৬ মে ২০২৪ / ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ৬:২৫/ সোমবার
মে ৬, ২০২৪ ৬:২৫ পূর্বাহ্ণ

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে হবিগঞ্জের চিকিৎসা সেবা উন্নয়নে ৭ দফা দাবী নিয়ে স্মারকলিপি

     

একে কাওসার, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

 হবিগঞ্জের চিকিৎসা সেবার উন্নয়নে ৭ দফা দাবী জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে হবিগঞ্জ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ।

গত রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসানের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। পরে হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মিজানুর রহমান মিজানকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর স্মারকলিপির অনুলিপি প্রদান করা হয়। ইতিপূর্বে গত ২৫ জুন চিকিৎসা সেবার ৭ দফা দাবী নিয়ে জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়কে এর অনুলিপি প্রদান করা হয়।

স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের জেলা সংগঠক শফিকুল ইসলাম, নিয়াজ আহমেদ, শাওন আল হাসান, শাহ রাজিব আহমেদ রিংগন, শাহআলম রাজ, রোটারিয়ান লোকমান আহমেদ, প্রভাষক মোঃ শাফিকুল ইসলাম, মহসিন আলী মিশু, দিপু আহমেদ, উজ্জ্বল রায় কাঞ্চন, রাজিব রায়।

স্মারকলিপিতে, পিসিআর ল্যাব স্থাপন ও করোনার সুচিকিৎসা নিশ্চিতে বিভিন্ন প্রস্তাবনার মধ্যে ৭ দফা দাবীগুলো হলোঃ- (১) জরুরি ভিত্তিতে হবিগঞ্জে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দ্রুত করোনা টেস্ট ল্যাব স্থাপন করতে হবে, এবং জনগনকে বিনামূল্যে টেস্ট করার জন্য উৎসাহী করতে হবে। (২) দ্রুত সময়ের মধ্যে বহুতল ভবন বিশিষ্ট শেখ হাসিনা মেডিকেল হাসপাতালকে করোনা রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত ডাক্তার, নার্স, অক্সিজেন, ভেন্টিলেশনসহ আইসোলেশন কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। (৩) যে সমস্ত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগন সপ্তাহে একবার হবিগঞ্জে এসে চিকিৎসা সেবা দিতেন, করোনা কালে উনাদের নিজেদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিত করে পূর্বের মত সাধারণ রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।  (৪) বাধ্যতামূলক ভাবে, হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগনদের দ্বারা রোস্টার অনুযায়ী সাধারণ রোগীদের গুরুত্বের সাথে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হবে, এবং সেবারত সকল ডাক্তার ও নার্সদের প্রয়োজনে আবাসন এবং পর্যাপ্ত মাস্ক, সেনিটাইজার ও পিপিই দিতে হবে। (৫) সকল ইমারজেন্সি, জরুরি চিকিৎসা সেবার জন্য ২৪ ঘন্টা এ্যাম্বোলেন্স দিয়ে জরুরি “কোড নাম্বার” (মোবাইল) সেবা চালু করতে হবে। (৬) করোনা কালে মানবিক বিবেচনায় সকল ফি ৫০ ভাগ করতে হবে। (৭) চিকিৎসা সেবা নিয়ে সকল বানিজ্য বন্ধ করতে হবে, এবং ভোক্তা অধিকার আইনের মাধ্যমে সকল ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ও নিম্নমানের ঔষধ জব্দ করে কঠিন শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

স্মারকলিপি প্রদানকালে সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা বলেন, প্রয়োজনে প্রাইভেট ক্লিনিককে অধিগ্রহণ করে করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হবে। করোনা একটি নতুন রোগ। কিন্তু অন্য যেসকল সাধারণ রোগীরা সারাজীবন কস্ট ভোগ করে আসছেন সে সমস্ত রোগীরা এখন প্রয়োজনের সময় ডাক্তার পাচ্ছেন না। যা অনেক বড় অশনিসংকেত। তাই নিয়মিত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের রোগী দেখা নিশ্চিত করা দরকার।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply