কাউন্টার পর্যবেক্ষণে নামে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটি নেতৃবৃন্দ জানায়,বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার নগরীর এ কে খান মোড়, বহদ্দারহাট, নতুন ব্রীজ, বাসটার্মিনাল, নেভী হাসপাতাল গেইট এলাকার বিভিন্ন বাস টিকেট কাউন্টার ঘুরেদেখা যায় গণপরিবহন মালিকরা ৭০০ টাকার ভাড়া যাত্রীদের কাছ থেকে ১৫০০ থেকে১৭০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করেছে। শুক্রবার একেখান এলাকার বিভিন্ন বাসকাউন্টার পর্যবেক্ষণ করে ঈদ যাত্রী সেবা পর্যবেক্ষণ টিম। পর্যবেক্ষণে উঠেআসে পরিবহন মালিকরা তাদের ইচ্ছেমতোই অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে।চট্টগ্রাম-ভোলা, চট্টগ্রাম-চরফ্যাশন, চট্টগ্রাম-লক্ষ্মীপুর,চট্টগ্রাম-আলেকজান্ডার, চট্টগ্রাম-মজু চৌধুরীর হাট, চট্টগ্রাম-ফেরীঘাট,চট্টগ্রাম-সাতক্ষীরা, চট্টগ্রাম-খুলনা রুটে চলাচলকারী সোদিয়া পরিবহন, এআর এক্সপ্রেস, যমুনা এক্সপ্রেস, নিউ ইসরাত এক্সপ্রেস, তোফা এন্টারপ্রাইজ,জননী এন্টারপ্রাইজ, শাহ ফতেহ আলী যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ তিনগুণ ভাড়াআদায় করছে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দীন চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের একটি টিম নগরীর এ কে খান ওবহদ্দারহাট এলাকার বিভিন্ন বাস টিকেট কাউন্টারে পর্যবেক্ষণ করে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, চট্টগ্রাম-লক্ষ্মীপুর রুটে জননী এন্টারপ্রাইজ ও এ আর এক্সপ্রেস এর স্বাভাবিক ভাড়া ৩৫০ টাকা, আদায় করছে ৬০০ টাকা। রোহান পরিবহন চট্টগ্রাম থেকে বরিশাল ৭০০ টাকার ভাড়া ১৫০০ টাকা, সাউদান পরিবহন চট্টগ্রাম থেকে ভোলা বরিশাল ৭০০ টাকার ভাড়া ১৪০০টাকা, ঈগল পরিবহন চট্টগ্রাম থেকে যশোর ৮০০ টাকার ভাড়া ১৩০০ টাকা, দেশট্রাভেল্স চট্টগ্রাম থেকে রাজশাহী ৮০০ টাকার ভাড়া ১৩০০ টাকা, হানিফপরিবহন চট্টগ্রাম থেকে দিনাজপুর ৯০০ টাকার ভাড়া ১৩০০ টাকা, রিলাক্সপরিবহন চট্টগ্রাম থেকে নেত্রকোনা ৫৫০ টাকার ভাড়া ১০০০ টাকা, সৌদিয়াপরিবহন চট্টগ্রাম-সাতক্ষীরা ও খুলনা এলাকায় ৯৫০ টাকা ভাড়ার জায়গায় ১২৫০টাকা আদায় করছে। শাহ ফতেহ আলী চট্টগ্রাম-ভোলা ৭০০ টাকা ভাড়ার জায়গায় ১৪০০টাকা আদায় করছে। এছাড়াও দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন গন্তব্যে ১০০ টাকারভাড়া ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত আদায় হচ্ছে। উত্তর চট্টগ্রামেরবিভিন্ন উপজেলায় যাত্রীদের কাছ থেকে ৩০ টাকার ভাড়া ৬০ টাকা, ৫০ টাকারভাড়া ১০০ থেকে ১২০ টাকা আদায় করছে। বহদ্দারহাট ও নতুন ব্রিজ এলাকা থেকেচকরিয়া রুটে চলাচলকারী মাইক্রো ও হায়েছগুলো ১০০ টাকার ভাড়া ২০০ থেকে ২৫০টাকা আদায় করছে।

উল্লেখ্য, এবারের ঈদে লম্বা ছুটি কাজে লাগাতে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে স্বজনদের সাথে ঈদ আনন্দ উপভোগ করার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম ছাড়তে শুরু করেছে ৩১ লাখ মানুষ। এর মধ্যে ৬০ হাজার যাত্রী ঈদ করবে বিদেশে, ১৬ লাখ যাত্রী চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলায়, বাকী ১৪ লাখ যাত্রী দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করবে। এর মধ্যে শুধু ভোলা বা বরিশালে যাবে ৩ লক্ষের বেশি যাত্রী।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply