২৯ এপ্রিল ২০২৪ / ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ৮:১৮/ সোমবার
এপ্রিল ২৯, ২০২৪ ৮:১৮ অপরাহ্ণ

কমলগঞ্জে স’মিল শ্রমিকেরা  নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র প্রদান ও ৮ ঘন্টা কর্মদিবসসহ শ্রম আইন কার্যকরের দাবি

     

স’মিল শ্রমিক সংঘ কমলগঞ্জ উপজেলা কমিটির এক কর্মীসভা থেকে স’মিল সেক্টরে সরকার ঘোষিত  মজুরির গেজেট কার্যকর, নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র, সার্বিস বুক প্রদান ও ৮ ঘন্টা কর্মদিবসসহ শ্রম আইন বাস্তবায়ন এবং কর্মক্ষেত্রে কাজের পোষাক, মাক্স, হ্যামলেটসহ উপযুক্ত নিরাপত্তা প্রদান, শ্রমিকদের জন্য রেশনিং চালু, শ্রীমঙ্গলে স্থায়ী শ্রম আদালত ও যুগ্ম-শ্রম কার্যালয় স্থাপন করার দাবি জানানো হয়। ২৭ জুন বুধবার সন্ধ্যায় কমলগঞ্জ উপজেলার ভানুগাছবাজারে স’মিল শ্রমিক সংঘ কমলগঞ্জ উপজেলা কমিটির সভাপতি মাখন বক্তের সভাপতিত্বে¡ অনুষ্টিত সভা থেকে এই দাবিগুলো করা হয়। সভার শুরুতে স’মিল শ্রমিক সংঘ কমলগঞ্জ উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুল মজিদের পিতা মোঃ হাজির মাহমুদ(৯৫)-এর বার্ধক্যজনিত মৃত্যুতে এবং গত ২৭ মে কর্মরত অবস্থায় শহীদ হোসেন নামের একজন স’মিল মৃত্যুবরণ করায় সভায় তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয় এবং শ্রমিক শহীদ হোসেনের পরিবারকে আইনানুগ উপযুক্ত ক্ষতিপুরণ প্রদান করার দাবি জানানো হয়। সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস, স’মিল শ্রমিক সংঘ সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন ও মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সভাপতি মোঃ আরজান আলী। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স’মিল শ্রমিক সংঘ কমলগঞ্জ উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুল মজিদ, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর মিয়া, কোষাধক্ষ্য মোঃ ছালামত মিয়া, কাজল কুমার বাক্তি, শাহিন মিয়া, মোঃ মানিক মিয়া, ফরিদ মিয়া, মজিদ বক্ত, আনসার ভান্ডারী, আলমাস মিয়া প্রমূখ।

সভায় বক্তারা বলেন দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর ২০১৪ সালে স’মিল সেক্টরে কর্মরত শ্রমিক কর্মচারীদের জন্য নি¤œতম মজুরি ঘোষণা করা হলেও এখনও অধিকাংশ স’মিলে নি¤œতম মজুরির গেজেট কার্যকর হয়নি। শুধু তাই নয় স’মিল শ্রমিকরা দৈনিক ৮ ঘন্টা কর্মদিবসসহ দেশের প্রচলিত শ্রম আইনের সুযোগ-সুবিধা থেকেও বঞ্চিত। স’মিল সেক্টরে শ্রমিকদের কাজের কোন নির্দিষ্ট কর্মঘন্টা নাই, অর্জিত ছুটি, চিকিৎসা ছুটি, উৎসব ছুটিসহ শ্রমআইনের ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধাও কার্যকর করা হয় না। সাপ্তাহিক ছুটি প্রদান করা হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ছুটির দিনের মজুরি দেওয়া হয় না। শ্রমআইনে নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র, সার্ভিসবুক প্রদান বাধ্যতামূলক হলেও মালিকরা এসবের ধারধারেন না। স’মিল শ্রমিকদের যেমন নেই কাজের পোষাক, মাক্স, চশমা, গ্লাভস, তেমনি প্রতিষ্টানে ক্রেন ও ট্রলি না থাকায় স’মিল শ্রমিকরা অমানবিক পরিশ্রম করে বিরাট বিরাট গাছ টেনে মেশিনে তুলতে গিয়ে প্রায়ই দূর্ঘটনার শিকার হন। কিন্তু মালিকরা আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপুরণ বা উপযুক্ত চিকিৎসা খরচ প্রদান করেন না।

 

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply