চট্টগ্রামে আমজাদ হোসেন চেয়ারম্যান হত্যা : ১০ জনের ফাঁসি
হত্যাকাণ্ডের ২১ বছর পর সাতকানিয়ার আওয়ামী লীগ নেতা ও চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন হত্যা মামলায় সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান নেজামউদ্দিনসহ ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া পাঁচ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় আসামির মধ্যে চারজনকে খালাস দিয়েছেন বিচারক।আজ রোববার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ কে এম মোজাম্মেল হক এই রায় ঘোষণা করেন। এর আগে ১১ নভেম্বর ১০ আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠিয়েছিলেন আদালত। তারা কারাবন্দি আছেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের আইনজীবী মোহাম্মদ মাসুম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন মানিক প্রকাশ ওরফে ঠোঁটকাটা মানিক, নেজাম, জাহেদ, রাশেদ, তারেক, ফারোখ আহাম্মদ, বশির আহামদ, জিল্লুর রহমান, মো. রফিক ও জসিম উদ্দিন ওরফে জসিম।
যাবজ্জীবন সাজা পেয়েছেন ইদ্রিছ, আইয়ুব, মো. ইদ্রিস, হারুন ও তাহের। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন মোরশেদুল আলম ওরফে মোরশেদ আলম, আবদুল মালেক, খায়ের আহাম্মদ ওরফে খায়ের ও মো. মোস্তাক।
এ ছাড়া মামলার এক নম্বর আসামি লুৎফুর রহমান ওরফে লুতুর মৃত্যু হওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, ১৯৯৯ সালের ৩ অক্টোবর মির্জাখীল দরবার শরীফের সামনে আমজাদ হোসেনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পরের দিন ৪ অক্টোবর নিহতের স্ত্রী সৈয়দা রওশন আকতার বাদী হয়ে সাতকানিয়া থানায় ২১ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০ জনকে অভিযুক্ত করে পুলিশ ২০০০ সালের ২২ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
২০০৪ সালের ২৫ অক্টোবর আদালতে ২০ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অপর এক আদেশে মামলাটি বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে পাঠানো হয়।
আমজাদ হোসেনের স্ত্রী ও মামলার বাদী সৈয়দা রওশন আক্তার বলেন, ‘স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে ২১ বছর ধরে অপেক্ষা করেছি। আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড পেয়ে আমি আনন্দিত। আমি আর কিছু চাই না।’