৩০ এপ্রিল ২০২৪ / ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / দুপুর ১:৪৭/ মঙ্গলবার
এপ্রিল ৩০, ২০২৪ ১:৪৭ অপরাহ্ণ

ইউপি নির্বাচন ঘিরে গরম হচ্ছে রাজনীতি

     

   বিশ্বকে দিশেহারা করে দেওয়া করোনা ভাইরাসের প্রকোপে টানা পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে বলতে গেলে ‘হোম কোয়ারেন্টাইনে’ থাকা রাজনৈতিক দলগুলো ঘর থেকে বেরিয়ে আসার তত্পরতা শুরু করেছে।

প্রথমে জাতীয় সংসদের শূন্য হওয়া চারটি আসনে অনুষ্ঠেয় উপনির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় হতে চাইছে দলগুলো। এরপর পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি)সহ স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচনের মাধ্যমে সারা দেশে দলীয় রাজনৈতিক কার্যক্রম বিস্তৃত করার প্রস্তুতি চলছে। উল্লেখযোগ্য দলগুলোর শীর্ষ নেতৃত্বের মতে, করোনার মধ্যেও মূলত ইউপি নির্বাচনকে ঘিরেই সারা দেশে রাজনীতি আবার সরগরম হয়ে উঠবে।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে জানা গেছে, আগামী বছরের মার্চ থেকে কয়েক ধাপে শুরু হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন। স্থানীয় সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও বড় পরিধির ৪ হাজার ১০০টি ইউপির নির্বাচন আয়োজনে ইতিমধ্যে প্রাথমিক প্রস্তুতিও শুরু করেছে ইসি। ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে ইসি এই নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করতে পারে। আইন অনুযায়ী, আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই সব ইউপি নির্বাচন সম্পন্ন করতে চায় ইসি। এর আগে আগামী অক্টোবরে মামলার জটে আটকে থাকা দুই শতাধিক ইউপিতে উপনির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।

বর্তমানে দেশে ৪ হাজার ৫৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। ২০১৬ সালের ২২ মার্চ শুরু হয়ে কয়েক ধাপে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন শেষ হয় ঐ বছরের ৪ জুন। আইন অনুযায়ী, কোনো ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।

স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচনসহ সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদারের লক্ষ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এরই মধ্যে দেশব্যাপী দলের অপূর্ণাঙ্গ কমিটিগুলো পূর্ণাঙ্গ করার উদ্যোগ নিয়েছে। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি আগের মতো ভবিষ্যতেও স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। জাতীয় পার্টি (জাপা), জাতীয় পার্টি-জেপি, জাসদ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ও চরমোনাই পিরের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (আইএবি)সহ অন্যান্য উল্লেখযোগ্য দলও বিশেষত ইউপি নির্বাচন সামনে রেখে সংগঠন গোছানোর পদক্ষেপ নিয়েছে।

ইউপি নির্বাচনের আগে এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সব পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠানেরও প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি। অক্টোবর থেকে পৌরসভাগুলো নির্বাচনের উপযোগী হবে। অক্টোবর থেকে নির্বাচনের উপযোগী পৌরসভাগুলোর সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে ইসি ইতিমধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবকে চিঠি দিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর ধারণা, ইউপির আগে পৌরসভা এবং এর আগে চারটি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনকে ঘিরে দলগুলোর রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক তত্পরতাও ধাপে ধাপে মাঠে বিস্তৃত হবে। আর সাংগঠনিক তত্পরতা দেশব্যাপী পূর্ণতা পাবে কার্যত ইউপি নির্বাচনের মাধ্যমে।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন (এলজিআরডি) ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ইত্তেফাককে বলেছেন, যেহেতু দেশে কোভিড-১৯-এর সমস্যা রয়েছে এবং আগামী দুই-তিন মাসেও আশানুরূপ উন্নতি হবে বলে মনে হচ্ছে না; সেই কারণে সঠিক সময়ে ইউপিসহ স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলো করা বড় চ্যালেঞ্জ। সেক্ষেত্রে মেয়াদ শেষ হলেও সেখানে প্রশাসক নিয়োগ করা যায় কি-না, কিংবা বিকল্প কিছু করা যায় কি-না সেটাও ভাবা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আইনগুলো পর্যালোচনা করে দেখছে মন্ত্রণালয়।

এদিকে, জাতীয় সংসদের শূন্য হওয়া চারটি আসনে নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী ঢাকা-৫ এবং নওগাঁ-৬ আসনে উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর। ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপনির্বাচনের তপশিল কমিশন এখনো ঘোষণা করেনি। আওয়ামী লীগ এরই মধ্যে ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ আসনে দল মনোনীত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। ঢাকা-৫ আসনে জাপা মনোনীত প্রার্থী দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ। বিএনপিও এ চারটি উপনির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।

চারটি আসনের উপনির্বাচনে ধানের শীষের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কাছে গতকাল বৃহস্পতিবার দলীয় ফরম বিক্রি শুরু করেছে বিএনপি। ঢাকার দুটি আসনে মোট ১২ জন বিএনপির মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।

ঢাকা-৫ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ছাড়াও ফরম কিনেছেন অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, নবী উল্লাহ নবী, মো. জুম্মন মিয়া ও আকবর হোসেন নান্টু। ঢাকা-১৮ আসনে প্রার্থী হতে ফরম কিনেছেন এম কফিল উদ্দিন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, ইসমাইল হোসেন, বাহাউদ্দিন সাদী, ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, মোস্তফা জামান সেগুন, মো. আখতার হোসেন।

নওগাঁ-৬ আসনে আবদুস শুকুর, এম এম ফারুক জেমস, মাহমুদুল আরেফিন স্বপন, এসহাক আলী, আতিকুর রহমান রতন মোল্লা, শেখ মো. রেজাউল ইসলাম, মো. শফিকুল ইসলাম, আবু সাঈদ রফিকুল আলম রফিক মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।

সিরাজগঞ্জ-১ আসনে বি এম তবিবুল ইসলাম, নাজমুল হাসান তালুকদার রানা ও রবিউল হাসান বিএনপির মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।সবটুকু পড়তে ক্লিক করুন

About The Author

শেয়ার করুনঃ

অবৈধ ব্যাটারী রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে চট্টগ্রাম মহানগরী রিক্সা মালিক চালক ঐক্য পরিষদের এক সভা আজ সন্ধ্যা ৭ টায় লালখান বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের আহŸায়ক আব্দুল কাদের মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন হাজারী। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বাবু টিটু মহাজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল জাহেদ জসিম, রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম। সভায় বক্তারা বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার যে পাঁয়তারা চালাচ্ছে তা আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে রিকশা উচ্ছেদের এক গভীর ষড়যন্ত্র। তাই আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরীর রিকশা মালিকদের এক প্রতিনিধি সভার ডাক দিয়ে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে এ ধরণের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচলে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। আগামীতে এধরণের কর্মকাÐ রুখে দিতে আমরা আবারও উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব। তাই সময় থাকতে এ ধরণের অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট উদাত্ত আহŸান জানাচ্ছি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন-মহানগরী রিকশা মালিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম কোম্পানী, মোঃ করিম কোম্পানী, মোখলেচুর রহমান, সিটি রিকশা মালিক পরিষদের সদস্য মোঃ সোহাগ, মোঃ মহিবুল্লাহ, লিটন দাশ, মুহাম্মদ সোলায়মান প্রমুখ। অবৈধ ব্যাটারী রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে চট্টগ্রাম মহানগরী রিক্সা মালিক চালক ঐক্য পরিষদের এক সভা আজ সন্ধ্যা ৭ টায় লালখান বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের আহŸায়ক আব্দুল কাদের মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন হাজারী। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বাবু টিটু মহাজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল জাহেদ জসিম, রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম। সভায় বক্তারা বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার যে পাঁয়তারা চালাচ্ছে তা আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে রিকশা উচ্ছেদের এক গভীর ষড়যন্ত্র। তাই আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরীর রিকশা মালিকদের এক প্রতিনিধি সভার ডাক দিয়ে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে এ ধরণের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচলে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। আগামীতে এধরণের কর্মকাÐ রুখে দিতে আমরা আবারও উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব। তাই সময় থাকতে এ ধরণের অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট উদাত্ত আহŸান জানাচ্ছি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন-মহানগরী রিকশা মালিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম কোম্পানী, মোঃ করিম কোম্পানী, মোখলেচুর রহমান, সিটি রিকশা মালিক পরিষদের সদস্য মোঃ সোহাগ, মোঃ মহিবুল্লাহ, লিটন দাশ, মুহাম্মদ সোলায়মান প্রমুখ।

Leave a Reply