মাদক সন্ত্রাস ও জুয়াড়ী মুক্ত নগরী গড়তে চাই- রেজাউল করিম চৌধুরী
এস.ডি.জীবন
চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী সমর্থনে বৃহত্তর বাকলিয়া এলাকার তিন ওয়ার্ডে গণসংযোগ চলাকালে পথসভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম বীর সন্তানদের মাটি। সারা বাংলাদেশের মানুষ চট্টগ্রামকে বীর চট্টলা হিসেবে জানে। স্বাধীন সোনার বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির জনকের কন্যা বীর চট্টগ্রামের একজন বীর সন্তান, বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিমকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মান জানিয়ে স্বাধীনতা ও উন্নয়নের প্রতীক নৌকায় ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচিত করা সকলের নৈতিক দায়িত্ব। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সাবেক মেয়র আজম নাছির উদ্দিন ও নৌকা প্রতীকের মেয়র পদপ্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী এসময় উপস্থিত ছিলেন। ভোটারদের উদ্দেশ্যে রাখা বক্তব্যে রেজাউল করিম বলেন, আধুনিক বাকলিয়া গড়তে বাকলিয়া বাসীকে উন্নয়নের প্রতীক নৌকায় ভোট দানের আহ্বান জানিয়ে বলেন, মেয়র নির্বাচিত হলে হোল্ডিং ট্যাক্স না বাড়িয়েই উন্নয়ন পরিকল্পনা সাজাব এবং আধুনিক সেবা নিশ্চিত করব। প্রসংগক্রমে তিনি আরো বলেন, বাকলিয়াবাসীকে অতীতে বিএনপি মিথ্যে স্বপ্ন দেখিয়ে ভোট নিয়ে গিয়েছিল। আবার তারা এটাকে তাদের ভোট ব্যাংক বলেও দাবী করত। কিন্তু বাকলিয়ার উন্নয়নে তারা কিছুই করেনি। বাকলিয়ার মানুষ আর ধোকাবাজির ফাঁদে পড়বেনা। কারন তারা জানে, একমাত্র আওয়ামী লীগই এ এলাকার উন্নয়নে কাজ করেছে। নৌকায় ভোট দিয়ে কেউ ঠকেনি। বৃহত্তর বাকলিয়াকে পরিকল্পিত ও স্বয়ংসম্পূর্ণ করে আকর্ষনীয় নান্দনিক রূপে সাজানোর সুযোগ রয়েছে, এটি আওয়ামী লীগ দেখিয়েছে।বাকলিয়ার উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে বাকলিয়াবাসী নৌকার বিজয় নিশ্চিত করবে বলে আমি আশাবাদী। বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, মেয়র নির্বাচিত হলে হোল্ডিং ট্যাক্স না বাড়িয়েই উন্নয়ন পরিকল্পনা সাজাব এবং আধুনিক সেবা নিশ্চিত করব। প্রসংগক্রমে তিনি আরো বলেন, বাকলিয়াবাসীকে অতীতে বিএনপি মিথ্যা স্বপ্ন দেখিয়ে ভোট নিয়ে গিয়েছিল। আবার তারা এটাকে তাদের ভোট ব্যাংক বলেও দাবী করত। কিন্তু বাকলিয়ার উন্নয়নে তারা কিছুই করেনি। বাকলিয়ার মানুষ আর ধোকাবাজির ফাঁদে পড়বেনা। কারন তারা জানে, একমাত্র আওয়ামী লীগই এ এলাকার উন্নয়নে কাজ করেছে। নৌকায় ভোট দিয়ে কেউ ঠকেনি। বৃহত্তর বাকলিয়াকে পরিকল্পিত ও স্বয়ংসম্পূর্ণ করে আকর্ষনীয় নান্দনিক রূপে সাজানোর সুযোগ রয়েছে, এটি আওয়ামী লীগই দেখিয়েছে।বাকলিয়ার উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে বাকলিয়াবাসী এবার নৌকায় ভোট দিবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। বাকলিয়াসহ নগরীর কিছু এলাকায় মাদক ও জুয়া আরেকটি ভয়াবহ সমস্যা। মদ খোর, সুদ খোর, জুয়াড়ী এসবের বিরুদ্ধে আমার আজীবনের সংগ্রাম। মেয়র হলে মাদক, সন্ত্রাস, দুর্ণীতি কঠোর হাতে দমন করা হবে। আধুনিক হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ, খেলার মাঠ, পার্ক ও সুস্থ সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র, কর্ণফুলি তীরবর্তী পর্যটন স্পট নিয়ে বাকলিয়া হতে পারে শহরের ভেতর নতুন আরেক শহর। প্রাচ্যের রাণী খ্যাত আমাদের চট্টগ্রাম আমরাই করব সমুন্নত। বক্তব্যে সাবেক মেয়র আ. জ. ম নাছির উদ্দিন বলেন, জলামগ্নতা এ এলাকার একটি চরম সমস্যা। জননেত্রী শেখ হাসিনার চট্টগ্রামের প্রতি আন্তরিকতায় চলমান রিভার ড্রাইভ রোডসহ ও জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান মেগাপ্রকল্প সম্পন্ন হলে এ সমস্যার একটা সুরাহা হবে। সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত খাল খনন, সম্প্রসারন ও সংস্কার এবং নগরীর ড্রেনেজ ব্যবস্থায় চলমান কাজ গুলো সম্পন্ন হলে মশকের প্রজনন ক্ষেত্র অনেকটাই ধ্বংস হবে, মশার উৎপাত কমে আসবে। চট্টগ্রামের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ভোটারদের নৌকায় ভোট দিয়ে রেজাউল করিমকে মেয়র নির্বাচিত করার আহ্বান জানান।
এছাড়াও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, ১৮ নং পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ, ১৯ নং দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মো. নূরুল আলম, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা আহমদ হোসেন,১৭, ১৮ ও ১৯ নং ওয়র্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী শাহীন আকতার রোজী, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক নুরুল আজিম রনি প্রমূখ নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ ও অন্যান্য অঙ্গসহযোগী সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী এ সময় উপস্থিত ছিলেন এবং নৌকা মার্কায় ভোট প্রার্থনা করেন।