২৬ এপ্রিল ২০২৪ / ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ৮:২৬/ শুক্রবার
এপ্রিল ২৬, ২০২৪ ৮:২৬ অপরাহ্ণ

অনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ইউনিটি’র নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় প্রতারণা

     

অনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ইউনিটি’র নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় প্রতারণায় লিপ্ত হওয়ায় চট্টগ্রাম জেলা সমাজসেবার উপ-পরিচালক, সহকারী পরিচালক এবং চট্টগ্রাম শহর সমাজ সেবা কার্যালয় -১ এর সমাজ সেবা কর্মকর্তা যোবায়ের আলমসহ প্রতারনায় অংশ নেওয়া ১৭ জনকে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেন (সিআরইউ) সম্পাদক আলমগীর নূর।
প্রসঙ্গতঃ  সাংবাদিক পরিচয়দানকারী পেশাদার প্রতারক  চক্রের ৬৪ সদস্যের সঙ্গে মোটা অংকের অবৈধ কালো টাকার লেনদেনের মাধ্যমে অসাধু ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা চট্টগ্রাম শহর সমাজসেবা কার্যালয়-১ এর কর্মকর্তা যোবায়ের আলম, চট্টগ্রাম জেলা সমাজসেবা সহকারী পরিচালক ওয়াহিদুল আলম এবং চট্টগ্রাম জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শহিদুল ইসলাম পরস্পর অনৈতিক যোগসাজসে প্রকৃত সত্য গোপন করে সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও জাল জালিয়তির মাধ্যমে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে বিভিন্ন ডকুমেন্ট সৃজন, সরবরাহ ও সংযোজন করে সাংবাদিক পেশাজীবী সংগঠন চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ইউনিটি (সিআরইউ) নামক সংস্থার নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় প্রতারণার করায় চট্টগ্রাম সমাজসেবা কার্যালয়ের উক্ত ৩ কর্মকর্তাকে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেছেন চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ইউনিটি (সিআরইউ)’র সাধারণ সম্পাদক আলমগীর নূর।

২৯ ডিসেম্বর (সিআরইউ) সাধারণ সম্পাদক আলমগীর নূর এর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবী মোহাম্মদ ইউসুফ আলম মাসুদ অভিযুক্তদের নিকট এই লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করেন। একই সাথে সমাজসেবা কার্যালয়ের উক্ত ৩ অসাধু কর্মকর্তাসহ উক্ত পেশাদার প্রতারক কিরণ শর্মাসহ সঙ্গবদ্ধ  চক্রের ৭০ জনের বিরুদ্ধে দেওয়ানী ও ফেজৈদারী মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন নোটিশ দাতার আইনজীবী। প্রসঙ্গতঃ উক্ত প্রতারক চক্র কর্তৃক চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ইউনিটি (সিআরইউ) সংস্থার নামে ভুয়া ও হঠকারীমূলক নিবন্ধন নাম্বার ব্যবহার করে গত ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ইংরেজী তারিখে “বেসিক ট্রেনিং অন মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম” নামক একটি প্রতারণামূলক ট্রেনিং কোর্স এর নামে নবাগত গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে  প্রতারক চক্র ভুয়া প্রধান প্রশিক্ষক সেজে তার প্রতারক চক্রের অপরাপর সকল সদস্যদের প্রত্যক্ষ মদদে অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের গভীর অপতৎপরতা বাস্তবায়নের চেষ্টায় চট্টগ্রাম শহরের কতিপয় সাংবাদিকদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়ার ছলে অবৈধ পন্থায় জাল জালিয়তির মাধ্যমে ভুয়া প্রশিক্ষণ সনদ সৃজন ও বিতরণ করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে রাষ্ট্রের ৪র্থ স্তম্ভ গণমাধ্যম তথা পেশাজীবী সাংবাদিক সমাজ, সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী মহল, শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ, জনসাধারণ তথা রাষ্ট্রযন্ত্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রতারণায় লিপ্ত হওয়ায় চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ইউনিটি (সিআরইউ)’র সাধারণ সম্পাদক নোটিশ দাতা আলমগীর নূর বাদী হয়ে বিজ্ঞ চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট চট্টগ্রাম আদালতে পেনাল কোড এর অপরাধের ৪০৬/৪২০/৪৬৮/৪৭১/৫০০/৩৪ ধারায়  ৫০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ আদায়ের ফৌজদারী সি. আর মামলা নং- ৯৮০/২০১৯ ( কোতোয়ালী) বিচারাধীর রয়েছে। উক্ত মামলা তদন্দের আলোকে উক্ত মামলার প্রধান আসামী উক্ত প্রতারক কিরণ শর্মার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ইউনিটি (সিআরইউ) নিয়ে প্রতারণা ও বিশ্বাস ভঙ্গ ও জাল জালিয়তির অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে মর্মে পুলশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো শাখার পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ)- বিপি-৭৬০৪০৬২৫৭৪- জনাব নূর মোহাম্মদ স্বাক্ষরিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদন উতিমধ্যে বিজ্ঞ আদালতে  জমা দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ইউনিটি (সিআরইউ) একটি সরকারী নিবন্ধীত পেশাজীবী সাংবাদিক সংগঠন হিসাবে বিগত ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপশি সামাজিক কর্মকান্ড, বিনোদন ও বিভিন্ন কল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনা কওে আসছে। সংগঠনের কর্মকর্তা ও সদস্যগণ শুধুমাত্র গণমাধ্যম সম্পৃক্ত নয়, পেশাগত দায়িত্ব পালন এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে বস্তুনিষ্ঠ লেখনীর মাধ্যমে সমাজের সবকিছু তুলে ধরার পাশাপাশি মানবিক দায়িত্বও পালন করে আসছে। এই সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ দিদার আশরাফী এবং সাধারণ সম্পাদক আলমগীর নূর। পক্ষান্তরে, অত্র লিগ্যাল নোটিশ গ্রহিতা ১-১৭ নং অভিযুক্তসহ প্রক্রিয়াধীন মামলার অপরাপর ৬৪ জন আসামী একটি সঙ্গবদ্ধ প্রতারক চক্র। নোটিশ দাতা লিগ্যাল নোটিশে উল্লেখ করেন যে, সম্প্রতি এই প্রতারক চক্র  গং লিগ্যাল নোটিশ প্রদানকারীর অনুকুলে অত্র নিবন্ধীত সংগঠন চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ইউনিটি (সিআরইউ)’র নামে জাল জালিয়তি ও প্রতারণার মাধ্যমে নানাবিধ মিথ্যা ডকুমেন্ট সৃজন, সংযোজন ও সরবরাহ করে গোপনে চট্টগ্রাম শহর সমাজসেবা কার্যালয়-১ এ উক্ত সংগঠনের নিবন্ধনের আবেদন করে। বিষয়টি লিগ্যাল নোটিশ দাতা আলমগীর নূর অবগত হয়ে তৎকালীন সময়ে উক্ত চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ইউনিটি (সিআরইউ) সংস্থাটি ইতিপূর্বে গণপ্রজান্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জেলা সমবায় কার্যালয় হতে নিবন্ধনকৃত (নং-১৩২৫২)সহ নিজেদের মালিকানা সংক্রান্তে যাবতীয় বৈধ দলিলপত্র উপস্থাপনপূর্বক নোটিশে উল্লেখিত পেশাদার প্রতারক   ২-১৭ নং অভিযুক্তসহ অজ্ঞাত ৬৪ জনের অনুকুলে নিবন্ধন অনুমোদন না দেয়ার জন্য এবং নোটিশ দাতার পক্ষের অনুকুলে নিবন্ধন অনুমোদনের জন্য ১৯-০২-২০১৮ইং তারিখে চট্টগ্রাম শহর সমাজসেবা কার্যালয়-১ এর কর্মকর্তা এবং উপ-পরিচালক, চট্টগ্রাম জেলা সমাজসেবা কার্যালয় বরাবরে লিখিতভাবে আবেদন দাখিল করেন। উক্ত কর্মকর্তাগণ তৎকালীন সময়ে নোটিশ দাতার পক্ষকে আশ্বস্থ করেছিলেন যে, নোটিশ দাতার দাখিলকৃত দালিলিক অভিযোগ বিবেচনায় নিয়ে প্রতিবেদন তৈরীপূর্বক এই প্রতারক চক্রের আবেদিত নিবন্ধনের প্রক্রিয়া স্থগিত রাখবে। কিন্তু, পরবর্তীতে, গোপনে পুনরায় উক্ত অসাধু সমাজসেবার ৩ কর্মকর্তা নোটিশে উল্লেখিত ১-১৭ নং লিগ্যাল নোটিশ গ্রহীতাসহ পরষ্পর অনৈতিক যোগসাজসে মোটা অংকের অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে উক্ত সংগঠনের নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করিলে বিগত ২৮/০৪/২০১৯ ইং তারিখে লিগ্যাল নোটিশ দাতা চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ইউনিটি (সিআরইউ) সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে পুনরায় সংগঠনের যাবতীয় দলিলাদিসহ লিগ্যাল নোটিশ গ্রহিতাদের অনুকুলে নামের ছাড়পত্র বাতিলপূর্বক নিবন্ধন না দেয়ার আবেদন করেন। শহর সমাজসেবা কার্যালয়-১ এর অসাধু কর্মকর্তা যোবায়ের আলম নোটিশদাতাকে তৎকালীন সময়ে পুনরায় আশ্বস্থ করেন যে, নোটিশ দাতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে নোটিশ দাতার দাখিলীয় দালিলিক বিষয়াদি বিবেচনা ও উল্লেখ করে একখানা যথাযথ রিপোর্ট জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে প্রেরণ করিবেন। কিন্তু, প্রতারক কর্মকর্তা যোবায়ের আলম অভিযোগকারীকে অবহিত না করে তার ২১/১০/২০২০ ইং তারিখে গোপনে দাখিলীয় প্রতিবেদনে দুর্নীতি ও প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করে প্রকৃত সত্য গোপন করে অত্র লিগ্যাল নোটিশ দাতার দাখিলীয় আবেদন ও অভিযোগের বিষয় উল্লেখ না করে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত পক্ষপাতদুষ্ট একখানা প্রতিবেদন উপ-পরিচালক-চট্টগ্রাম জেলা সমাজসেবা বরাবরে দাখিল করেছেন এবং ১-১৭ নং লিগ্যাল নোটিশ গ্রহীতাগণের নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন সংস্থা সংক্রান্তে কোন ভাড়া অফিস না থাকা সত্ত্বেও জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের নোটিশ গ্রহীতা আরেক দুনীতিবাজ কর্মকর্তা ওয়াহিদুল আলম তার ১৮/০১/১৮ ইং তারিখের প্রতিবেদনে অফিস আছে মর্মে উল্লেখ করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। অধিকন্তু, চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ইউনিটি (সিআরইউ) সংগঠনটি ইতিমধ্যে রাষ্ট্রের অন্য আইনে নিবন্ধীত হলেও নোটিশ গ্রহীতা উক্ত  কর্মকর্তা ওয়াহিদুল আলম তার প্রতিবেদনে চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ইউনিটি (সিআরইউ) সংগঠনটি রাষ্ট্রের অন্য কোন আইনে নিবন্ধীত নয় বলে উল্লেখ করেন। শুধু তাই নয়, জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক লিগ্যাল নোটিশ গ্রহীতা উক্ত নোটিশ দাতার নিবন্ধীত প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ইউনিটি (সিআরইউ) সম্পর্কে যথেষ্ট বিগত থাকা সত্ত্বেও উক্ত প্রতারক চক্র তথা লিগ্যাল নোটিশে উল্লেখিত ১-১৭ নং নোটিশ গ্রহীতাগণের দ্বারা বে-আইনীভাবে লাভবান হয়ে চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ইউনিটি (সিআরইউ)কে উক্ত ১-১৭ নং লিগ্যাল নোটিশ গ্রহীতাগণের পক্ষে নিবন্ধন দেয়ার উদ্দেশ্যে নিরাপত্তা ছাড়পত্র পাপ্তির জন্য প্রেরণ করেছেন। উল্লেখ্য,লিগ্যাল নোটিশে উল্ল্যেখিত ১-১৭ নং নোটিশ গ্রহীতাগণ চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ইউনিটি (সিআরইউ) এর সহিত বৈধ সংযুক্তি না থাকা সত্ত্বেও, নিজেদেরকে চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ইউনিটি (সিআরইউ)’র হর্তাকর্তা পরিচয় দিয়ে কিছু জাল, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্য প্রণোদিত দলিল সৃজন করে তা খাটি হিসাবে উপস্থাপন করে লিগ্যাল নোটিশে উল্লেখিত ১৮-২০ নং লিগ্যাল নোটিশ গ্রহীতা চট্টগ্রাম শহর ও জেলা সমাজসেবা অফিসের ৩ কর্মকর্তার অনৈতিক সহায়তায় জেলা সমাজসেবা কার্যালয় হতে চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ইউনিটি (সিআরইউ)’র নামে নিবন্ধন নেয়ার অপচেষ্টা করছে। লিগ্যাল নোটিশ দাতা উক্ত সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর নূর সমাজসেবার অত্র কর্মকর্তাগণকে চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ইউনিটি (সিআরইউ) নামক সংস্থার নিবন্ধন প্রক্রিয়া সংক্রান্তে দুর্নীতি ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে আইন বহির্ভূত কার্যক্রম গ্রহণ হতে বিরত থাকার জন্য চূড়ান্ত সতর্ক করেন। অন্যথায়, নোটিশ দাতা অত্র চুড়ান্ত লিগ্যাল নোটিশের মাধ্যমে চট্টগ্রাম শহর ও জেলা সমাজসেবা অফিসের ১৮-২০ নং লিগ্যাল নোটিশ গ্রহীতা উক্ত ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে দেওয়ানী ও ফৌজদারী অপরাধে মামলা দায়ের করা হবে মর্মে হুশিয়ার করেন।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply