মুহাম্মদ মনছুর আনোয়ারা থেকে
নজু মিয়ার খাল এখন মৃত খালে পরিণত হয়েছে। শুধুমাত্র খননের অভাবে খালটির এই দশা হয়েছে। এটি আনোয়ারা উপজেলার গহিরায় শঙ্খ ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় অবস্থিত ।
জানা গেছে, এ অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ সাগরে গিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে । ফলে এ খালের গুরুত্ব ছিল অতুলনীয়। সাগর থেকে মাছ ধরে এনে এই খালে বেচা-কেনা হতো। মৎস্যজীবীদের পদচারণায় তিল ধারণের জায়গা হতো না এখান। ফিশিং ট্রলার ও বোট গুলো এ খালে নোঙর করতো। খালে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় বোট গুলো শঙ্খ নদীর কিনারেও নোঙর করতো। সেই খাল আজ মৃত খালে রূপান্তর হয়েছে। ভাবতেও ভীষণ কষ্ট লাগছে।
তাছাড়া বেরিবাঁধ থেকে শঙ্খের কিনার পর্যন্ত মৎস্যজীবী জেলেদের যাতায়াত সুবিধার জন্য ৮/১০ ফুটের একটা রাস্তাও আছে। যেটা সংস্কার ও মেরামতের অভাবে সাগরের ঢেউয়ে ভেঙ্গে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। চার দশক ধরে এ খালের কোনো সংস্কার কিংবা খনন কিছুই হয়নি। করা হয়নি নজু মিয়ার খাল সুইসগেটের সংস্কার কিংবা মেরামত। ফলে সাগরের জোয়ারের নোনা পানি অনায়াসে সহজে ঢুকে পড়ে লোকালয়ে। এতে কৃষক ও ফসল চাষাবাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়। উদ্যোগ নেওয়া হয়নি কখনো সাগরের নোনা পানির প্রবেশ ঠেকানোরও। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ছোট বড় শাখা প্রশাখা মিলিয়ে খালের দৈর্ঘ্য হবে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার। খননের অভাবে খালের নাব্যতা যেমন হারিয়ে গেছে তেমনি যে যার মতো করে ভরাট করে দখল করে নিয়েছে। ফলে খালের প্রশস্থতা কমিয়ে খাল এখন নালায় রূপান্তর হয়েছে। বিধায় দখল আর ভরাটে খাল এখন মৃত। দেশে মৃত খাল ও নদীর সংখ্যা যত বাড়ছে তেমনি জলাবদ্ধতা প্রকোপ আকার বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা থেকে বন্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষক আর ফসল ও চাষাবাদের। এলাকাবাসীর দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে আশু পদক্ষেপ নেবেন।



