বান্দরবানের সঙ্গে চট্টগ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
অবিরাম ভারি বর্ষণে বান্দরবানের সাঙ্গু নদীর পানি বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পাড়ের অনেক বাড়ি স্রোতে ভেসে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে, প্রধান সড়কে পানি ওঠায় বান্দরবানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।গতকাল সোমবার বিকেলে জেলার কেরানী হাটের বাজালিয়ার বুড়ির দোকান অংশের সড়ক পানিতে তলিয়ে যায়। এরপরও ভারি যান চলাচল করছিল।
কিন্তু, মঙ্গলবার সকালে সাতকানিয়ার বাজালিয়া অংশে সড়কের উপর দিয়ে কয়েক ফুট উচ্চ পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে এ সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
অনেক অংশে প্রবল বর্ষণের ফলে পাহাড়ধসে সড়কে পড়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় সেগুলো সরানোও সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে, সাঙ্গু নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। এখন সড়কের কয়েক ফুট উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে সহস্রাধিক ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। বান্দরবানের সঙ্গে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। যান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে বান্দারবান-রাঙ্গামাটি সড়কেও।
পাহাড়ধসে সড়কে পড়ায় বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচিতে ঝুঁকি নিয়ে চলছে পরিবহন।
টানা বর্ষণে বান্দরবানের সাঙ্গু ছাড়াও মাতামুহুরী এবং বাঁকখালী নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। লামা উপজেলা সদর অংশেও মাতামুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
নদী অববাহিকায় প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় পানি আরও বাড়ছে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।
বান্দরবান শহরের আশ্রয় কেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্তরা আশ্রয় নিয়েছেন। পাহাড়ের পাদদেশ থেকে লোকজনদের স্থানীয় প্রশাসন আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিয়েছে।
এসব আশ্রয়কেন্দ্রে সেনাবাহিনী, পৌরসভা ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাবার দেয়া হচ্ছে।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক দাউদুল ইসলাম জানান, পাহাড়ধস ও জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকশ’ পরিবারকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। সেখানে তাদের যাবতীয় সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
প্রাণহানি ঠেকাতে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের সরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।