২৯ এপ্রিল ২০২৪ / ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ১০:২৬/ সোমবার
এপ্রিল ২৯, ২০২৪ ১০:২৬ পূর্বাহ্ণ

এবার বাঁধ ভেঙে ডুবল পাগনার হাওর

     

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার পাগনার হাওরের বাঁধ ভেঙ্গে ১০ হাজার হেক্টর জমির বোরো ফসল তলিয়ে গেছে। আজ সোমবার ভোরে হাওরের উরারবন্দ নামক স্থানে বাঁধ ভেঙ্গে তলিয়ে যায় হাওরটি। এটি ছিল জেলার সর্বশেষ সুরক্ষিত একটি বড় হাওর।
এদিকে গত শনিবার রাতে তাহিরপুর উপজেলার শনির হাওরের বাঁধ ভেঙ্গে গেলে সেখানের ৮ হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান ডুবে যায়। জেলার বড় এই দুটি হাওর ডুবে যাওয়া জেলাবাসী চরম এক অনিশ্চয়তার সম্মুখীন হলেন।
এলাকাবাসী জানান,পাগনার হাওরটিতে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা ও নেত্রকোনার খালিয়াজুরি উপজেলার অনেক কৃষকদের বোরো জমি রয়েছে। চৈত্রের শেষে সিলেট অঞ্চলে রোরো ফসলের উপর বিপর্যয় শুরু হলে জামালগঞ্জের ফেনারবাঁক ইউনিয়নের পাগনার হাওরের ১০ হাজার হেক্টর জমির বোরো ফসল রক্ষার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন এলাকাবাসী। তবে গত এক মাস ধরে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো কর্মকর্তা বাঁধে ছিল না জানিয়েছেন ফেনারবাঁক ইউপি চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু তালুকদার।
এলাকাবাসী জানান, শতাধিক শ্রমিক রবিবার রাতেও বাঁধে কাজ করেছেন। বাঁধ রক্ষায় ৫০ জন পাহাড়াদারও নিয়োগ ছিলেন। কিন্তু সোমবার ভোরে বৃষ্টির সময় উরারবন্দ বাঁধ ভেঙে হাওরে পানি ঢুকতে শুরু করে। গ্রাম পুলিশ, শ্রমিক ও পাহাড়ারদের নিয়ে শেষ চেষ্টা করেও বাঁধ রক্ষা করা যায়নি।
ফেনারবাঁক ইউপি চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু তালুকদার বলেন, হাওরের এত বড় দুর্যোগে পাউবোর কোনো অফিসারকে বাঁধে পাওয়া যায়নি।
পাগনার হাওরের ধান সবে মাত্র পাকতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে বাধ বেঙ্গে সব তলিয়ে যায়। সুনামগঞ্জ জেলায় এ বছর ২ লাখ ২৩ হাজার ৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়। ৪২টি হাওরের ফসল রক্ষায় ৬৮ কোটি টাকা ৮০ লাখ টাকার বাঁধের কাজ চলছিল। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সুনামগঞ্জের বৃহৎ ৩৭টি হাওরসহ মোট ৪২টি হাওরে ২০ কোটি ৮০ লাখ ব্যয়ে ২২৫টি পিআইসি (প্রকল্প  বাস্তবায়ন কমিটি) ও ৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭৬টি প্যাকেজে ঠিকাদার দিয়ে বোরো ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করেছিল।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply