মীরসরাই হিঙ্গুলীতে শাহজাহান মেম্বারের কাণ্ড !
নিজে ওয়ারিশ সার্টিফেকেট দিয়ে আবার ওই ব্যাক্তি থেকে ‘অপ্রত্যাহার যোগ্য পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দলিল’ নিয়ে অপরের সম্পত্তি বিক্রি দেবার অপচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।দস্তুরমতো বিষয়টি নিয়ে ওই ইউপি মেম্মারের বিরুদ্ধে ক্ষমতা অপব্যবহারের জন্য এলাকাবাসী জোটবদ্ধ হচ্ছে। ওই ইউপি মেম্বার হলো মিরসরাই উপজেলার হিঙ্গুলী পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ সোহেল ।এলাকার লোকেরা তাকে শাহজাহান মেম্বার নামে চিনে। মোহাম্মদ সোহেল আজমনগর গ্রামের মরহুম ওবায়দুল হক ও মোছাম্মদ পরাণ ধনের পুত্র।
জানা গেছে, শাহজাহান মেম্বার গণ প্রতিনিধি হিসেবে নিজে মৃত ফয়েজ আহমদের ওয়ারিশ সার্টিফেকেট দেয় ৬ জনের নামে। ওই ৬ জনের মধ্যে ১জন তালাক প্রাপ্ত স্ত্রী রয়েছে।ওই তালাক প্রাপ্ত স্ত্রীর নাম হলো ছকিনা খাতুন।এখানে উল্লেখ্য যে, মৃত ফয়েজ আহমদের স্ত্রী হলো ২জন।দুইজনেরই নাম ছকিনা। ছকিনা খাতুনের বাপের নাম মৃত মৌলভী আবদুর রউফ আর অপর ছকিনা খাতুনের বাপের নাম মৃত কাজী আজহারুল হক।দুইজনের বাপের বাড়ীর ঠিকানা একই জায়গায় নয়।
এদিকে, ছকিনা খাতুনের ২ ছেলে ২ মেয়ে রয়েছে।আর তালাক প্রাপ্ত স্ত্রী ছকিনার খাতুনের ১মেয়ে রয়েছে।এই হিসেবে মৃত ফয়েজ আহমদের ওয়ারিশদার হলেন ৫জন।যাদের মধ্যে ৩জন মেয়ে ২জন ছেলে । শাহজাহান মেম্বারের পূর্বে ২জন সাবেক মেম্বারও ওয়ারিশ সনদে ৩জন মেয়ে ২জন ছেলের নামই উল্লেখ করেছেন।যা স্হানীয় তথ্য সুত্রমতে ঠিকই আছে।কিন্তু শাহজাহান মেম্বার অতীতের দুই ওয়ারিশ সনদের তোয়াক্কা না করে নিজে তালাক প্রাপ্ত স্ত্রী ছকিনা খাতুনকেও ওয়ারিশ বানিয়ে দেয়।আবার ওয়ারিশদার থেকে সেই নিজেই ‘অপ্রত্যাহার যোগ্য পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দলিল’ নিয়ে নেয়।ফলে মৃত ফয়েজ আহমদের ওয়ারিশদারদের মধ্যে নানান বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ে ও লেগেই আছে অশান্তি ।
এই বিষয়ে আমাদের প্রতিনিধির সাথে শাহজাহান মেম্বারের কথা হলে তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন আপনার বাড়ী কোথায় ? রিপোর্টের সাথে বাড়ীর সম্পর্ক কী জানতে চাইলে তিনি চা খাবার প্রস্তাব দেন ।