২৬ এপ্রিল ২০২৪ / ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ৬:২৩/ শুক্রবার
এপ্রিল ২৬, ২০২৪ ৬:২৩ পূর্বাহ্ণ

সাতকানিয়ায় সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হক রহস্যজনকভাবে খুন হলেন

     

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যানকে নিজ শয়ন কক্ষে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহতের নাম আবদুল হক মিয়া (৮৫)।আজ ১ মার্চ ( সোমবার) দুপুর ১২টায় সাতকানিয়া থানা পুলিশ জনার কেঁওচিয়া বারিঘাটা এলাকার উকিল বাড়ির বসতঘর থেকে তাঁর লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত আবদুল হক কেঁওচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান, কেঁওচিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও জনার কেঁওচিয়া উকিল বাড়ির মৃত কাছিম আলীর ছেলে।

সোমবার দুপুরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক পিপিএম, সাতকানিয়া থানা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকারিয়া রহমান জিকু, সাতকানিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল বশিরুল ইসলাম ও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বাড়ির গৃহকর্মী জমির উদ্দিনকে (২৭) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

পুলিশ, স্থানীয় বাসিন্দা ও নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো রোববার রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে আবদুল হক মিয়া নিজের শয়ন ঘুমিয়ে পড়েন।

সোমবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বাড়ির গৃহপরিচারিকা ও প্রহরী এসে দেখেন আবদুল হক এখনো ঘুম থেকে জেগে ওঠেননি। পরে তাঁরা ডাকাডাকি করেও গৃহকর্তা অবদুল হকের সাড়া না পেয়ে পেছনের দরজা দিয়ে ভেতরে ঢোকেন।

এ সময় তাঁরা গৃহকর্তাকে নিজ শয়ন কক্ষের খাটের উপর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। অন্য এক পাশে গৃহকর্মী জমির উদ্দিনকে মুখ ও দুই পা কাপড় দিয়ে বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়।

নিহতের ছেলে মো. মঈন উদ্দিন বলেন, বাড়িতে আমার বাবা, একজন গৃহকর্মী, একজন গৃহপরিচারিকা ও একজন দারোয়ান ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। সোমবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে এলাকার লোকজনের মাধ্যমে আমার বাবাকে হত্যা করার বিষয়টি জানতে পেরেছি।

সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, সোমবার দুপুরে কেঁওচিয়ার সাবেক চেয়ারম্যানের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহত আবদুল হকের মাথার বাম পাশ, বাম চোখ ও বাম হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রোববার গভীর রাতে বা সোমবার ভোরের দিকে কোনো কিছুর মাধ্যমে আঘাত করে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।

এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ির গৃহকর্মী জমির উদ্দিনকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply