হাজারীগল্লিতে রমরমা বাণিজ্য কেনা ২৯০ টাকা বেচা ৪৫০ টাকা
চট্টগ্রামে ঔষধের ভান্ডার হিসেবে সবার কাছে পরিচিত হাজারী গল্লি।এই হাজারী গল্লিতে চলছে স্যাভলন ও ডেটল নিয়ে রমরমা ব্যবসা। হাজারী গল্লিতে অবস্থিত এসব স্থায়ী দোকানে এসব পণ্যের দেখা না মিললেও ফুটপাতে দেখা মেলে। পরিচয় গোপন রেখে কথা বললে তারা বলে দিতে পারবে ৫০০ থেকে ৬০০ পিস যার জন্য পাইকারি হিসেবে মূল্য দিতে হবে ৩১০ টাকা করে !যেখানে গায়ের মূল্য হলো ২২০ টাকা (বড়টি)।
এ বিষয়ে অনুসন্ধান করলে বেরিয়ে আসে ভিন্ন রূপ তথ্য ।দোকানিদের সাথে কথা বললে তাদের অভিযোগ সরাসরি কোম্পানির এস.আর বা এম.আর দোকানে মাল দেয় না ।আর দিলেও উচ্চ দামে দেয় তবে উচ্চ দামে দিলে রশিদ দিতে পারে না বলে তারা এই সব পণ্য বিক্রি করতে চান না ।তারা আরো বলেন, ফুটপাতে যে সব পণ্য আছে তার অর্ধেকই নকল কিংব ভেজাল। তবে কিছু দোকানদার লাভের আশায় পণ্য বিক্রি করতে রাজি হলেও রশিদ দিতে অস্বীকার করে যার প্রমাণ স্বরুপ ভিডিও চিত্র রয়েছে আমাদের কাছে। এই বিষয়ে পুনরায় জানার চেষ্টা করলে উঠে আসে এক নাম না জানা অচেনা ব্যাক্তির তথ্য।যিনি কিনা সকালে এসে উচ্চ দামে নিয়ে পাইকারি হিসেবে পণ্য দিয়ে যান । যার পাইকারি দাম ২৯০ টাকা (বড়)।তবে গায়ের মূল্য ২২০ টাকা থাকলেও তাদের বিক্রি করতে হয় ৩৮০ থেকে ৪২০ টাকা পর্যন্ত। তবে অনেক চেষ্টার পরও অচেনা ব্যাক্তির সাথে যোগাযোগ করা যায়নি। এ বিষয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হোসাইন মোহাম্মদ ইমরান এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন ফুটপাতে যে সব পণ্য বিক্রি হচ্ছে তা আসল কিনা তা দেখার বিষয় এবং এসব পণ্য ফুটপাতে বিক্রি করা সম্পুর্ণ অবৈধ। এবং তিনি আরো বলেন, সাধারণ জনগন যদি ফুটপাত থেকে ক্রয় না করে যদি ‘আগুরা’ বা ‘স্বপ্ন ‘থেকে ক্রয় করে তাহলে গায়ের মূল্যেই পণ্য পাবে। এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ভোক্তা অধিকার প্রতিদিন অভিযান করে যাচ্ছে। এসবের বিরুদ্ধে এবং এদের গডফাদার দের খুঁজে বেড়াচ্ছি।তিনি আরো বলেন, আমরা ফার্মেসি ছাড়াও অন্য প্রতিষ্ঠানেও অভিযান করি।তবে হ্যাঁ আমরা খুব অল্প সময়ে এসব ফুটপাতে অবস্থিত দোকানীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।