৭ মে ২০২৪ / ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ৯:৫৪/ মঙ্গলবার
মে ৭, ২০২৪ ৯:৫৪ পূর্বাহ্ণ

লামায় সংবাদ সম্মেলন করে প্রথম আলো পুড়ল ওরা

     

ফরিদ উদ্দিন, লামা.
দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় গত ৭ মে ‘বান্দরবানে ভুমি বেদখল সরেজমিন পরিদর্শনে বাধা একটি বাহিনীর ইন্দনে’ শীর্ষক শীরোনামে প্রকাশিত সংবাদে মিথ্যাচার ও অহেতুক একটি বাহিনীকে দোষারোপের প্রতিবাদে বুধবার দুপুরে লামা উপজেলায় সংবাদ সম্মেলন করেছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টি সম্প্রদায় নেতারা। বুধবার দুপুরে স্থানীয় টুকুমবাড়ি রেষ্টুরেন্টের কনভেনশন হলে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার সরই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ও মুরুং নেতা মেনরুম মুরুং স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, মুরুং নেতা ইয়ুংপাক রনি। এ সময় আলীকদম মুরুং বাহিনী কমান্ডার মেনদন মুরুং, মুরুং ছাত্রাবাসের পরিচালক ইয়লক মুরুং, বীর চন্দ্র ত্রিপুরা, মংবুশে মার্মাসহ অর্ধ-শতাধিক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টি সম্প্রদায়ের শতাধিক লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি নেতারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সাধারন মানুষের কাজ থেকে প্রতি বছর ৪শ কোটি টাকা আদায় করে জেএসএস সন্ত্রাসীরা। আর ঐক্য ন্যাপ’র চেয়ারম্যান পঙ্কজ ভট্টাচার্য্য ঢাকায় বসে এ সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে মোটা অংকের মাসোহারা নেয়। আর যদি তাই না হত; তাহলে তিনি কেন পাহাড়ের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের মদদ দেবেন এবং বেসামরিকরণের দাবি জানাবেন। তিনি কি পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাস করেন ? তিনি কি পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীর কষ্ট বুঝেন ? ঢাকায় এসিতে বসে পার্বত্যবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের কথা বলা আহাম্মকের কাজ। এ সময় তারা আরও বলেন, ঐক্য ন্যাপের প্রতিনিধি দল একটি পাহাড়ি শসস্ত্র গ্রুপের যোগসাজসে এবং ৪০ হাজার পার্বত্যবাসীর খুনি সন্তু লারমার ইন্দনে পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার মানসেই লামায় প্রবেশ করতে চেয়েছিল।

তাছাড়া ঐক্য ন্যাপের প্রতিনিধি দল লামায় প্রবেশের বিষয়টি আমরা পুর্ব অবগত ছিলাম না। আমরা আমাদের পূর্ব কর্মসূচীর অংশ হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্ত্র, গোলা-বারুদ, অপহরণ, খুন, চাঁদাবাজি ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিকারী শান্তি বাহিনী তথা জেএসএস নামধারী কর্মকান্ডের প্রতিবাদে অবরোধ কর্মসূচী পালনকালে ওই প্রতিনিধি দল অবরোধের মুখে পড়েন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ইদানিং জেএসএস নামীয় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সংগঠনটি পাহাড়ের শান্তিপ্রিয় মুরুং যুবকদেরকে বিভিন্ন প্রলোভন ও ভয় দেখিয়ে তাদের দল ভারি করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। সাড়া না দিলে অস্ত্রের মুখে মুরুংদেরকে তাদের দলে যোগ দিতে বাদ্য করছে। এছাড়া অন্য জেলা থেকে লামা ও আলীকদম উপজেলার মত শান্তিপ্রিয় উপজেলায় গিয়ে অস্ত্রের মুখে নিরিহ মুরুংদের তাদের আশ্রয় দিতে বাধ্য করে তারা। মেয়াদ শেষে দেশের রাষ্ট্র পতি ও প্রধানমন্ত্রীর গাড়ির পতাকা নেমে যায়। কিন্তু সন্তু লারমার গাড়ির পতাকা নামেনা। তাই তিনি পার্বত্যবাসীকে, মানুষ মনে করেন না। তাদের সুবিধার জন্য সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বেসামরিকীকরণের দাবি জানিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এছাড়াও তিনি পূর্ণরায় পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রবেশ করার চেষ্টা করলে আমরা কঠোর অবস্থানের ঘোষনা দিচ্ছি। বর্তমানে যে হারে অস্ত্রের ঝনঝনানি বেড়েছে, তাতে সামরিক বাহিনী ছাড়া এই অবস্থা থেকে উত্তোরণ কিছুতেই সম্ভব নয়। তাই পাহাড়ে সেনাবাহিনী ক্যাম্প বাড়ানোর জোর দাবি জানান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টি নেতারা।
সংবাদ সম্মেলন শেষে গত ৭ মে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় ‘বান্দরবানে ভুমি বেদখল সরেজমিন পরিদর্শনে বাধা একটি বাহিনীর ইন্দনে’ শীর্ষক শীরোনামে প্রকাশিত সংবাদে মিথ্যাচার ও অহেতুক একটি বাহিনীকে দোষাররোপের প্রতিবাদ স্বরুপ প্রথম আলো পত্রিকায় আগুন দেয় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টি নেতারা।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply