৮ মে ২০২৪ / ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ২:২১/ বুধবার
মে ৮, ২০২৪ ২:২১ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রা্মে ফলমুণ্ডির হোটেল সিলেটে এসব কী হচ্ছে?

     

যত খদ্দর তত লাভ দালাল, পতিতা ও মালিকের

ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি

চট্টগ্রা্মের ফলমুণ্ডির হোটেল সিলেটে আবাসিকের নামে চলছে অসামাজিক কাজ। খদ্দর ও পতিতাদের আনাগুনায় এখানকার পরিবেশ বিষিয়ে উঠছে।স্হানীয় আশেপাশের ব্যবসায়ী ও মুছল্লিরা হোটেল মালিক ও দালালদের ভয়ে মুখ খুলছে না। এই হোটেলের পরিচালক দাবীদার নাজিম উদ্দিন এইটার মালিক শামীম সাহেব ও ভাড়াটিয়া মালিক মামুন বলে জানিয়ে বলেন আমি খুব ব্যস্ত মানুষ ।সবার সাথে কন্ট্রাক্ট করে এসব কর্ম করে থাকি ।যে কোন তথ্য বা প্রয়োজনে এখানে আসুন এই বলে ফোন কেটে দেন।

জানা গেছে, এই হোটেলে সিলেট কিংবা অন্য জেলা থেকে কেউ রাত যাপনের জন্য সীট নিলে বিব্রত অবস্হায় পড়তে হয়। সপরিবারে থাকার জন্য হলেতো মহা সমস্যায় পড়েন আবাসিক বোর্ডারেরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক বোর্ডার আমাদের প্রতিনিধিকে এই হোটেলের অপকর্মের কাহিনী জানান। ঘন্টা , অর্ধ ঘন্টা ও পুরো দিন বা রাতের জন্য রুম ভাড়া হয় এখানে। নিদিষ্ট রেট এখানে মানা হয় না। লোক বুঝে ভাড়া আদায় করা হয়।এই হোটেলের হয়ে ৮ জন দালাল দিন রাত খদ্দর খুঁজার  কাজে ব্যস্ত থাকে ।ওরা প্রতি খদ্দর থেকে একটা অংক পেয়ে থাক। যত খদ্দর তত লাভ দালাল, পতিতা ও মালিকের। এই কারণে চমৎকার সমন্বয় করে দালাল, পতিতা ও হোটেল পরিচালক। রাত যাপন অনিরাপদ ও ঝুঁকিপূর্ণ বলে বোর্ডার সুত্রে জানা গেছে।

হোটেল পরিচালক নাজিম উদ্দিন নিজেকে পরিচালক স্বীকার করে বলেন জমিদার ও ভাড়াটিয়া মালিকের হয়ে আমি সব কাজ করে থাকি । নাজিম উদ্দিনের বাড়ী বসুর হাট ।সে একজন জাত এই অপকর্মের হোতা বলে লোকজন থেকে খবর পাওয়া গেছে।

আমাদের অনুসন্ধানে দেখা গেছে , এই হোটেলটি অপরাধের নিরাপদ আশ্রয়স্হল।ওয়ারেন্টপ্রাপ্ত আসামী, মাদকসেবক ও কারবারীরা এখানে আশ্রয় নিয়ে থাকে । এই হোটেলটির নিবন্ধন বাতিলের জন্য কোতোয়ালীর থানার ভারপ্রাপ্ত চৌকষ পুলিশ অফিসার জাহিদ কবীর ইতিপূর্বে ডিসি বরাবরে আবেদনও করেন। পুলিশের তালিকাভুক্ত এই হোটেলে অভয় ও দাপটের সাথে অসামাজিক কাজ পুরোদম চলছে।এসব দেখার যেন কেউ নেই।

 

 

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply