২৮ এপ্রিল ২০২৪ / ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ১১:৫১/ রবিবার
এপ্রিল ২৮, ২০২৪ ১১:৫১ পূর্বাহ্ণ

বঙ্গমাতা সাংস্কৃতিক জোট’র আলোচনা সভা ফজিলাতুন নেছা মুজিব ছিলেন অন্তহীন প্রেরণার উৎস-মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী

     

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশ। জাতির পিতার এ লড়াই-সংগ্রাম-আন্দোলনের প্রেরণা দাতা ছিলেন শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব। বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুর গোটা রাজনৈতিক জীবন ছায়ার মতো অনুসরণ করে তার প্রতিটি কাজে প্রেরণার উৎস হয়ে ছিলেন।
তিনি ৮ আগষ্ট মঙ্গল বিকেল ৫টায় চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বঙ্গমাতা সাংস্কৃতিক জোট চট্টগ্রাম মহানগর আয়োজিত বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩ তম জন্মবার্ষিকী ও বঙ্গমাতা সাংস্কৃতিক জোটের ১১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ আবদুর রহিম’র সভাপতিত্বে এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দিন। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য নোমান আল মাহমুদ, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চিশতী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের তালুকদার। সাংগঠনিক সম্পাদক আবছার উদ্দিন অলি’র সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সিনিয়র সহ সভাপতি চিত্রনায়ক পংকজ বৈদ্য সুজন, সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগের সাধারণ সম্পাদক জাফর ইকবাল, দৈনিক সমকালের ডিজিএম সুজিত কুমার দাশ, সংগঠনের সহ সভাপতি আবু তাহের চৌধুরী, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, সুমন সেন, ইমরুল হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল মিত্র, সংগীত শিল্পী সন্জিত আচার্য্য, কল্যাণী ঘোষ, শিলা চৌধুরী, গীতা আচার্য্য, রোজি চৌধুরী, শামীমা আক্তার নুসরাত, হাসনা জান্নাত মিকাত, আলহাজ্ব কবির মোহাম্মদ, অন্যন্যা সেন নীপা, হৈমন্তী শুক্লা, মোঃ মোরশেদ, কামাল উদ্দিন চৌধুরী, বেবি দাশ নুপুর, সমীরন পাল, ইমরান সোহেল।
প্রধান বক্তা আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, এদেশের মানুষের আন্দোলন সংগ্রামে বেগম মুজিব যে কর্তব্য নিষ্ঠা, দেশপ্রেম, দুরদর্শী চিন্তা, বুদ্ধিমত্তা ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন তার ফলে জাতির পিতার পাশাপাশি তিনি আজ বঙ্গমাতার আসনে অধিষ্ঠিত। এদেশের রাজনীতিতে তার অনন্য ভূমিকার জন্য চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। সংসদ সদস্য নোমান আল মাহমুদ বলেন, বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ৬ দফা ঘোষণার পর বঙ্গবন্ধু যখন পাকিস্তানি শাসকদের হাতে বন্দি হয়েছিলেন তখন আওয়ামী লীগের সকল স্তরের নেতাকর্মীরা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কাছে ছুটে যেতেন। তিনি তাদের কাছে বঙ্গবন্ধুর দিক নিদের্শনা পৌঁছে দিতেন ও লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা যোগাতেন। শুরুতেই কুরআন তেলওয়াত করেন আবু তাহের তালুকদার, আবৃত্তি পরিবেশন করেন সোমা মুৎসুদ্দী। আলোচনা সভা শেষে জন্মদিনের কেক কেটে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply