১৭ মে ২০২৪ / ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ১২:০৭/ শুক্রবার
মে ১৭, ২০২৪ ১২:০৭ পূর্বাহ্ণ

১৯নং দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ডে উঠান বৈঠকে সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম জলাবদ্ধতা নিরসন না করে যেন আমার মৃত্যু না হয়

 জলাবদ্ধতা নিরসনে ১৯ নং দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ডে বসবাসরত স্থানীয়দের সাথে উঠান বৈঠকে বক্তব্য রাখছেন সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম উঠান বৈঠক রুপ নেয় জনসভায়

     

চাক্তাই হতে কালুরঘাট পর্যন্ত কর্ণফুলীর তীরে বাঁধ ও রাস্তা নির্মাণ ও খাল খনন, সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন প্রকল্প সমুহের বাস্তবায়ন ও জনসচেতনতা সৃষ্টি লক্ষে প্রকল্প আওতাভুক্ত সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের জনসাধারণের সাথে ধারাবাহিকভাবে মতবিনিময় ও উঠান বৈঠক পরিচালনা করছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
তারই ধারাবাহিকতার কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গতকাল বিকালে ১৯নং দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ডে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিডিএ বোর্ড সদস্য কেবিএম শাহজাহান। হাজি মুসলিম খান সওদাগরের বাড়ীর উঠানে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগ নেতা আবদুল মান্নান ও জসিম উদ্দিন।
বিশিষ্ট সমাজ সেবক আজিজ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি সকল সংস্থাকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এ সমস্যার সমাধান করতে কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক। আমাদের সবাইকে একটু ধর্য্য ধারণ করতে হবে। একদিনে এ সমস্যার সমাধান হবে না। তবে আগামী এক বছরের মধ্যে জলাবদ্ধতা সমস্যার দৃশ্যমান পরিবর্তন আপনারা দেখতে পাবেন। সবাই দোয়া করবেন, যেন জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান না করে আল্লাহ আমার মৃত্যু না করেন।
তিনি বলেন, বাকলিয়াবাসী অত্যান্ত সরল-সহজ মানুষ। এ সরলতার সুযোগ নিয়ে অনেকেই বাকলিয়াবাসিদের বার বার ধোঁকা দিয়েছে। আমি সে ধোঁকার রাজনীতি করি না। আমি কথা কম বলি, কাজ করি বেশি। তার প্রমাণ আপনারা ইতিমধ্যে পেয়েছেন। আল্লাহর রহমতে, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজেও সেটার প্রমাণ পাবেন।
চট্টগ্রাম অভিবাবকহীন নয় জানিয়ে সিডিএ চেয়ারম্যান বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প বাধাগ্রস্থ করতে ইতিমধ্যে ভূমিদস্যুরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। যা কোনভাবেই চট্টগ্রামাবাসীর জন্য কার্ম্য নয়। ভূমিদস্যুদের ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। চট্টগ্রাম অভিভাবকহীন নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খোদ চট্টগ্রামের অভিভাবক। তিনি জলাবদ্ধতার প্রকপ দেখে নিজেই উদ্যোগ নিয়ে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রকল্প অনুমোদন করেছেন।
এলাকাবাসীকে সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়ে আবদুচ ছালাম বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসন শুধু সরকারের একার কাজ নয়। আপনাদেরও সচেতন হতে হবে। আপনারা যত্রতত্র-খালের মধ্যে আবর্জনা ফেলবেন না। খালের পাড় দখল করবেন না। অবৈধ দখলে থাকলে আল্লাহর ওয়াস্তে দখলমুক্ত করে দেন। আমাকে দুর্বল ভাববেন না। কোথাও খাল দখল করতে দেখলে বাধা দিবেন, দায়িত্বশীল সংস্থাকে জানাবেন। সবাই সজাগ হলে জলাবদ্ধাতা থেকে সহজে মুক্তি মিলবে।
সভায় বক্তারা বলেন, সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বাকলিয়াবাসীর জলমগ্নতা দেখে ধুমখেতুর মতো আবিভাব হয়েছেন। তিনিই পারবেন, আমাদের জলবদ্ধতার এই দুর্দশা থেকে মুক্তি দিতে। আমাদের বিশ্বাস, জলাবদ্ধতা জলে যাবে, সিডিএ চেয়ারম্যানের হাত ধরে চট্টগ্রামবাসী মুক্তি পাবে।
বক্তারা আরো বলেন, বাকলিয়াবাসী বর্তমানে দিনে দুইবার জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায়। আশা করি সিডিএ চেয়ারম্যান আমাদের জোয়ারের এ দুর্ভোগ থেকে রেহাই দিতে দ্রুত পদক্ষেপ নিবেন। সিডিএ চেয়ারম্যান ছাড়া আমাদের আর কোন অভিবাবক নেই। তাই এ সমস্যার সমাধানের জন্য আমাদের যাওয়ার অন্য কোন জায়গাও নেই। সিডিএ চেয়ারম্যানের হাত ধরেই আমরা এ দুর্ভোগ থেকে রেহাই পেতে চাই। আপনার নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সব সময় থাকবো। যা যা করনীয় আমরা বাকলিয়াবাসী তা করবো।
শফিউল আজম হিরু‘র সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আবদুল মতিন সওদাগর, হাফেজ হারুনু রশীদ, শাহ আলম সওদাগর, জয়নাল আবেদীন, জোবায়ের আলম মাস্টার, ইরফানুল হক সিদ্দিকী, গাফফার খান, জাব্বার খান, আবদুর সবুর, সর্দ্দার দেলোয়ার, হাজি ইউসুফ চৌধুরী, আইয়ুব সর্দ্দার, শফিউল আজম বাহার, জাহাঙ্গীর আলম জেবু, ইকবাল খান, জাফর আহমেদ, নুর মোহম্মদ পুতুল, ছাত্রনেতা এম মোহম্মদ রনি প্রমুখ।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply