২০ এপ্রিল ২০২৪ / ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ১০:৫৬/ শনিবার
এপ্রিল ২০, ২০২৪ ১০:৫৬ পূর্বাহ্ণ

দ্বৈত ভোটার হবার কারণে ৫ লাখ নাগরিক টিকা নিতে পারছে না, পাচ্ছে না নাগরিক সুবিধাও !

     

দুবার ভোটার হবার কারণে সারাদেশে ২২ লাখ নাগরিক টিকা নিতে পারছে না, পাচ্ছে না নাগরিক সুবিধাও। সমসাময়িককালে ভোটও দিতে পারেনি তারা।ব্যাংক একাউন্ডস সব লেনদেনে সমস্যার জালে আটকে পড়ছে এসব নাগরিকগণ । যেখানে এনআইডি দরকার সেখানেই বিপদে পড়ছেন তারা ।বিষয়টি ইসিও জানে।অনেকে এক জায়গায় ভোটার রেখে অন্যটি বাতিলের আবেদনও করছে।তবু সুরাহা না হওয়া মহা সমস্যায় রয়েছেন এসব নাগরিকগণ।

সুত্রমতে,  দুবার ভোটার হয়েছেন-এমন ব্যক্তিদের নিয়ে জটিলতা নিরসন এখন থেকে উপজেলাতেই হবে। এ জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সংস্থাটির কর্মকর্তারা বলছেন, দুবার ইচ্ছাকৃতভাবে ভোটার হওয়ার বিষয়টি দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু অনেকেই সরল বিশ্বাসে দুবার ভোটার হন। তাই সবার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া যায় না। এ ছাড়া অনেকেই প্রথমবার ভোটার হওয়ার পর অনেক তথ্যে গড়মিল থাকায় দ্বিতীয়বার প্রকৃত তথ্যের ভিত্তিতে ভোটার হন। তাই কার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া যাবে এবং প্রথমবার হওয়া ভোটার আইডি বাতিল হবে, নাকি দ্বিতীয়বারেরটা থেকে যাবে,সে বিষয়ে সুপারিশ করবে ওই কমিটি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে আহ্বায়ক ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করে গঠিত ওই কমিটি কাজই হচ্ছে দ্বৈত ভোটার সংক্রান্ত ফরমগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখা। এছাড়া তারা শুনানি করে সুপারিশ করবে কমিশনের কাছে। কমিশন সেই সুপারিশের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত দেবে।

এ বিষয়ে ইসির সিস্টেম ম্যানেজার সিস্টেম ম্যানেজার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, দ্বৈত ভোটার চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার সুবিধার্থে আমরা উপজেলা পর্যায়ে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছি।

এই কমিটি গঠনের হওয়ায় কেউ দ্বিতীয়বার ভোটার হলে এবং দ্বিতীয়বারের এনআইডি বহাল রাখতে চাইলে, তা রাখা সম্ভব, যদি উপযুক্ত কারণ দেখানো যায়। আগে এর কোনো সুযোগই ছিল না। কেননা, দ্বিতীয়বার ভোটার হলে এবং সেটা ইসির নজরে আসলে প্রথমটা রেখে দ্বিতীয়টার তথ্য সার্ভার থেকে ফেলে দেওয়া হতো। ফলে প্রকৃত অর্থেই প্রথমবার ভুল হয়ে থাকলে সেটা সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হতো। এছাড়া মামলায় পড়ার সম্ভাবনাই ছিল বেশি। কিন্তু এখন কার বিরুদ্ধে মামলা হবে, কার কোন আইডি বাতিল হবে বা বহাল থাকলে, তার সুপারিশ করবে ওই কমিটি।

মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন আরও বলেন, জেলা পর্যায়ে এখন ব্যক্তির পরিচয় আঙুলের ছাপ নেওয়ার মাধ্যমেই চিহ্নিত করার যন্ত্রও রাখা হয়েছে। ফলে কোনো ব্যক্তির এনআইডি যদি হারিয়ে যায়, সংশোধনের প্রয়োজন পড়ে কিংবা জীবিত থাকা সত্ত্বেও ভুলে মৃত হিসেবে ইসির সার্ভারে অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকেন, এসব ক্ষেত্রে সব সেবা তিনি ওই যন্ত্রণের মাধ্যমে জেলাতেই পেয়ে যাবেন।

সম্প্রতি এক হিসাবে ইসির নজরে এসেছে, সারা দেশে ৫ লাখের বেশি নাগরিক দুবার ভোটার হয়েছেন। এদের মধ্যে পাঁচ শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলাও দিয়েছে ইসি।

সবশেষ হালনাগাদের পর দেশে এখন ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ১৭ লাখ ২০ হাজার ৬৬৯ জন। তাদের মধ্যে এবার নতুন করে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ১৯ লাখ ১৮ হাজার ৫৬ জন, যারা নতুন ভোটার হিসেবে এনআইডি পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply