মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম -৪ সীতাকুণ্ড থেকে নির্বাচিত সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী, জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার ইঞ্জিনিয়ার আলহাজ এল কে সিদ্দিকীর ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী কাল।
এ উপলক্ষে মরহুমের পরিবার, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও অঙ্গ সংগঠন সমুহের পক্ষ থেকে পৃথক পৃথক ভাবে সীতাকুণ্ডের মুরাদপুর ইউনিয়নের দঃ রহমত নগর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণ, খতমে কোরআন,মিলাদ মাহফিল,আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে।
২০১৪ সালের এই দিনে তিনি সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছিলেন।
১৯৭৯ সালে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) সাধারণ নির্বাচনে তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ, পানিসম্পদ ও বন্যানিয়ন্ত্রণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নিযুক্ত হন। ১৯৮১-৮২ সময়কালে তিনি সেচ, পানি উন্নয়ন ও বন্যানিয়ন্ত্রণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালে জাতীয় সংসদের আবারও সদস্য নির্বাচিত হন। এই সংসদে তিনি পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনেও তিনি সাংসদ নির্বাচিত হন এবং ১০ অক্টোবর ২০০১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত পানিসম্পদমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। ১৯৭৯ সালে তিনি জাতিসংঘের ৩৪তম সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ রেসিডেন্সিয়াল এরিয়া সোশিও কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, আগ্রাবাদ বালিকা বিদ্যালয়, আগ্রাবাদ মহিলা কলেজ, বিজয় সরণি কলেজ এবং সীতাকুণ্ড বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের প্রতিষ্ঠাতা। তা ছাড়া তিনি ছিলেন চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের সাবেক সভাপতি।
অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান (১৯৯২-৯৪), রোটারি ডিস্ট্রিক্টের (৩২৮০) গভর্নর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সদস্য। অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্সের (এই) সাবেক সভাপতি।
এল কে সিদ্দিকীর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো তিনি ছিলেন একজন ভালো মানুষ। এই সমাজে ভালো মানুষের দুর্ভিক্ষ চলছে। এই দুর্ভিক্ষের মরুভূমিতে তিনি ছিলেন মহামূল্যবান, শ্যামলিমায় ঘেরা।
সীতাকুণ্ড উপজেলার ৪নং মুরাদপুর ইউনিয়নের দঃ রহমতনগর গ্রামে তিনি চির নিদ্রায় শায়িত আছেন।

শেয়ার করুনঃ