২৬ এপ্রিল ২০২৪ / ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / দুপুর ১২:২৯/ শুক্রবার
এপ্রিল ২৬, ২০২৪ ১২:২৯ অপরাহ্ণ

তিন জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৬

     

রাজধানীসহ কক্সবাজার ও গাজীপুরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ছয়জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে রাজধানীতে নরসিংদীর শীর্ষ সন্ত্রাসী শফিকুল ইসলাম শফিক , কক্সবাজারের টেকনাফে দুই রোহিঙ্গা, পেকুয়ায় দুই জলদস্যু ও গাজীপুরের টঙ্গীতে এক ছিনতাইকারী রয়েছে। বুধবার ভোররাতে এ সব বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

রাজধানীতে র‌্যাবের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নরসিংদীর শীর্ষ সন্ত্রাসী শফিকুল ইসলাম শফিক (২৮) নিহত হয়েছেন। এছাড়া প্রদীপ চন্দ্র (৩৫) ও ফারুক হোসেন (৩২) নামে শফিকের দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বুধবার ভোররাতে মাটিকাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

র‌্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন জানান, নরসিংদীর অপরাধীদের তালিকায় এক নম্বর আসামি শফিকুল। তার অবস্থান শনাক্ত করে গ্রেফতার করতে গেলেই সে ও তার সহযোগীরা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। আত্মরক্ষার্থে র‌্যাব পাল্টাগুলি চালালে শফিকুল গুলিবিদ্ধ হয়। পরে ঢামেকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও জানান,ঘটনাস্থল থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

কক্সবাজার প্রতিনিধি জানান, কক্সবাজারের টেকনাফ ও পেকুয়ায় পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গা ইয়াবা কারবারি ও জলদস্যুসহ চারজন নিহত হয়েছেন। বুধবার ভোররাতে পৃথক সময়ে বিজিবি ও র‌্যাবের সাথে এসব বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। এসময় এক লাখ ৯০ হাজার পিস ইয়াবা ও ৮টি অস্ত্র ও ২৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়ন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবির) ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার ও র‌্যাব-৭ চট্টগ্রামের কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান এসব তথ্য জানিয়েছেন।

টেকনাফে নিহতরা হলো, কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মো. তাহেরের ছেলে মোহাম্মদ ইলিয়াস (১৮) ও বালুখালী ক্যাম্পের মো. ইদ্রিসের ছেলে মো. ফারুক মিয়া। তাদের গলায় রোহিঙ্গা কার্ড ছিল।

বিজিবি জানায়, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের ঘটনায় তারা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু তখন থেকে মিয়ানমারের আসা যাওয়া করে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিল তারা।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সমর্থকদের স্বাধীনতার শুভেচ্ছা বার্সার

টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়ন বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার জানান, প্রতিদিনের মতো টহলকালে বুধবার ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে বিজিবির একটিদল টেকনাফের হোয়াইক্যং ঝিমংখালীর খারাংখালী নাফনদী সীমান্ত পয়েন্ট এলাকায় দু’ব্যক্তিকে নদী পার হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের চেষ্টা করে। কর্তব্যরত বিজিবির সদস্যরা বাঁধা দিতে গেলে বিজিবিকে লক্ষ্য করে তারা গুলি ছুঁড়ে। এসময় আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি চালায়। এঘটনার কিছুক্ষণ পর গুলির আওয়াজ থেমে গেলে ঘটনাস্থলে দুজনের গুলিবিদ্ধ দেহ পড়ে থাকতে দেখে। তাদের সাথে থাকা পুটলি তল্লাশি করে এক লাখ নব্বই হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ তাদের মৃতদেহগুলো নিয়ে যায়।

টেকনাফ থানা পুলিশের ওসি তদন্ত এসএম দোহা জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহগুলো কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে বিজিবি বাদি হয়ে সংশ্লিষ্ট আইনে একটি মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

অপরদিকে, কক্সবাজারের উপকূলীয় উপজেলা পেকুয়ার মগনামা ঘাট এলাকায় র‌্যাব-৭ এর টহল দলের সাথে জলদস্যুদের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দু’জলদস্যু নিহত হয়েছেন।

বুধবার ভোররাত ৪টার দিকে এ গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে।

র‌্যাব কর্মকর্তা মেজর মেহেদী হাসান জানান, মগনাঘাট এলাকায় একদল জলদস্যু জড়ো হয়েছে জানতে পেরে র‌্যাব-৭’র একটি দল ঘটাস্থলে টহলে যায়। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে জলদস্যুরা গুলি করে। র‌্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালালে কিছুক্ষণপর জলদস্যুরা পিছু হটে। গুলির আওয়াজ থেমে গেলে ঘটনাস্থল থেকে দুজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ ও ৮টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ২৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। পরে মরদেহগুলো পেকুয়া থানা পুলিশকে দিয়ে দেয়া হয়েছে।

পেকুয়া থানার ওসি জাকির হোসেন ভুঁইয়া তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। পাশাপাশি পরিচয় জানার চেষ্টাও অব্যহত রয়েছে বলে উল্লেখ করেন ওসি।

টঙ্গী (গাজীপুর) সংবাদদাতা: গাজীপুরের টঙ্গীতে পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক ছিনতাইকারী নিহত হয়েছেন। নিহত ছিনতাইকারী কাওছার মিয়া (৩০) টঙ্গীর এরশাদ নগদ এলাকার ৬ নং ব্লকের মিন্টু মিয়ার ছেলে।

বুধবার ভোরাতে বাশপট্রি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সবটুকু খবর পড়তে ক্লীক করুন

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply