২৬ এপ্রিল ২০২৪ / ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ৯:৪৭/ শুক্রবার
এপ্রিল ২৬, ২০২৪ ৯:৪৭ পূর্বাহ্ণ

ঠাণ্ডা মিয়ার গরম কথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমীপে

     

মাননীয়,

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমীপে,

শ্রদ্ধেয় হাসিনা আপারে ,

গরম গরম কথার শুরুতে আমার লাখ কোটি সালাম জানিবেন।আশা করি, আল্লাহ মালিকের অপার মহিমায় ভালো থাকিয়া করোনা ভাইরাস রোধে নানান সচেতনামূলক ক্যাম্পইন, বাজেট ও  প্রিয় জন্মভুমি দেশটা  লইয়া ভবিষ্যতের হরেকরকম চিন্তা করিয়া দিনাতিপাত করিতেছেন। আমিও গ্রাম বাংলার এক মফস্বল শহরে থাকিয়া দেশের ভবিষ্যতের কথা ভাবিয়া ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্ছার মতো খাইয়া না খাইয়া  বাঁচিয়া আছি। গেল বারে  আপনার মনোনিত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী  সমীপে ঠাণ্ডা মিয়ার গরম কথা  লিখিবার সময় এইবার আপনার সমীপে লিখিব বলিয়াছিলাম, এইজন্য লিখিতেছি বলিয়া রাগ করিবেন না বরং শত ব্যস্ততার মধ্যেও গরম কথাটুকু পড়িয়া দেখিবেন ও যাহা প্রয়োজন তাহা করিবেন আর ভুল হইলে নিজ গুনে মাফও করিয়া দিবেন।

আপারে,

আপনি হইলেন, এশিয়ার লৌহমানবখ্যাত বাঙ্গালীর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় মেয়ে।বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ রাজনৈতিক দল  আওয়ামী লীগেরও  সভাপতি।দুনিয়া জুড়িয়ায় রহিয়াছে আপনার ভক্ত ও সমর্থক।আমেরিকা থেকে ছেলের বউ আনিয়াছেন আর লণ্ডণের মন্ত্রী সভার সদস্য হইলেন আপনার বোনঝি টিউলিপ ছিদ্দিকী ।  অবশ্য বিএনপির তারেক জিয়াও লণ্ডণে থাকিয়া ওই দেশের সাথে বেশ খাতির জমাইয়াছেন।ড. কামাল হোসেন পাকিস্তান থেকে বিয়ে করিয়াছেন আর মেয়ে বিয়ে দিয়াছেন লন্ডণে।একইভাবে আরো বেশ কয়েকজন নেতানেত্রী রহিয়াছে যাহারা বিদেশের সাথেই আত্মীয়তা করিয়াছেন।ঢাকার মেয়র  সাদেক হোসেন খোকাতো আমেরিকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করিয়াছেন।বিদেশপ্রীতি রহিয়াছে এইদেশের অনেক রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের। যাক, সেই সব কথা।

আপারে,

করোনাকালে গোটা দুনিয়ার মানুষ নানা টেনশান ও দুশ্চিন্তায় রহিয়াছ।দুনিয়ার মহা শক্তিধর আমেরিকায় বিপর্যয় ঘটিয়াছে।সে তুলনায় আমাদের দেশের অবস্হা কী হইবে তাহা আল্লাহ মালুম।আল্লাহই না করুক, সচেতন লোকেরা  বলিতেছে,  দেশ ছাড়িয়া গোটা দুনিয়ার মধ্যে করোনার হটস্পট বাংলাদেশ হইতে পারে বর্তমানে তাহার আলামত সেই ইংগিতই দিতেছে। বিষয়টি মোটেই হালকা মনে করিবেন না।দিন দিন শুধু  বাংলাদেশে নতুন করোনা রোগীর সনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়িতেছে।এই বাড়া শুধুই বাড়িতেছে।তাই গতানুগতিক কর্মসূচীর পাশাপাশি সাহসী কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে হইবে।করোনা সংক্ষমণরোধে ঠাণ্ডা মিয়া একটি পাইলট প্রোগ্রাম নিয়া দীর্ঘদিন ভাবিয়াছে। এই বিষয়টি লইয়া ঠাণ্ডা মিয়া বহুজনের সাথে কথাও বলিয়াছে।সবাই বিষয়টা লইয়া আপনার সামনে বিষয়টি উপস্হাপন করিবার জন্য পরামর্শ দিয়াছেন।বিষয়টি আপনার মনোনিত চট্টগ্রামের মেয়র প্রার্থী  রেজাউল করিম চৌধুরীকে জানাইয়াছিলাম।লোকেরা বলিতেছে,  এই পাইলট প্রোগ্রামটি বাস্তবায়ণ করিয়া সফল হইলে গোটা দেশ এমনকি দুনিয়াবাসী বিষয়টি আমলে নিতে পারিবেন।পরের প্যারায় আমি পাইলট প্রোগ্রাম টি উপস্হাপন করিতেছি। একটু ধৈর্য ও গভীর মনোযোগ সহকারে পড়িয়া দেখিবেন ও ভাবিবেন এবং যাহা প্রয়োজন তাহাই করিবেন।

আপারে,

আপনার পছন্দই  একটি জেলা কিংবা উপজেলা বাঁচিয়া  লই।যেখানে ধনী, দরিদ্র, মধ্যবিত্ত ও বিভিন্ন পেশার লোকজন রহিয়াছে । ধরুন, ওই  উপজেলার কিংবা জেলার পরিবার সংখ্যা ২ থেকে ১০ লাখ।ধর্ম বর্ণ গোত্র দল এখানেই আমাদের কাছেই সবাই সমান । শুধু ইহারা মানুষ এই আমাদের চিন্তা।ইহাদের সবাইকে করোনা সংক্ষমণ থেকে বাঁচাইতে হইবে এইটাই আমাদের লক্ষ্যে।এখানে সফল হইলে তারপর আরো ব্যাপক চিন্তা।তখন আমাদের একটা হিসাব অটোভাবে পাইয়া যাইব।এখন আমাদের কাজ হইল ওই উপজেলার কিংবা জেলার  কেউই একটি মাস কিংবা ২১দিন ঘরের বাইরে যাইতে পারিবেন না।বাইরে কেন যায় ? নিশ্চয় আয় রোজগার কিংবা খাবার দাবারের জন্য।সবাই কিন্তু ঘরের বাইরে যায় না তারপরও যাহারা যায় আয় -রোজগার কিংবা খাবার দাবারের জন্য তাহাদের কারণে সবাই অনিরাপদ হইয়া পড়ে।এই জেলা কিংবা উপজেলার সবাইকে খাবার দিতে হইবে।অনেকের সামর্থ্য আছে তাই নিবে না। আবার অনেকেই আছেন তাহার প্রতিবেশী ৫০ থেকে ১০০ পরিবারের দায়িত্বও নিতে পারিবেন। অনেকে খাবার পেলে বাইরেও যাইবে না।।বিষয়টি ঠান্ডা মিয়া অনেকের সাথে কথা বলিয়াছে।খাবার পাওয়ার পর কেউ বাইরে গেল পুলিশ ও আর্মিরা এ্যাকশানে যাইতে পারিবেন।এই জেলা কিংবা উপজেলার সবাইকে বিষয় কায়দায় পাইলট প্রোগ্রাম শুরুর আগে সরকারী খরচে করোনা টেস্ট  করাইতে হইবে।এমন যদি হয় তখন কত টাকায় কত মানুষকে নিরাপদে রাখা যায় তা ভাবা যাইবে।এখনো ওই জেলা কিংবা উপজেলার মানুষগুলো খাবার খায় তখনো খাবে কৌশল পরিবর্তন মাত্র।আর একটি কথা হইল ওই  জেলা কিংবা উপজেলা  লইয়া ত্রাণের নামে সস্হা প্রচারণা, পাওয়া না পাওয়ার অভিযোগ এইসব আর থাকিবে না।বিষয়টি  বাস্তবায়ণে  মেধা, শ্রম, অর্থ , সময়  ও প্রশাসনিক সহযোগিতা লাগিবে।এইজন্য এইসব কাজ করিবার আপনিই এই সময়ে একমাত্র যোগ্য ব্যাক্তি।এই প্রোগ্রামে ঠান্ডা মিয়াও বাস্তবায়নকারী সংস্হা কিংবা ব্যাক্তির সাথে আন্তরিকভাবে পাশে থাকিবেন সবসময় ।

আজ আর না। আপনার মঙ্গল ও সুস্বাসহ্য কামনায় । ইতি আপনারই গ্রাম বাংলা অখ্যাত ঠান্ডা মিয়া ।

গ্রন্হনা:   ম. আ. হ

আগামী সংখ্যায় মাননীয় মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন  সমীপে  ঠাণ্ডা মিয়ার গরম কথা   (২২৫) সম্প্রচার করা হইবে।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply