বাজার থাকা ভোজ্যতেলের ২১ নমুনায় ভিটামিন ‘এ’ নেই
সম্প্রতি বিভিন্ন বাজার থেকে ড্রামজাত ভোজ্যতেলের ৫০টি নমুনা সংগ্রহ করে বিএসটিআই ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ২১টিতে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় ভিটামিন ‘এ’ পাওয়া যায়নি জানিয়েছেন বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক মো. মুয়াজ্জেম হোসাইন।
বুধবার তেজগাঁওস্থ বিএসটিআইর প্রধান কার্যালয়ে ভোজ্যতেল রিফাইনারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা সভায় তিনি এ তথ্য জানান।
বিএসটিআই পরীক্ষণ ল্যাবরেটরিতে ভোজ্যতেল পরীক্ষণের ফলাফল তুলে ধরে মো. মুয়াজ্জেম হোসাইন বলেন, ড্রামজাত ভোজ্যতেলে ৫০টির মধ্যে ২১টিতে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় ভিটামিন ‘এ’ পাওয়া যায়নি।
তবে বোতলজাত ভোজ্যতেলের ৪৪টি নমুনার মধ্যে ৪২টিতে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় (১৫-৩০ পিপিএম) ভিটামিন ‘এ’ পাওয়া যায় এবং ২টি নমুনায় ভিটামিন ‘এ’ পাওয়া যায়নি। যে দুটি নমুনায় কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় ভিটামিন ‘এ’ পাওয়া যায়নি তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
বিএসটিআই’র পরিচালক (সিএম) প্রকৌশলী এস এম ইসহাক আলী বলেন, ড্রামজাত ভোজ্যতেলে কোনো কোম্পানির নাম উল্লেখ না থাকায় কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাচ্ছে না। তাই তিনি অবিলম্বে ড্রামের পরিবর্তে ফুডগ্রেড বোতলে ভোজ্যতেল বিক্রির জন্য রিফাইনারিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা দেন।
আলোচনা সভায় বিএসটিআই’র পরিচালক (মান) মো. সাজ্জাদুল বারী, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি চিফ ড. মো. আল আমিন সরকারসহ শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বিএসটিআইর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ভোজ্যতেল রিফাইনারিদের মধ্যে বাংলাদেশ এডিবল অয়েল, সিটি গ্রুপ, মোস্তফা গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, টি. কে. গ্রুপ, তানভীর অয়েলস লিমিটেড, নর্দার্ন কনজ্যুমারস প্রোডাক্টস লিমিটেডসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ভোজ্যতেলে ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধকরণ আইন, ২০১৩ অনুযায়ী ফর্টিফাইড সয়াবিন অয়েল, ফর্টিফাইড পাম অলিন, ফর্টিফাইড এডিবল পাম অলিন, ফর্টিফাইড রাইস ব্র্যান অয়েল, ফর্টিফাইড সানফ্লাওয়ার অয়েলে (১৫-৩০ পিপিএম) ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধকরণপূর্বক গুণগতমান নিশ্চিত করে বিক্রয়/বিতরণ/বাজারজাতকরণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।