১৯ মে ২০২৪ / ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / বিকাল ৩:৫০/ রবিবার
মে ১৯, ২০২৪ ৩:৫০ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম সহ সারাদেশে উৎসব মুখর পরিবেশে শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপিত

     


 উজ্জ্বল কান্তি বড়ুয়া 
উৎসব মুখর পরিবেশে পালিত হলো বৌদ্ধদের অন্যতম ধর্মীয় তিথি শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা। এটি বৌদ্ধদের প্রধান বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। বিশ্বের সব বৌদ্ধ  এ শুভ তিথিটি যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে উদযাপন করেছে। বস্তুত আবহমানকাল থেকেই আমরা এ মাটিতে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ আদিবাসী-উপজাতি এবং নানা ধর্ম-বর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী-সম্প্রদায়ের মানুষ একত্রে বসবাস করে চলেছি। যা বিশ্বে আর কোথাও দেখা যায় না। উৎসবের সংমিশ্রণ ও প্রীতির বন্ধন আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বহুগুণে সমৃদ্ধ করেছে। বলতে গেলে আজ গ্রামবাংলার বিহার-জনপদ আনন্দে মুখর এবং নানা উৎসব আয়োজনে উদ্বেলিত।
একই দিনে এই অনন্য ঘটনা সমৃদ্ধ তাৎপর্যময় দিনটি পালনে গতকাল ভোর থেকে বৌদ্ধ বিহারগুলোতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে দেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়। সারা দেশের ন্যায় চট্টগ্রামেও যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে দিনটি পালন করা হয়। পুণ্যময় এই তিথিকে ঘিরে নগরীর বৌদ্ধ বিহারগুলোতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। সকাল থেকে বিহারের ধর্মীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেয় শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীসহ আবাল বৃদ্ধবণিতা। বৌদ্ধ বিহারগুলো রূপ নেয় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মিলন মেলায়। প্রতিটি বিহার ও ধর্মীয় সংগঠন গুলো বিশ্বে শান্তি শোভাযাত্রা বের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করেন।
এদিকে নগরীর কাতালগঞ্জ নবপণ্ডিত বিহার, নন্দনকাননস্থ চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহার, দেব পাহাড় পূর্ণাচার আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহার, মোগলটুলী শাক্যমুণি বিহার, চান্দগাঁও সার্বজনীন বিহার, চান্দগাঁও শাক্যমুনি বৌদ্ধ বিহার, চট্টগ্রাম বন্দর বৌদ্ধ বিহার, হালিশহর নৈরনী বুদ্ধ বিহার, পাথরঘাটা মহাবোধি বিহার, বাথুয়া জ্ঞানোদয় বিহার ছাড়াও পটিয়া, বোয়ালখালী, কধুরখীল, আনোয়ারা, চন্দনাইশ, রাঙ্গুনীয়া, রাউজান, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, মীরসরাই, বাঁশখালী, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান,কক্সবাজারসহ নোয়াখালি, ময়নামতি, কুমিল্লা,সিলেট, নারায়গন্জ,ঢাকা,রংপুর,দিনাজপুর,ঠাকুরগাঁ, নওগাঁ,সিরাজগন্জসহ দেশের সকল বৌদ্ধ বিহারে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিনটি পালন করা হয়।
ভোরে জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শুরুর পর সূত্র পাঠ, সকালে বুদ্ধপূজা, ভিক্ষুসংঘকে পিন্ডদান, অষ্টশীল ও পঞ্চশীল গ্রহণ, দুপুরে ধর্মালোচনা ও বুদ্ধ পূর্ণিমার তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা ছাড়া সন্ধ্যায় প্রদীপ পূজা ও বিশ্ব শান্তি কামনায় সমবেত প্রার্থনার মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply