৮ মে ২০২৪ / ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সন্ধ্যা ৬:৫৪/ বুধবার
মে ৮, ২০২৪ ৬:৫৪ অপরাহ্ণ

গাজীপুর সিটি মেয়র মান্নানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

     

মুহাম্মদ আতিকুর রহমান 
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নানের বিরুদ্ধে জয়দেবপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন দুদকের উপপরিচালক মোঃ সামছুর আলম।

২১ মে রবিবার দুপুরে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে মন্ত্রণালয় কর্তৃক বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ের শর্ত লংঘন করে বাজেটভুক্ত নির্দিষ্ট উন্নয়ন প্রকল্প ব্যতীয় অন্য খাতে ৭ কোটি ১৮ লক্ষ ৩২ হাজার ৫৭৫ ব্যয় ও অনুদান প্রদানের অভিযোগে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্বে থাকাকালীন ২০১৩ সালের ১৮ আগস্ট থেকে ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সময়ে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় স্থানীয় সরকার বিভাগের বিভিন্ন স্মারকে ৯ কোটি টাকা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের অনুকূলে বরাদ্দ দেয়া হয়। এ বরাদ্দের শর্ত ছিল ‘বাজেটভুক্ত নির্দিষ্ট উন্নয়ন প্রকল্প ব্যতীত অন্য কোনো খাতে এ অর্থ কোনো অবস্থাতেই ব্যয় করা যাবে না। স্যানিটেশন সুবিধা শতভাগ নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে বরাদ্দকৃত অর্থের ২০ ভাগ অর্থ স্যানিটেশন কাজে ব্যয় করতে হবে এবং অগ্রগতির প্রতিবেদন যথা সময়ে অত্র বিভাগের প্রেরণ করতে হবে’।

সিটি মেয়র মান্নান বরাদ্দকৃত ৯ কোটি টাকা সোনালী ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব হিসাব নম্বরে জমা রাখেন। পরবর্তীতে দরপত্র বিজ্ঞপ্তি নং ১/২০১২-১৩ মূলে বিজ্ঞপ্তিতে এবং বিভিন্ন বাস্তবায়িত প্রকল্প সমূহের মধ্যে বিল ও অনুদান বাবদ ৭ কোটি ১৮ লক্ষ ৩২ হাজার ৫৭৫ টাকা ব্যয় করেন। ওই ব্যয় সমূহ করা হয়েছে ২০১৪ সালের ২৩ জুলাই থেকে ২০১৫ সালের ২০ জানুয়ারি মেয়াদে।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ের সুস্পষ্ট শর্ত লংঘন করে বাজেটভুক্ত নির্দিষ্ট উন্নয়ন প্রকল্প ব্যতীত অন্য খাতে ব্যয় এবং অনুদান বাবদ ব্যয়ের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের কোনো অনুমোদন গ্রহণ করা হয়নি। এতে প্রতিয়মান হয় মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নান ব্যক্তিস্বার্থে নিজে ক্ষমতাবান হওয়ার জন্য এবং অন্যকে লাভবান করার জন্য মন্ত্রণালয়ের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা লংঘন করে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।

উল্লেখ্য, বাসে পেট্রলবোমা হামলা মামলায় ২০১৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বারিধারার বাসভবন থেকে মান্নানকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা হয়। পরে হাই কোর্ট থেকে ২২টি মামলায় জামিনের পর ২০১৬ সালের ২ মার্চ তিনি কারামুক্ত হন। এপ্রিল মাসে তিনি মেয়র পদ ফিরে পান।

২০১৬ সালের ১৫ এপ্রিল ফের নাশকতার তিনটি মামলায় তাকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একই মাসে তাকে ফের বরখাস্ত করা হয়।

তার বিরুদ্ধে মোট ২৯টি মামলা দায়ের করা হলেও সবকটি মামলায় তিনি জামিন লাভ করে এ বছর ২০১৭ সালের ৬ জানুয়ারি কারামুক্ত হন বলে জানান তার আইনজীবী মঞ্জুর মোরশেদ প্রিন্স।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply