১৯ এপ্রিল ২০২৪ / ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ৮:১০/ শুক্রবার
এপ্রিল ১৯, ২০২৪ ৮:১০ অপরাহ্ণ

শিল্প প্রতিষ্ঠান এ. আর গ্রুপ কি ষড়যন্ত্রের শিকার ?

     

এ আর গ্রুপকে ফাঁদে ফেলতে চাচ্ছে কতিপয় লোক।দূর্নাম ও বদনাম রটিয়ে কোম্পানীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়ষন্ত্র করছে ওরা এমন তথ্য মিলছে আমাদের অনুসন্ধানে। দূর্ঘটনাজনিত একটি মৃত্যেকে কেন্দ্র করে ফায়দা হাসিলের জন্য তৎপরতা শুরু করছে একটি মহল।নিচে প্রদর্শিত অবিকল সংবাদটুকু  NDNA নামের একটি পোর্টালে সম্প্রচার হয়  এবং আমাদের অনলাইন দৈনিক www.banglapostbd.com -এ প্রচারের জন্য অনুরোধ আসে ।খবরের ভেতর খবর নিতে গিয়ে বের হয়ে আসে আসল তথ্য।

পাবনায় প্রকাশিত অধ্যাপকের মৃত্যুর সংবাদে এ.আর. গ্রুপের জি.এম. আলহাজ্জ্ব জিন্নাহর বক্তব্য

মিথ্যা -দাবি মৃতের পরিবারের
২৬ ই মার্চে ২০১৮ ইং এ পাবনার স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে বলা হয় : পাবনায় এ.
আর. রিয়েল স্টেটের লিফট থেকে পরে এক অধ্যাপকের করুন মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া
গেছে। এ ঘটনায় এ. আর. রিয়েল স্টেটের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার
অভিযোগ এনেছে নিহতের আত্মীয় স্বজন। তবে এ. আর. রিয়েল স্টেটের কর্তৃপক্ষ তাদের দায়
অস্বীকার করেছে। সূত্র জানায়, পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের বালিয়া ডাঙ্গা গ্রামের
মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে এবং পাবনার মাহমুদপুর ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার বাংলার
শিক্ষক, সমাজ সেবক ও আইনজীবী কে. এম. রবিউল ইসলাম গত ১৫ই ফেব্র“য়ারি বেলা ১১ টার
দিকে পাবনা শহরের রবিউল মার্কেটের সামনে এ.আর. রিয়েল স্টেট কর্তৃক নির্মাণাধীন বহুতল ভবন
কাজী প্লাজার নিচতলায় অবস্থিত নাসরিন টেইলার্সে তার স্ত্রীর বোরকা নিতে আসেন। এই সময় তার
প্রস্রাব চাপলে সে টয়লেটের খোঁজ করেন। এ সময় নাসরিন টেইলার্সের মালিক মিন্টু দোতালায়
টয়লেট আছে বলে জানায়।
রবিউল ইসলাম দোতালায় যান। তিনি লিফট স্থাপনের জন্য নির্ধারিত অরক্ষিত খোলা দর্জাটিকে
টয়লেটের দরজা মনে করে প্রবেশ করতে গিয়ে দোতালা থেকে বেসমেন্টে গিয়ে পড়েন। পড়ে যাওয়ার
পর তার আর্তনাদের শব্দ পেয়ে কর্মরত কয়েকজন শ্রমিক এগিয়ে আসেন। এরপর মিন্টুর
পরামর্শে এ.আর. রিয়েল স্টেট এর কর্মচারী ও কর্মরত শ্রমিকদের সহায়তায় তাকে পাবনা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং আহত অধ্যাপক রবিউল ইসলামের
আত্নীয়দের সাথে দেখা না করেই তারা তাকে হাসপাতালের বারান্দায় ফেলে রেখে চলে যায় । এ সময়
অপরিচিত একজন রবিউল ইসলামের মোবাইল থেকে আহত রবিউল ইসলাম এর আত্নীয়দের
ফোন দেয় । আত্নীয়গণ হাসপাতালে এসে তাকে বারান্দায় পরে থাকতে দেখে এবং হাসপাতাল
কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে ৫ নং কেবিনের ৭ নং বেডটি পেয়ে বারান্দা থেকে কেবিনে স্থানান্তর
করে। রবিউল ইসলাম এর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলে আত্নীয়গণ তাকে ঐদিনই বেলা ৪ টার
দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং রাত পোনে ৯ টায়
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অধ্যাপক কে. এম. রবিউল ইসলাম শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ
করেন। ১৬ ফেব্র“য়ারী বেলা ১১ টায় তাকে তার নিজ গ্রামের বাড়ি বালিয়া ডাঙ্গায় দাফন করা হয়.
মৃত্যুকালে অধ্যাপক রবিউল ইসলাম এর বয়স হয়েছিল ৫০ বছর, মৃত্যুকালে স্ত্রী, তেরো বছর ও
আড়াই বছরের দুই পুত্র সন্তান সাথে অনেক ঋণের বোঝা রেখে গেছেন।

নিহতের আত্নীয় স্বজন অভিযোগ করে বলেন, যদিও নির্মাণাধীন ভবন হস্তান্তরের পূর্বে ভবনের
নিরাপত্তার দায়-দায়িত্ব এ.আর. রিয়েল স্টেটের কর্তৃপক্ষর তারপরেও এ.আর. রিয়েল স্টেটের
কর্তৃপক্ষ বিষয়টি থানায় জানায় নাই, মৃত অধ্যাপকের আত্নীয়দের সাথে ফোনে বা অন্য কোনো উপায়ে
যোগাযযোগ করে সমবেদনাও জানায়নি, বিষয়টি কিছুইনা এমন আচরণ করছেন. এ.আর. রিয়েল
স্টেটের- এ. জি.এম. আহসানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান এর দায়দায়িত্ব এ.আর. রিয়েল
স্টেটের- জি.এম. সাহেবের।
এ ব্যাপারে এ. আর. গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার আলহাজ মোহাম্মদ জিন্নার সঙ্গে যোগাযোগ করা
হলে তিনি তাদের কোম্পানির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন তাদের লোকজনই
আহত অধ্যাপক রবিউল ইসলামকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে এবং চিকিৎসা করেছে।
পাবনার দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর, মৃত অধ্যাপক রবিউলের স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য
সদস্যের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানায় যে তারা হাসপাতালে পৌঁছে আহত অধ্যাপক রবিউল
ইসলামকে বারান্দায় পরে থাকতে দেখেন এবং ডাক্তারের দেওয়া পরীক্ষা-নিরীক্ষা, বেড ভাড়া,
ঔষুধের খরচ সহ যাবতীয় সব খরচ তারা পরিশোধ করেছে। এরপর রাজশাহীতে তারাই তাদের নিজ
খরচে এম্বুলেন্স করে নিয়ে যায় এবং পরবর্তী সমস্ত ব্যয় অধ্যাপক রবিউলের পরিবারই করে। মৃত
অধ্যাপক রবিউলের স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা জানায় পত্রিকায় প্রকাশিত এ. আর. গ্রুপের
জি. এম. আলহাজ মোহাম্মদ জিন্নার দেয়া বক্তব্য মিথ্যা এবং মৃত্যুর ৪০ দিন পার হয়ে গেলেও
এ যাবত কালে এ. আর. গ্রুপের কেউ তাদের সাথে যোগাযোগ করেনি।

আমাদের অনুসন্ধানে দেখা যায়, এ.আর. গ্রুপের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অবহেলায় বিষয়টি স্পষ্ট নয়। পাবনার মাহমুদপুর ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার বাংলার শিক্ষক, সমাজ সেবক ও আইনজীবী কে. এম. রবিউল ইসলাম নিছক দূর্ঘটনার নির্মম শিকার। রবিউল ইসলামের স্ত্রীর বড় ভাই শফিকুল ইসলাম লিপন এই প্রতিনিধিকে  বলেন এ  আর গ্রুপের প্রতি আমাদের কোন অভিযোগ নেই। আমরা এই বিষয়ে মামলা -জিডি করব না। লাশ তুলে কাউকে হয়রানী করার ইচ্ছা আমাদের নেই। বরং মানবিক বিবেচনায় মরহুমের স্ত্রী আমার বোন আর্থিক  সাহায্য পাবার আশায় এ  আর গ্রুপ কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। এদিকে এ আর গ্রুপের জি এম সামসুল আলম ও এজিএম আহসান হাসান  এই বিষয়ে কাউকে কোন বক্তব্য দেননি বলে জানান। তাদের নামে প্রকাশিত কথাগুলো বানোয়াট ও অতিরঞ্জিত বলে দাবী করেন।

 

সুত্রমতে, বিশ্বাস ও আস্হায় গড়ে উঠা এ আর গ্রুপ দেশের অর্থনৈতিক পরিবর্তনে বিরাট ভুমিকা রাখছে। এই গ্রুপে নিয়মিত ১৬শত জনবল কর্মরত আছে। অনিয়মিতভাবেও বিপুল জনবল জড়িত আছে এই গ্রুপের বিভিন্ন শিল্প- প্রতিষ্ঠানে। রিয়েল স্টেট, নির্মাণ সামগ্রী, সার,  পোল্টি  ও ঔষধ উৎপাদনে এই গ্রুপের খ্যাতি রয়েছে।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply