১৭ মে ২০২৪ / ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ৩:৩২/ শুক্রবার
মে ১৭, ২০২৪ ৩:৩২ পূর্বাহ্ণ

দেশপ্রেম ও নারী জাগরণে চট্টগ্রামের ইতিহাস গৌরবের- রাষ্ট্রদূত মাজেদা রফিকুন নেসা

     

 

 

বৃটিশ শাসনামল থেকে আজ পর্যন্ত দেশপ্রেম ও নারী জাগরণের ইতিহাসে চট্টগ্রামের নারী সমাজের ভূমিকা অপরিসীম। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন, রাষ্ট্রভাষা বাংলা আন্দোলন ও মহান স্বাধীনতা আন্দোলনে চট্টগ্রামের বিপ্লবী নারীদের অবদান উল্লেখযোগ্য। বিপ্লবী প্রীতিলতা ওয়াদ্দাদারের বৃটিশ বিরোধী বিপ্লব ও জীবন উৎসর্গ সমগ্র পৃথিবীব্যাপী পরিচিত। সেই সূত্রধরে ৫২ সালের ভাষা আন্দোলন ও ৭১ সালের মহান স্বাধীনতা আন্দোলনে নারী সমাজ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। প্রাচীন সময় থেকে চট্টগ্রামের নারী সমাজের অবদানের কথাগুলো বর্তমান প্রজন্মের কাছে যথানিয়মে তুলে ধরতে পারলে বর্তমান প্রজন্ম সমৃদ্ধি লাভ করবে। কারণ নারীর উন্নয়ন ছাড়া দেশ উন্নয়ন অসম্ভব। যতবেশি নারী শিক্ষিত হবে ততবেশি সমাজ ও পরিবারের উন্নয়ন ঘটবে। তাই নারী শিক্ষার উপর আরো গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে নারীর অধিকার সচেতনতার বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশ, জাতি ও পারিবারিক উন্নয়ন সম্ভব। ২৫ ফেব্র“য়ারি সকালে চট্টগ্রাম নগরীর একটি রেস্তোরায় বিপ্লবী তীর্থ চট্টগ্রাম পরিষদ ও ইতিহাস পত্রিকা কিরাত বাংলার আয়োজনে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা আন্দোলনে নারী সমাজের অবদান শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ফিলিপাইনের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত মাজেদা রফিকুন নেসা উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও লেখক চট্টগ্রাম নটরডেম স্কুল এন্ড কলেজের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হোসেন মুরাদের সভাপতিত্বে এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ফিলিপাইনের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত মাজেদা রফিকুন নেসা। বিপ্লবীদের তীর্থ ভূমিখ্যাত চট্টগ্রামের নারী সমাজ শীর্ষক একটি প্রবন্ধ পাঠ করেন ইতিহাস গবেষক ও ইতিহাস পত্রিকা কিরাত বাংলার সম্পাদক সোহেল মুহাম্মদ ফখরুদ-দীন। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ ভারতের বিশিষ্ট নারীনেত্রী ও কথা সাহিত্যিক কবি কনিকা দাশ। উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট লেখক ও কথা সাহিত্যিক দীপালী ভট্টাচার্য্য। বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক এ কে এম আবু ইউসুফের সঞ্চালনায় এই আলোচনা অংশগ্রহণ করেন, ভারতীয় লেখক ও কবি দুলাল গোবিন্দু সরকার, কবি শ্যামলী সেনগুপ্ত, কথা সাহিত্যিক তাপসী পাল, কবি সুনীল চক্রবর্তী, কবি শিখা চৌধুরী, প্রাবন্ধিক কাবেরী বিশ্বাস, কবি দেবযানী সেনগুপ্ত, কোয়েলী গাঙ্গুলী, কবি শিবদাশ মুখার্জী, অধ্যাপক ড. মিনা মুখার্জী, বাংলাদেশের বিশিষ্ট ভাষা গবেষক ড. এম এ মোক্তাদীর, কবি মেহেরুন নেসা রশিদ, কবি নাছিমা রহমান শিউলী, কবি মানিক মজুমদার, কবি নুরুন নাহার বেগম, মুক্তিযোদ্ধা প্রবীন সাংবাদিক জামাল উদ্দিন, প্রবীন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক জীতেন্দ্রলাল বড়–য়া, প্রবীন শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ নুরুল আলম, ছড়াকার নাছির বিন ইব্রাহিম, সৈয়দ শিবলী ছাদেক কফিল, সাফাত বিন সানাউল্লাহ, অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইউনুচ কুতুবী, অধ্যাপক দিদারুল আলম, মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, অজয় নাথ, বিপুল কুমার চৌধুরী, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, শাহ নুর আলম প্রমূখ। সভার শুরুতে বাংলাদেশের ঢাকার চকবাজারে আগুনে পুড়ে নিহতদের স্মরণে রাষ্ট্রীয় ঘোষিত শোকের অংশ হিসেবে দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়। সভায় ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে আগত ১৭ জন নারী লেখক গবেষক কবি সাহিত্যিকদের কিরাত বাংলা ইতিহাস পত্রিকার পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply