২৯ এপ্রিল ২০২৪ / ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ভোর ৫:৪৫/ সোমবার
এপ্রিল ২৯, ২০২৪ ৫:৪৫ পূর্বাহ্ণ

বিশ্ব শান্তির দূত শেখ হাসিনা আবারও রাষ্ট্রক্ষমতায়

     

বিজয়ের মাসে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আকাশচুম্বী বিজয়ের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি একটি রেকর্ডভঙ্গকারী ঘটনা। এ বিজয় যুক্তিযুদ্ধের, এ বিজয় দেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা, সার্বিক উন্নয়নের, এ বিজয় স্বাধীনতা ও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র কাঠামো রক্ষা ও তারুন্যের  বিজয়। এই ঐতিহাসিক বিজয়ের মাধ্যমে দেশের অগ্রযাত্রার পথ সমৃণ হলো, সুগম হলো স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী সগৌরবের পালনের। বাঙালি জাতির ভাগ্য ভালো, দেশের সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফের রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবেন। আমাদের সৌভাগ্য, শেখ হাসিনার মতো বহুগুণে গুণান্বিত একজন মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন গুণবর্তী নারী আমাদের প্রধানমন্ত্রী। অন্তর্জাতিক দুনিয়া যে মহামানবীর প্রসংসায় পঞ্চমুখ। বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা , রাজনৈতিক নেতারা ও গণমাধ্যম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নানা উপাধিতে ভূষিত করেছেন। দুর্নীতি যাদের স্পর্শ করেনি, বিদেশে যাদের কোন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই, বিশ্বের এমন সৎ ৫ জন সরকার প্রধানের তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বের ১০০ ক্ষমতাধর নারীর তালিকায় তাঁর অবস্থান ৩৩তম। বিশ্বে ১০০ প্রবাবশালী ব্যক্তির তালিকায় শেখ হাসিনার নাম রয়েছে। লিডার্স ক্যাটাগরিতে শেখ হাসিনা ২৭ জনের মধ্যে ২১তম। এছাড়া কর্মদক্ষতা ও মহানুভবতার জন্য শেখ হাসিনা বিশ্ববাসীর কাছ থেকে অসংখ্য পদক ও সম্মাননা পেয়েছেন। বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা শেখ হাসিনাকে ‘বিশ্ব মানবতার বিবেক’,‘ক্যারিসমেটিক লিডার’, ‘প্রাচ্যের নতুন তারকা’, ‘ বিশ্বের নেতা’, ‘বিশ্বশান্তির দূত’শেখ হাসিনা , ‘নারী অধিকারের স্তম্ভ’, মানবিক বিম্বের প্রধান নেতা’, ‘বিশ্বমানবতার আলোকবর্তিকা’, প্রভৃতি উপাধিতে ভূষিত করেছে। শেখ হাসিনা একজন মানবতাবাদী সুলেখকও । অত্যন্ত ধর্মপ্রাণ, সংস্কৃতিমনা, অসাম্প্রদায়িক ও উদার ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারী, বিশ্বের দীর্ঘস্থায়ী নারী সরকার প্রধান শেখ হাসিনা শত ব্যস্ততার মধ্যেও অসংখ্য বই লিখেছেন। তার প্রকাশিত বইগুলো (১) শেখ মুজিব আমার পিতা (২) দারিদ্র্য বিমোচন, কিছু ভাবনা (৩) ওরা টোকাই কেন ? (৪) বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম (৫) আমার স্বপ্ন, আমার সংগ্রাম (৬) আমরা জনগণের কথা বলতে এসেছি (৭) সামরিক তন্ত্র বনাম গণতন্ত্র (৮) সাদা কালো (৯) সবুজ মাঠ পেরিয়ে (১০) মাইলস টু গো (১১) দ্য কোয়েস্ট ফর ভিশন ২০২১।
বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনা। শব্দ তিনটি এমন একাকার। এর ব্যবহারে রাজনৈতিক কোনো পরিচয়ের দার নেই। বঙ্গবন্ধুর মতো আকাশসম ব্যক্তিত্বকে যদি কেউ এড়িয়ে চলতে চায় তাতে তার কিছু যায় আসে না। কেননা, বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর চেয়ে বেশি কিছু নয়। বাঙালি জাতীয় অস্তিত্বের সঙ্গে এ নামটি আষ্টে পৃষ্ঠে মিলে আছে। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মুজিব দেশকে তার মনের মতো সাজাতে চেয়েছিলেন। স্বপ্ন দেখেছিলেন সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলার। বঙ্গবন্ধু তার জীবনের চেয়েও দেশের মাটি ও মানুষকে ভালোবাসতেন। পাকিস্তানি জান্তা তাকে মারতে সাহস করেনি অথচ তার প্রিয় বাঙালিদের হাতে কলঙ্কিত হয় মধ্যরাতে ১৫ আগষ্ট ১৯৭৫ সালে। সর্বক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ে দেশ। দীর্ঘ একুশ বছর পর ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা ক্ষমতায় এসে দেশকে আবার মূল ধারায় ফিরিয়ে আনেন। দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবারো সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছেন। ইশতেহারে বড় বিষয় নয়, রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে ইশতেহারের বাইরেও অনেক কিছু করা যায়। বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের প্রত্যাশা, ২০১৯ সালে নতুন মেধাদীপ্ত সরকার সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রশাসনিক ও সার্বিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়ে শক্তিশালী ও কার্যকর করবে। টেকসই যোগাযোগব্যবস্থা ও অবকাঠামোগত উন্নয়ণ, শিল্পায়ন ও বেকারত্ব দূরীকরণ, খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিশ্চিতকরণ, মানসম্মত শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও প্রযুক্তিগত সুবিধাসহ সাংবিধানিক সব সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। আগামী মেয়াদে নতুন সরকারকে মাদকমুক্ত, সুশাসন, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ,দুর্নীতিমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধিশালী দেশ নির্মাণের সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি হাতে নিতে হবে। দীর্ঘ সময়ের পুঞ্জীভূত জঞ্জাল পরিষ্কার করে এমন এক দেশ উপহার দিতে হবে যেখানে আর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নেতাশূন্য করতে সমাবেশে গ্রেনেড হামলা হবে না, রাষ্ট্রপ্রাধানকে হতে হবে না সপরিবারের ‘খুনের শিকার, জাতীয় ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে সেই সরকার জনস্বার্থে কাজ করবে যা হবে বিশ্বের বিষ্ময়।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply