ঠাকুরগাঁওয়ে ৫দিন পর ধর্ষণ মামলার মূল আসামী গ্রেফতার
হিমেল তালুকদার,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ॥ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ঢাঙ্গীপাড়া এলাকার প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে ৫ দিন পর ধর্ষক আশরাফুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধর্ষক আশরাফুলকে ঠাকুরগাঁও রোড এলাকায় জনৈক কাজীর বাড়ি থেকে আটক করে বলে সদর থানার ওসি মশিউর রহমান নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার (০১ মে) প্রতিবন্ধী ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে ধর্ষক আশরাফুল ইসলামকে আসামি করে ঠাকুরগাঁও থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
মামলার বাদী প্রতিবন্ধী কিশোরীর মা জানান, আমার স্বামী ও আমি দিন মজুরের কাজ করি। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বাড়িতে প্রতিবন্ধী মেয়ে একাই থাকে। প্রতিদিনের ন্যায় গত ২৯ এপ্রিল আমরা স্বামী-স্ত্রী কাজের জন্য সকালে বের হই। প্রতিবন্ধী মেয়েটি বাসায় একায় থাকার কারণে দুপুরে আশরাফুল ইসলাম ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে।
একপর্যায়ে প্রতিবন্ধী মেয়েটির গোঙ্গানির শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে দেখে ধর্ষক আশরাফুল। এ সময় লোকজনকে ধাক্কা দিয়ে আশরাফুল দৌড়ে পালিয়ে যায়।
বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়ে গেলে আশরাফুল প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশের সহযোগিতায় প্রতিবন্ধীর মা আশরাফুল ইসলামকে আসামি করে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
পুলিশ জানায়, ঘটনার পর থেকে ধর্ষক আশরাফুলকে গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায় পুলিশ। এলাকা থেকে আশরাফুল গাঁ ঢাকা দেয়। অবশেষে পুলিশ কৌশলে মুঠোফোনে বিয়ের ফাঁদে ফেলে আশরাফুলকে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে ঠাকুরগাঁও সদর থানার (এসআই) সাইফুর রহমান ধর্ষক আশরাফুলকে ঠাকুরগাঁও রোড এলাকায় জনৈক কাজীর বাড়ি থেকে আটক করে।
ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান ধর্ষক আশরাফুলকে আটক করার খবর নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষককে কোনো ভাবেই আইনের আওতায় আনতে পারছিলাম না, তাই বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে তাকে আটক করা হয়েছে।
