সাভারে মামুন হত্যার রহস্য উদঘাটন
সাভারে রিকশাচালক আল-মামুন (১৫) হত্যাকাণ্ডের জট খুলেছে। উদঘাটিত হয়েছে হত্যার রহস্য। সঙ্গীদের নিয়ে মাদক সেবনের বিরোধেই মামুন খুন হন বলে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছেন রনি। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন চারজন। পুলিশ চারজনকেই গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।
নিহত রিকশা চালকের পিতা তাকাব্বর হোসেন বলেন, ২৫ জুলাই সকালে আল-মামুন ইঞ্জিন চালিত রিকসা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। কিন্তু তিনি আর ফিরে আসেননি। পরদিন বেলা সাড়ে ১০টার দিকে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের কালিয়াকৈর এলাকায় মামুনের লাশ পাওয়া যায়। তার গলায় রশি দিয়ে ফাঁস লাগানো ছিল। এ ঘটনায় সাভার থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ তদন্তে নামে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. আজগার আলী বলেন, তদন্তকালে জানা যায়- ঘটনার দিন রাতে রিকশাচালক মামুন তার ৩ জন বন্ধুকে নিয়ে কালিয়াকৈরের দিকে গিয়েছিল। এ সূত্র ধরে অজ্ঞাত ওই তিন সঙ্গী বন্ধুকে খুঁজতে গিয়ে ঝিনাইদহের শৈলকূপার খোকন শেখের ছেলে মো. রনির নাম সামনে আসে। রনি সাভারের কৃষ্টপুর গ্রামে ভাড়া থাকতো। এলাকার সবাই তাকে বখাটে হিসেবেই জানে। পুলিশ সাভার থেকে রনির মা কল্পনা বেগমকে সঙ্গে নিয়ে কৌশলে তার বোনের বাড়ি চট্টগ্রামে অভিযান চালিয়ে ১৭ সেপ্টেম্বর তাকে আটক করে। পরে রনির দেওয়া তথ্য মতে হত্যাকাণ্ডের অপর সহযোগী মো. কাউসার, মাসুদ রানা ও আওলাদকে বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
খুন হওয়া রিকশাচালক ও গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে সখ্যতা ছিল। ঘটনার দিন মাদক সেবনকে কেন্দ্র করে বিরোধ হয়। এ বিরোধের জের ধরেই আল-মামুনকে প্রথমে মারধোর এবং পরে রশি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।