৬ মে ২০২৪ / ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ৩:৪৪/ সোমবার
মে ৬, ২০২৪ ৩:৪৪ পূর্বাহ্ণ

৩ অক্টোবর অধ্যাপক নুরুল ইসলাম চৌধুরী’র ২৫তম মৃত্যু বার্ষিকী

     

 

৩ অক্টোবর ২০২০ অধ্যাপক নুরুল ইসলাম চৌধুরী’র ২৫তম মৃত্যু বার্ষিকী। অধ্যাপক নুরুল ইসলাম চৌধুরী ১৩ জানুয়ারী ১৯২৭ সালে চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানার গোবিন্দর খীল গ্রামের সম্ভ্রান্ত হাদু চৌধুরী বংশে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম আবদুস ছমদ চৌধুরীর সরকারী চাকুরির সুবাদে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাঁর লেখাপড়ার সুযোগ ঘটে। বাল্যকাল থেকেই তিনি খুব মেধাবী ও চিন্তাশীল ছিলেন। ১৯৪২ সালে বরিশাল জিলা স্কুল থেকে এন্ট্রান্স, ১৯৪৪ সালে কলকাতা স্কটিস চার্চ কলেজ থেকে আই, এ ও ১৯৪৭ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে বি, এ পাস করেন। ১৯৫২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে এম, এ এবং ১৯৫৪ সালে এল, এল, বি ডিগ্রী লাভ করেন। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি ছাত্র রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। ১৯৪৬-৪৭ সাল পর্যন্ত তদানীন্তন বঙ্গীয় মুসলিম ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৪৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিম্ন কর্মচারীদের ধর্মঘটের সময় সলিমুল্লাহ মুসলিম ছাত্রবাস থেকে বহিষ্কৃৃত হন। ১৯৫১ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলনের ছিলেন অগ্র সৈনিক। ১৯৫২ থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলা যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৫৩ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, ১৯৫৫ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম সদর মহকুমা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। উল্লেখ্য যে তিনি রাজনৈতিক কারণে নানা সময়ে কারা বরণ করেন। ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রামের বিভিন্ন কলেজে অধ্যাপনা করেন এবং মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত ঢাকা সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন পূর্বাঞ্চলীয় এক নম্বর জোনাল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এবং পূর্বাঞ্চল যুব শিবিরের এক নম্বর সেক্টরের পরিচালক ছিলেন। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন। অধ্যাপক নুরুল ইসলাম চৌধুরী ১৯৭০ সালে তৎকালীন জাতীয় পরিষদের সদস্য ও ১৯৭৩ সালে পটিয়া নির্বাচনী এলাকা থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৭৩ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন মন্ত্রী সভায় তিনি শিল্প প্রতিমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদ সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী শাখার সহ-সভাপতি ছিলেন। ঢাকাস্থ পটিয়া সমিতির সভাপতি ও চট্টগ্রাম শহরে “পটিয়ার ইতিহাস ও ঐতিহ্য” গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। ছাত্র জীবন থেকেই সমাজ সেবা, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন। চট্টগ্রাম সিটি কলেজ, পটিয়া কলেজ, আইন কলেজ, আর্য সঙ্গীত বিদ্যালয় পরিচালনায় সম্পৃক্ত ছিলেন। অধ্যাপক নুরুল ইসলাম চৌধুরী দীর্ঘদিন দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে ১৯৯৫ সালে ৩রা অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটায় চট্টগ্রাম উপশম ক্লিনিকে ৭০ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এবং পৈত্রিক হাদু চৌধুরী জামে মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। অধ্যাপক নুরুল ইসলাম চৌধুরীর রাজনৈতিক জীবন দীর্ঘ বর্ণাঢ্য ও দীপ্তময়। আজীবন তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতিতে জড়িত থেকে এই আদর্শ প্রতিষ্ঠায় অনেক ত্যাগ স্বীকার করেন। তাঁর মতো আদর্শবান, কর্মনিষ্ঠ, আত্মত্যাগী নেতার মৃত্যুতে এ দেশ এক বরেণ্য সন্তানকে হারালো। তাঁর দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনের বিজয়গাথা চিরদিন দেশবাসীর অন্তরে অম্লান হয়ে থাকবে।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

অবৈধ ব্যাটারী রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে চট্টগ্রাম মহানগরী রিক্সা মালিক চালক ঐক্য পরিষদের এক সভা আজ সন্ধ্যা ৭ টায় লালখান বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের আহŸায়ক আব্দুল কাদের মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন হাজারী। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বাবু টিটু মহাজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল জাহেদ জসিম, রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম। সভায় বক্তারা বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার যে পাঁয়তারা চালাচ্ছে তা আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে রিকশা উচ্ছেদের এক গভীর ষড়যন্ত্র। তাই আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরীর রিকশা মালিকদের এক প্রতিনিধি সভার ডাক দিয়ে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে এ ধরণের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচলে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। আগামীতে এধরণের কর্মকাÐ রুখে দিতে আমরা আবারও উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব। তাই সময় থাকতে এ ধরণের অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট উদাত্ত আহŸান জানাচ্ছি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন-মহানগরী রিকশা মালিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম কোম্পানী, মোঃ করিম কোম্পানী, মোখলেচুর রহমান, সিটি রিকশা মালিক পরিষদের সদস্য মোঃ সোহাগ, মোঃ মহিবুল্লাহ, লিটন দাশ, মুহাম্মদ সোলায়মান প্রমুখ। অবৈধ ব্যাটারী রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে চট্টগ্রাম মহানগরী রিক্সা মালিক চালক ঐক্য পরিষদের এক সভা আজ সন্ধ্যা ৭ টায় লালখান বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের আহŸায়ক আব্দুল কাদের মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন হাজারী। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বাবু টিটু মহাজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল জাহেদ জসিম, রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম। সভায় বক্তারা বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার যে পাঁয়তারা চালাচ্ছে তা আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে রিকশা উচ্ছেদের এক গভীর ষড়যন্ত্র। তাই আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরীর রিকশা মালিকদের এক প্রতিনিধি সভার ডাক দিয়ে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে এ ধরণের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচলে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। আগামীতে এধরণের কর্মকাÐ রুখে দিতে আমরা আবারও উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব। তাই সময় থাকতে এ ধরণের অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট উদাত্ত আহŸান জানাচ্ছি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন-মহানগরী রিকশা মালিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম কোম্পানী, মোঃ করিম কোম্পানী, মোখলেচুর রহমান, সিটি রিকশা মালিক পরিষদের সদস্য মোঃ সোহাগ, মোঃ মহিবুল্লাহ, লিটন দাশ, মুহাম্মদ সোলায়মান প্রমুখ।

Leave a Reply