২৯ এপ্রিল ২০২৪ / ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / বিকাল ৪:৫৪/ সোমবার
এপ্রিল ২৯, ২০২৪ ৪:৫৪ অপরাহ্ণ

তাহিরপুরের বালিয়াঘাট সীমান্তে চোরাই কয়লা জব্দ,চোরাচালানীদের আটক করেনি বিজিবি

     

 

সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বালিয়াঘাট সীমান্ত চোরাচালানীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। গতকাল ২৯.০৮.১৭ইং মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় লালঘাট এলাকার দিয়ে ভারত থেকে চোরাই পথে পাচাঁর করা ২৫০বস্তা কয়লার মধ্যে ৮০বস্তা (৫০কেজি ওজনের) চোরাই কয়লা আটক করেছে বিজিবি। কিন্তু চোরাচালানীদের আটক করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে।

এব্যাপারে বৈধ কয়লা ও চুনাপাথর ব্যবসায়ীরা জানান,সরকারের লক্ষলক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের লাকমা ও লালঘাট এলাকার ১০টি চোরাই পথ দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে অবাধে কয়লা,চুনাপাথর,সাদা পাথরসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য পাচাঁর করছে চাঁদাবাজি মামলার (জিআর-১৬৩/০৭ইং) জেলখাটা আসামী বিজিবির সোর্স পরিচয়ধারী দুধের আউটা গ্রামের জিয়াউর রহমান জিয়া,লালঘাট গ্রামের একাধিক চোরাচালান,বিজিবির ওপর হামলা ও চাঁদাবাজি মামলার জেলখাটা আসামী কালাম মিয়া,একাধিক চোরাচালান মামলার আসামী আব্দুর রাজ্জাক ও তাদের একান্ত সহযোগী বিজিবির সোর্স পরিচয়ধারী লাকমা গ্রামের চোরাচালানী আব্দুল হাকিম ভান্ডারী,তিতু মিয়া,রতন মহলদার,মানিক মিয়া ও হাসান আলী পীর গং। প্রতিদিনের মতো গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চোরাচালানী হাসান আলী পীর ও কালাম মিয়া লালঘাট এলাকা দিয়ে ভারত থেকে ২৫০বস্তা কয়লা পাচাঁর করে হাসান আলী পীরের বাড়ির পিচনে মজুদ করে রাখে। পরে বিজিবি অভিযান চালিয়ে ৮০বস্তা কয়লা আটক করে বাকি কয়লার বস্তাগুলো ছেড়ে দিলে চোরাচালানীরা ইঞ্জিনের নৌকা দিয়ে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সামনে অবস্থিত দুধেরআউটা গ্রামের জিয়াউর রহমান জিয়ার বাড়ির সামনে নিয়ে বিক্রি করে। পাচাঁরকৃত মালামালের মধ্যে চোরাই কয়লার প্রতি বস্তা থেকে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের নামে ৭০টাকা,টেকেরঘাট কোম্পানী কমান্ডারের নামে ৩০টাকা,থানার নামে ৫০টাকা,কাস্টমসের নামে ৫০টাকা,দুই সাংবাদিকের নামে ২০টাকা ও রাস্তা মেরামতের নামে ৫০টাকাসহ মোট ২৮০টাকা এবং প্রতিট্রলি চুনাপাথর থেকে বিজিবির ২ ক্যাম্পের নামে ২৫০টাকা,থানার নামে ১২০টাকা,সাংবাদিকদের নামে ৮০টাকা,কাস্টমসের নামে ১০০টাকাসহ ৫৫০টাকা ও টেকেরেঘাট ও লাকমাছড়া দিয়ে ভারত থেকে প্রতিদিন  ৩শ থেকে ৪শত ট্রলি বল্ডার ও সিংগেল পাথর পাচাঁর করার জন্য প্রতিট্রলি পাথর থেকে বিজিবির ২ ক্যাম্পের নামে ১০০টাকা,থানার নামে ৭০টাকা,সাংবাদিকের নামে ২০টাকাসহ ২০০টাকা চাঁদা নিচ্ছে জিয়াউর রহমান জিয়া,কালাম মিয়া,আব্দুল হাকিম ভান্ডারী ও তিতু মিয়া।

গত ২৬.০৮.১৭ইং শনিবার লাকমা সীমান্ত দিয়ে চোরাই কয়লা পাচাঁরের সময় ট্রলির নিচে পৃষ্ট হয়ে শাহআলম(৩৫) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৩.০৮.১৭ইং বুধবার দুপুর ১টায় হাসান আলী পীর ও কালাম মিয়া নেতৃত্বে ভারত থেকে চোরাই কয়লা পাচাঁর করার সময় লালঘাট গ্রামের মতিউর রহমান (৪৫) নামের এক চোরাচালানীকে ধরে নিয়ে যায় ভারতীয় বিএসএফ। এছাড়া গত বছরের এই সময় বালিয়াঘাট গ্রামের চোরাচালানী আব্দুর রাজ্জাক ও কালাম মিয়ার নেতৃত্বে লালঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে কয়লা পাচাঁর করার সময় চোরাই কয়লার গুহায় মাটি চাপা পড়ে বশির মিয়া (২৮) নামের এক চোরাচালানীর মৃত্যু হয়। তার আগে লাকমা সীমান্ত দিয়ে জিয়াউর রহমান জিয়া ও আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে ভারত থেকে কয়লা পাচাঁর করার সময় চোরাই কয়লার গুহায় মাটি চাপা পড়ে আরো ২ চোরাচালানীর মৃত্যু হয়।

এব্যাপারে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার ফিরোজ বলেন,এসব ব্যাপারে এত লেখালেখি না করে ক্যাম্পে আসুন আলোচনার মাধ্যমে সব কিছুর সমাধান করি।

সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক নাসির উদ্দিন বলেন,সীমান্ত চোরাচালান চোরাচালান প্রতিরোধের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply