২৭ এপ্রিল ২০২৪ / ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ১০:১০/ শনিবার
এপ্রিল ২৭, ২০২৪ ১০:১০ পূর্বাহ্ণ

ঠাণ্ডা মিয়ার গরম কথা (৩১৫) তারেক জিয়া সমীপ

     

  মাননীয়,

  বিএনপির সিনিয়র চেয়ারম্যান পার্সন তারেক জিয়া সমীপে,

  শ্রদ্ধেয় তারেক জিয়া ভাইজানরে,

গরম গরম কথার শুরুতে আমার লাখ কোটি সালাম জানিবেন।আশা করি, আল্লাহ মালিকের অপার মহিমায় ভালো থাকিয়া করোনা কালে দেশের বাহিরে থাকিয়া নানান কল্যাণকর কর্মসুচী ও দেশের ভবিষ্যতের জন্য হরেক রকম চিন্তা করিয়া দিনাতিপাত করিতেছেন। আমিও গ্রাম বাংলার এক মফস্বল শহরে থাকিয়া দেশের ভবিষ্যতের কথা ভাবিয়া ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্ছার মতো খাইয়া না খাইয়া বাঁচিয়া আছি। আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন সমীপে ঠাণ্ডা মিয়ার গরম কথা লিখিবার সময় এইবার আপনার সমীপে লিখিব বলিয়াছিলাম, এইজন্য লিখিতেছি বলিয়া রাগ করিবেন না বরং শত ব্যস্ততার মধ্যেও গরম কথাটুকু পড়িয়া দেখিবেন ও যাহা প্রয়োজন তাহা করিবেন আর ভুল হইলে নিজ গুনে মাফও করিয়া দিবেন।

ভাইজানরে,

আপনি হইলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও দেশের তিনবার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ।শুনিয়াছি,  ১৯৬৭ সালের ২০ নভেম্বর আপনি জন্ম নিয়াছেন।ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ হইতে মাধ্যমিক এরপরে  সেন্ট জোসেফ কলেজ এবং ঢাকা রেসিডেনসিয়াল কলেজে পড়াশোনা করিয়াছেন। ১৯৮৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমে আইন বিভাগে ও পরে লোক প্রশাসন বিভাগে ভর্তি হইয়াছিলেন। কিন্তু  স্নাতক শ্রেণির পড়াশোনা শেষ করতে পারেন নি। পরবর্তীতে  পেশা হিসেবে ব্যবসাকে গ্রহণ করিয়া বস্ত্রশিল্প ও নৌ-যোগাযোগ খাতে বিনিয়োগ করিয়াছেন। বর্তমানে আপনি লন্ডনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনশাস্ত্রে অধ্যায়ন করিতেছেন।

ভাইজানরে,

জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বগুড়া কমিটির সদস্য হিসেবে যোগদান করিয়া আপনি রাজনৈতিক জীবনের সূচনা করিয়াছেন। আনুষ্ঠানিক ভাবে সংগঠনে যোগ দিবার পূর্বেই আপনি রাজনীতিতে অত্যন্ত সক্রিয় ছিলেন। ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আপনি আপনার মা খালেদা জিয়ার সহচর হিসাবে সারা দেশের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়াছিলেন। ২০০১ সালের নির্বাচনেও আপনি  বেগম জিয়ার প্রচারণা কার্যক্রমের পাশাপাশি পৃথক পরিকল্পনায় দেশব্যাপী নির্বাচনী প্রচারণা চালাইয়াছেন। মূলত ২০০১ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় আপনার অংশগ্রহণের মাধ্যমে রাজনীতিতে  আপনার অভিষেক ঘটিয়াছে।

ভাইজানরে,

২০০২ সালে আপনি দলের স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিএনপির একজন জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব হিসাবে দায়িত্ম প্রাপ্ত হন। দলের উর্দ্ধতন পর্যায়ে নিয়োগ লাভের পরপরই আপনি দেশব্যাপী দলের মাঠ পর্যায়ের নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের সাথে ব্যাপক গণসংযোগ শুরু করিয়াছিলেন।মূল সংগঠন সহ সহযোগী সংগঠন যেমন জাতীয়তাবাদী যুব দল, জাতীয়তাবাদী ছাত্র দল, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ইত্যাদি আয়োজিত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মত বিনিময় সভায় অংশ নিয়া কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখিয়াছেন ও মাঠ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের বক্তব্য ও মতামত শুনিয়াছেন। মূলত এই জনসংযোগ কার্যক্রমের ফলে দলের নেতাকর্মীদের তরুণ অংশটির মাঝে আপনার শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধানমন্ত্রীর সন্তানের পরিচিত থেকে বেরিয়া আসিয়া দলের একজন দক্ষ সংগঠক ও সক্রিয় নেতা হিসাবে পরিচিতি লাভ করিয়াছেন।

ভাইজানরে,

২০০২ সালে ৩৫ বছর বয়সে আপনি  দলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের একজন নেতা হিসাবে দায়িত্ব দেওয়ার ফলে কোন কোন রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং সংসদের তৎকালীন বিরোধী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এই সিদ্ধান্তকে স্বজনপ্রীতি বলে চিহ্নিত করিয়া এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করিয়াছেন।বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ যাহারা ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করিয়াছিল, দলটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এবং সংবাদপত্রের প্রকাশিত খবরে বিভিন্ন সময় আপনার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারসহ দূর্নীতির অভিযোগ আনিয়াছে। বিশেষ করিয়া বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম জিয়া সহ আপনার কার্যালয় ঢাকার বনানীস্থ হাওয়া ভবনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন অভিযোগ প্রচারিত হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অভিযোগ ছিল , আপনার তত্ত্বাবধানে হাওয়া ভবন সরকারের অদৃশ্য নিয়ন্ত্রক হিসাবে কাজ করিয়াছে এবং আপনার বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতিসহ আরো অনেক অভিযোগ আনা হয়। বর্তমানে ২১শে অগাস্ট তৎকালীন বিরোধীদল আওয়ামীলীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় আপনার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উচ্চ আদালতে বিচারাধীন রহিয়াছে। এ ছাড়া আপনার বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগও রহিয়াছে এবং এই মামলায় এফবিআই এর কর্মকর্তা ডেবরা লাপ্রেভেটি বাংলাদেশে আসিয়া সাক্ষীও দিয়াছেন।

আজ আর না, আপনার মঙ্গল ও সুস্বাস্থ্য কামনায় আপনার বিশ্বস্থ গ্রাম বাংলার অখ্যাত ঠাণ্ডা মিয়া গ্রন্হনা ম আ হ

আগামী সংখ্যায় সজীব ওয়াজেদ জয় সমীপে ঠাণ্ডা মিয়ার গরম কথা (৩১৬) সম্প্রচার করা হইবে।

 

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply