৭ মে ২০২৪ / ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / বিকাল ৩:০৬/ মঙ্গলবার
মে ৭, ২০২৪ ৩:০৬ অপরাহ্ণ

জরুরী ভিত্তিতে শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা ইছানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৃষ্টির কারণে বারশত ছাত্র-ছাত্রীর শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত

     

 

 

কর্ণফুলী নদীর দক্ষিন তীরে কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইছানগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতিনিয়ত বৃষ্টির কারণে বিদ্যালয়ের ১২শত ছাত্র-ছাত্রীর শিক্ষা উন্নয়নে ক্লাস কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়টির জরাজীর্ণ ভবনের অবস্থা করুণ। উপরের টিনগুলো নষ্ট হতে হতে দিনে সূর্যের আলো ক্লাস রুমে ঢুকে পড়ে। তেমনিভাবে ভরা বর্ষার এই মৌসুমে বৃষ্টির পানি পড়ে ক্লাসরুম সয়লাব হয়ে যায়। এমনিতেই সামান্য বন্যার কারণে ক্লাসরুম, মাঠ, ঘাট, রাস্তা, নর্দমায় পানি ঢুকে যায়। ফলে এতোবড় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস কার্যক্রম ব্যাহত হয়। স্কুলের আশেপাশে পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় সব সময় জলাবদ্ধতা লেগেই থাকে। এমতবস্থায় ইছানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১২শত ছাত্র-ছাত্রীর শিক্ষা ভবিষ্যৎ উন্নয়নে এলাকাবাসী মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি, মাননীয় ভূমি প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি, মাননীয় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জরুরী ভিত্তিতে হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। এলাকাবাসীর পক্ষে পটিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির প্রাক্তন সভাপতি, প্রবীণ শিক্ষাবিদ মাস্টার হাফেজ আহমদ, বিশিষ্ট সমাজসেবী ও শিক্ষানুরাগী আলহাজ্ব আজিম আলী, বিশিষ্ট সমাজসেবী ও দুরান্ত দুর্বার ক্লাবের পৃষ্টপোষক লায়ন আলহাজ্ব হাকিম আলী, চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছাবের আহমেদ চৌধুরী, মানবাধিকার সংগঠক এম.এ মারুফ, দুরান্ত দুর্বারের সভাপতি মুছা সিকদার, সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী রুমু, ইছানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মোঃ শাহেদুর রহমান, স্থানীয় ইউপি সদস্য শেখ আহমদ, সমাজকর্মী মোঃ ইসমাঈল প্রমূখ সংবাদপত্রে প্রকাশে এক যুক্ত বিবৃতিতে ইছানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়নে জন্য সরকারসহ সর্বমহলের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন। তাঁরা বলেছেন আধুনিক শিক্ষাই শিক্ষার জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের সর্ব প্রথম প্রয়োজন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও আধুনিক ক্লাসরুম। সেক্ষেত্রে আমাদের বিদ্যালয়ের ভবনের করুণ অবস্থা। বৃষ্টি পড়লেই শ্রেণি কার্যক্রম ব্যাহত হয়। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ভাঙ্গা টিনের ছাউনি, বৃষ্টি হলে পানি পরে, মেঝেতে পানিতে সেত সেতে অবস্থায় পাঠদান করছেন শিক্ষকবৃন্দ, বারান্দায় পানি ভর্তি, সাইক্লোন সেল্টারের নিচে পানি, শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা পানিতে হেঠে হেটে ক্লাস রুমে যেতে হয়। ভবনের দুই পাশ্বে খোলা প্রস্রাব খানা ও টয়লেটের দূষিত পানি, প্রতিদিন পায়ে লেগে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পায়ে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হচ্ছে। বর্তমানে বিদ্যালয়ে প্রায় ১২শত শিক্ষার্থীর জন্য মাত্র ১০ জন শিক্ষকদ্বারা শ্রেণি কার্ষক্রম/পাঠদান করা হচ্ছে। শিক্ষার্থী অনুপাতে আরো শিক্ষক প্রয়োজন। এলাকার এইসব ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনমান উন্নয়ন ও দেশপ্রেমিক নগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে ইছানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন অতীব জরুরী। বিষয়টি সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষন করেছে এলাকাবাসী।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply