২৯ এপ্রিল ২০২৪ / ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ৮:৫৫/ সোমবার
এপ্রিল ২৯, ২০২৪ ৮:৫৫ পূর্বাহ্ণ

কমলগঞ্জে কর্মহীন শ্রমজীবী দরিদ্র মহিলাদের জন্য আর্থিক সহযোগিতা ও রেশনের দাবি

     

 

বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের প্রাদূর্ভাবে
কর্মহীন শ্রমজীবী দরিদ্র মহিলারা আর্থিক সহযোগিতা ও রেশন প্রদানের জন্য
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আবেদন করেছেন। শ্রমজীবী
দরিদ্র মহিলানেত্রী দেলোয়ারা বেগম ও আম্বিয়া খাতুন জানান গত ৩ দিন
ইউনিয়ন অফিস, উপজেলা অফিস ঘুরতে ঘুরতে ১২৭ জন অসহায় দরিদ্র
কর্মহীন শ্রমজীবী মহিলাদের তালিকাসহ একটি আবেদন উপজেলা নির্বাহী
অফিসার বরাবর পেশ করেছেন। আবেদনের অনুলিপি উপজেলা চেয়ারম্যানসহ
জনপ্রতিনিধিদের নিকটও দেওয়া হয়েছে। মহিলানেত্রী দেলোয়ারা বেগম ও
আম্বিয়া খাতুন জানান উপজেলার ১ নং রহিমপুর ইউনিয়নের শহরতলীর কালেঙ্গার
এলাকার দরিদ্র জনগোষ্টির মহিলারা বিভিন্ন বাসাবাড়ি, হোটেল-রেস্টুরেন্ট,
নির্মাণ কাজ, ইটভাঙ্গা, মাটি কাটাসহ বিভিন্ন  পেশায় নিয়োজিত
থেকে কোন রকমে দুঃখ-কষ্ঠের সাথে জীবন নির্বাহ করে আসছিলাম। কিন্তু
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের(কোভিড-১৯) প্রাদূর্ভাবে সৃষ্ঠ
মহামারি মোকাবেলায় সরকার গত ২৬ মার্চ’২০২০ প্রথমে ১০ দিনের জন্য
সরকারি, বেসরকারি অফিস-আদালত, মার্কেট-দোকানপাট, গণপরিবহণ বন্ধ
ঘোষণা করে সর্বস্তরের জনসাধারণকে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ঘরে থাকার
নির্দেশ প্রদান করেন। ইতোমধ্যে সরকারি এই নির্দেশনা আগামী ১৪
এপ্রিল’২০২০ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে, যা আরও বৃদ্ধি করার  আশংকা
রয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে
ইতোমধ্যে সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমন কি আমরা বিভিন্ন
বাসাবাড়িতে কাজ করতাম তাদেরকেও ওই সব বাসাবাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে
না বা কাজ থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। যার কারণে কালেঙ্গা এলাকার প্রায়
দুই শতাধিক মহিলা কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন। গত
১০/১২ দিন কোন রকমে ধার দেনা করে চলতে পারলেও বর্তমানে আর কোন ভাবেই
দিনাতিপাত করা সম্ভব হচ্ছে  না। এখানে উল্লেখ করা দরকার যে সরকারি বন্ধ
ঘোষণার সাথে সাথেই এলাকার উ”চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত জনসাধারণ হুমড়ি খেয়ে
বাজারে এক-দুই মাসের নিত্যপণ্য কিনে রাখেন। যার প্রভাবে একদিকে যেমন
নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি আগে যে পরিচত দোকান থেকে
বাকিসিকি কিনে চলতে পারছিলাম বর্তমানে সেই দোকান থেকে
বাকিসিকিও মিলছে না। সরকারের পক্ষ থেকে নানা আর্থিক সহযোগিতার
কথা বলা হলেও আমরা কালেঙ্গার দরিদ্র মহিলা এখন পর্যন্ত কোন রকম সহযোগিতা
পাইনি।এমতবস্হায় কালেঙ্গা এলাকার অসহায় দরিদ্র কর্মহীন মহিলাদের বর্তমান
দুরাবস্হার কথা বিবেচনা করে কোন রকমে খেয়ে পরে বেঁচে থাকার সুযোগ
করে দিতে সরকারের পক্ষ থেকে নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তা এবং রেশন প্রদান
প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহণ করা জরুরী।
বার্তা প্রেরক
আম্বিয়া খাতুন গ্রামঃ পশ্চিম কালেঙ্গা, ওয়ার্ড নং-০১
রহিমপুর ইউপি

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply