১ মে ২০২৪ / ১৮ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ৭:১২/ বুধবার
মে ১, ২০২৪ ৭:১২ পূর্বাহ্ণ

ড্রেনে পড়ে মৃত্যু কাম্য নয়

     

মাহমুদুল হক আনসারী

ড্রেনে পড়ে মৃত্যু কারো কাম্য নয়। চট্টগ্রামে সাম্প্রতিক
সময়ে ড্রেনে পড়ে দুটি তাজা প্রাণ ঝড়ে পড়েছে।
মাসখানিক পূর্বে একজন ব্যবসায়ী চট্টগ্রামের মুরাদপুরে
ড্রেনের পানিতে পড়ে নিখোঁজ রয়েছে। আজ লেখাটি লেখার
সময় আরো একজন নারী শিক্ষার্থীর ড্রেনে পড়ে মৃত্যুর সংবাদ
পত্রিকায় পড়লাম। বাংলাদেশে কোনো না কোনো জেলাতে এভাবে
অসংখ্য জীবন ড্রেনে পড়ে মৃত্যু হচ্ছে। কাউকে পাওয়া যাচ্ছে
আবার কাউকে পাওয়াই যাচ্ছেনা। এটা মর্মান্তিক মৃত্যু। এসব
মৃত্যু অস্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে মনে করলেও কিন্তু কেউ মেনে
নিতে পারছিনা। ড্রেনতো সেটা পানি নিস্কাশনের জন্য
সেটার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটা কর্তৃপক্ষ আছে। তাহলে
কেনো ড্রেনে পড়ে মানুষের মৃত্যু হবে? ড্রেন এসব পানি
নিস্কাশনের চলাচলের যে নিয়মনীতি রয়েছে তার কী যথাযথভাবে
কর্তৃপক্ষ দেখছে? বাংলাদেশে অসংখ্য ড্রেন রয়েছে যা মানুষের
মঙ্গলের জন্য। শহর বাড়ি নগর রক্ষার জন্য। এগুলো পরিবেশ সমাজ
নগরকে সুরক্ষা করবে। কিন্তু এসব সুরক্ষা সামগ্রীর কাছে মানুষ
কেনো মৃত্যুবরণ করবে? নালা ড্রেন এগুলোতো সমাজের
প্রয়োজন। কিন্তু এসব নালা ড্রেনে মানুষ কেনো ময়লা
আবর্জনা ফেলে নালা চলাচলকে বাধাগ্রস্থ করছে। নালা ড্রেন দখল
করে একশ্রেণীর মানুষ দোকান ঘর মার্কেট তৈরি করছে। সেটাও
দূষণীয় বিষয়। আবার নালাতে আবর্জনা ফেলে পানি নিস্কাশনের
ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্থ করা সেটাও দূষণীয় অন্যায় এবং অপরাধ।
এসব করছে মানুষ জনগণ নাগরিকরা। তাহলে আমি আমার
পরিবেশকে নষ্ট করছি। সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন
পরিষদ যারাই এসব কার্যক্রমের দেখভাল করবেন তাদেরতো দায়িত্ব
আছেই। তাদের উচিত ড্রেন নালা রক্ষণাবেক্ষণ তদারকী করা। নালার
ড্রেনের ময়লা আবর্জনা যথাসময়ে পরিচ্ছন্ন রাখা।
প্রতিবন্ধকতা দূর করা। জনগণের চলাচলের জন্য ড্রেনকে
সঠিকভাবে তৈরি করা রক্ষা করা এসব সিটি কর্পোরেশনের

দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তাহলে এসব সেবা প্রতিষ্ঠান কেনো
তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছেনা। দূর্ঘটনার মাধ্যমে
কেউ যদি ড্রেনে পড়ে মৃত্যুবরণ করে তখন প্রতিষ্ঠানগুলো নড়ে
চড়ে বসে। সেটা হবে কেনো। যেসব মানুষগুলো প্রতিদিন
এসবের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তাদের জন্য একটু দুঃখ প্রকাশ
করাই কি এর সমাধান। মোটেও না, সভ্য সমাজে এসব মানায়
না। হাজার হাজার ড্রেন রয়েছে এবং এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য
কর্তৃপক্ষের হাজার কোটি টাকার প্রকল্প আছে। তাহলে ওইসব
ড্রেনে মানুষ মারা যাবে কেনো। এর জবাব মনে হয় কর্তৃপক্ষ
দিতে পারবেনা। কয়জনের মৃত্যু সংবাদ সংবাদমাধ্যমে পাচ্ছি।
অহরহ মৃত্যু এবং অঙ্গহানি চিরদিনের জন্য পঙ্গু হওয়ার মতো
দুর্ঘটনা এসব ড্রেন এবং নালার কারণে হচ্ছে। সেটাকে
কেউই অস্বীকার করতে পারবেনা। আমার কথা হচ্ছে ড্রেনের
রক্ষণাবেক্ষণ যেমনিভাবে দরকার। একইভাবে চলাচলে নাগরিক
সচেতনতা আরো বেশী দরকার। কারণ নাগরিকরাই নালা এবং
ড্রেইন ব্যবার করছে। আবার সেই নাগরিকরাই নালা নর্দমা
ড্রেইনকে হজবর করে রাখছে। ময়লা আবর্জনা উচ্ছিষ্ট ফেলে
নালার নব্যতা নষ্ট করছে। তাহলে কাকে দায়ী করবো এসব মৃত্যুর
জন্য। আমরা সচেতন জনগণ এ ধরনের অপমৃত্যু চাইনা। উন্নত
দেশে ড্রেইনে পড়ে মৃত্যুর সংবাদ শুনা যায়না। বাংলাদেশ
উন্নয়নের মহাযজ্ঞে এগিয়ে চলছে। উন্নয়ন শহর গ্রাম নগরে
একই নিয়মে হচ্ছে। উন্নয়নের প্রকল্প যেনো মৃত্যুর কারণ না
হয়। উন্নয়ন প্রকল্প গুলোকে যথাসময়ে শেষ না করার কারণে অনেক
জায়গায় জনভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। সেটাও
উন্নয়ন পরিপন্থী। প্রকল্প পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সঠিক সময়ের
মধ্যেই শেষ করা চায়। প্রকল্পের বাস্তবায়নের দীর্ঘ অহেতুক বিলম্ব
সময় পার করে জনভোগান্তি মেনে নেয়া যায়না। সিটি
কর্পোরেশন ,সিডিএ, ওয়াসা সবগুলো সেবা সংস্থাকে
সমন্বিত ভাবে উন্নয়ন কর্মকান্ড যথাসময়ে শেষ করা চায়।
সচেতন মহল ড্রেইনে পড়ে অযাচিত মৃত্যু কামনা করেনা।
এভাবে যারা সাম্প্রতিক সময়ে মৃত্যুবরণ করেছে তাদের প্রতি

গভীরভাবে সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে
তাদের ক্ষতিপূরণের দাবির আহবান জানাচ্ছি।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

অবৈধ ব্যাটারী রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে চট্টগ্রাম মহানগরী রিক্সা মালিক চালক ঐক্য পরিষদের এক সভা আজ সন্ধ্যা ৭ টায় লালখান বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের আহŸায়ক আব্দুল কাদের মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন হাজারী। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বাবু টিটু মহাজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল জাহেদ জসিম, রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম। সভায় বক্তারা বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার যে পাঁয়তারা চালাচ্ছে তা আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে রিকশা উচ্ছেদের এক গভীর ষড়যন্ত্র। তাই আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরীর রিকশা মালিকদের এক প্রতিনিধি সভার ডাক দিয়ে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে এ ধরণের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচলে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। আগামীতে এধরণের কর্মকাÐ রুখে দিতে আমরা আবারও উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব। তাই সময় থাকতে এ ধরণের অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট উদাত্ত আহŸান জানাচ্ছি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন-মহানগরী রিকশা মালিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম কোম্পানী, মোঃ করিম কোম্পানী, মোখলেচুর রহমান, সিটি রিকশা মালিক পরিষদের সদস্য মোঃ সোহাগ, মোঃ মহিবুল্লাহ, লিটন দাশ, মুহাম্মদ সোলায়মান প্রমুখ। অবৈধ ব্যাটারী রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে চট্টগ্রাম মহানগরী রিক্সা মালিক চালক ঐক্য পরিষদের এক সভা আজ সন্ধ্যা ৭ টায় লালখান বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের আহŸায়ক আব্দুল কাদের মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন হাজারী। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বাবু টিটু মহাজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল জাহেদ জসিম, রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম। সভায় বক্তারা বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার যে পাঁয়তারা চালাচ্ছে তা আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে রিকশা উচ্ছেদের এক গভীর ষড়যন্ত্র। তাই আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরীর রিকশা মালিকদের এক প্রতিনিধি সভার ডাক দিয়ে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে এ ধরণের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচলে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। আগামীতে এধরণের কর্মকাÐ রুখে দিতে আমরা আবারও উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব। তাই সময় থাকতে এ ধরণের অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট উদাত্ত আহŸান জানাচ্ছি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন-মহানগরী রিকশা মালিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম কোম্পানী, মোঃ করিম কোম্পানী, মোখলেচুর রহমান, সিটি রিকশা মালিক পরিষদের সদস্য মোঃ সোহাগ, মোঃ মহিবুল্লাহ, লিটন দাশ, মুহাম্মদ সোলায়মান প্রমুখ।

Leave a Reply