২৬ এপ্রিল ২০২৪ / ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / বিকাল ৪:৪৩/ শুক্রবার
এপ্রিল ২৬, ২০২৪ ৪:৪৩ অপরাহ্ণ

বন্দর ডিসি’র তৎপরতায় পালিয়েছে জুয়া ও মাদক কারবারীরা , তালিকাভুক্ত নেই কোন মাদক ব্যবসায়ী ও জুয়ারু

     

 

 

এম এন ইসলাম চৌধুরী 

বর্তমান সরকারের চলমান জুয়া ও মাদক নিমূল অভিযানকে দেশের সর্বস্তরের জনগন ও সুশীল সমাজ সু-স্বাগত জানিয়েছে। স্বস্তিতে রয়েছে সাধারণ জনগন। জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় জুয়া ও মাদক নির্মূল অভিযানকে উন্নয়ন পথকে আর একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে মন্তব্য সুশীল সমাজ ও সাধারণ জনগনের। মূলত মরণ নেশা ইয়াবা ব্যবসা মুল উৎস স্তর বার্মায়। বাংলাদেশ মায়ানমার বর্ডার ক্রস করে টেকনাফ হয়ে চট্টগ্রাম জেলায় বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়ে মরণ ঘাতি এ নেশা। অতি লোভনীয় মুনাফা ও আকারে ছোট হওয়াতে ধনী-গরিব সর্বস্তরের মানুষের কাছে অতি প্রিয় হয়ে উঠেছে এই ব্যবসা। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ের রিপোর্টে চট্টগ্রাম জেলায় ইয়াবা ব্যবসায়ীদের ৪৭ জনের জনের একটি চিহিৃত মাদক কারবারীর তালিকা মন্ত্রনালয়ের জমা হয়েছে বলে গোপন সূত্রে জানা যায়। আর এই ৪৭জন চিহিৃত মাদক সম্রাটের তালিকায় একজন ও নেই চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ বানিজ্যিক থানা হিসেবে বন্দরে।

পরোক্ষভাবে ৪৭ জন ইয়াবা ব্যবসায়ীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাকলিয়া থানায়, তদন্ত রিপোর্টে মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকায় বন্দর থানায় ইয়াবা ব্যবসায়ী না থাকলেও আছে কিছু ভাসমান ইয়াবা ব্যবসায়ী, তাও আবার ক্ষণস্থায়ী। তারা অন্য এলাকা থেকে এসে ইয়াবা সেবনকারীদের ইয়াবা বিক্রি করে আবার চলে যায় বলে কয়েকজন ইয়াবা সেবনকারী জানিয়েছেন এই প্রতিবেদককে। তাছাড়া বন্দর ডিসি হামিদ সাহেবের যোগদানের পর এই এলাকায় মাদক কারবারি ও জুয়ারুরা সম্পূর্ণরুপে আতংকের মধ্যে আছে এবং অনেকেই এলাকা ছাড়া হয়েছে।

এই বিষয়ে বন্দর থানা পাড়া মহল্লার সরদার জসিম, ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মনোনীত মেম্বার টিপু, বশির কমিউনিটি পুলিশের সদস্য আইনউদ্দিন, মিজান, কামরুল চৌধুরী ও যুব সমাজ ব্যবসায়িক হাসান, ইঞ্জিনিয়ার মহিউদ্দিন, মন্টু সহ মহিন জানিয়েছেন আমাদের বন্দর থানা এরিয়াতে বর্তমানে কোন জুয়ার ঘর ও চিহ্নিত কোন ইয়াবা ব্যবসায়ী নেই বললেই চলে, তবে অনেক জায়গায় ইয়াবা সেবনকারী রয়েছে কিন্তু তাও পুলিশের সহায়তায় আমরা সামাজিক ভাবে ইয়াবা ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের সেবন প্রতিরোধে সচেতন করার লক্ষ্যে সামাজিক ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। তারা আরও জানায় বন্দর ডিসির তৎপরতায় মধ্যম হালিশহর পুলিশ ফাঁড়ির আইসি নাসির যোগদানের পর প্রতি মাসে জুয়া ও মাদক মামলার আসামী ধরে ১২-১৩টি মামলা দেওয়ার কারণে জুয়া ও মাদক নির্মূল সহ এলাকায় মাদক ও জুয়ারীদের টার্গেটে পরিণত হয়েছেন তিনি। এ ছাড়া ডিসির নির্দেশে মধ্যম হালিশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এলাকায় সরেজমিনে এসে আমাদেরকে জুয়ার ঘর ও ইয়াবা ব্যবসা ও সেবনকারীদের সম্পর্কে তথ্য ধরিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ এবং সামাজিক ভাবে প্রত্যেক ঘরে ঘরে অভিভাবকদের জুয়া ও মরণব্যাধি ইয়াবা সম্পর্কে সচেতন ও সতর্ক থাকার জন্য জানিয়ে যাচ্ছে সরিজমিনে। অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, বন্দর ডিসি যোগদানের পর থেকে এই থানায় নিয়মিত মামলা হয়েছে ৪ শতের উপরে, আসামী কোর্টে চালান ৫ শতের অধিক যা পূর্বে দায়িত্বরত কর্মকর্তার চেয়ে ২ গুন বেশি। কাউন্সিলরের এক মেম্বার জানায় জুয়া ও মাদক সম্পর্কে কোন অভিযোগ মধ্যম হালিশহর পুলিশ ফাঁড়ি ও থানায় করলে তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ফোর্স পাঠিয়ে দেন। তিনি আরো জানান এই চলমান প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে জনবহুল বন্দর থানা এরিয়া মাদক ও জুয়া মুক্ত এলাকায় পরিণত হবে বলে এলাকাবাসীর বিশ্বাস।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply