কমলাপুরে অগ্রিম টিকিটের জন্য উপচেপড়া ভিড়
ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাড়ি ফিরতে ২০ আগস্টের টিকিট পেতে কমলাপুরে মানুষের উপচেপড়া ভিড় শুরু হয়েছে। কমলাপুর স্টেশনে চতুর্থ দিনের মতো ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হচ্ছে। আজ শনিবার দেয়া হচ্ছে আগামী ২০ আগস্টের টিকিট। বিগত তিন দিনের তুলনায় আজ টিকিট প্রত্যাশী মানুষের উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি।আজ সকাল ৮টায় কমলাপুর স্টেশনে ২৬টি কাউন্টারে টিকিট বিক্রি শুরু হয়। কাউন্টারের সামনে থেকে মানুষের লাইনে বাইরের রাস্তায় গিয়ে ঠেকেছে। যদিও সবাই টিকিট শেষ পর্যন্ত পাবে কি না, তাও জানে না। তবু ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে রোদ আর গরমের মধ্যে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে।
যাত্রীদের অনেকেই অভিযোগ করেছে, কাঙ্ক্ষিত টিকিট পেতে গতকাল সন্ধ্যা থেকেই অনেকে অপেক্ষা করছে। এখানে টিকিট বিক্রির গতি শ্লথ। একজনের টিকিট কাটতে ৫ থেকে ১০ মিনিট পর্যন্ত সময় লাগছে। ফলে বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।এবার ঢাকা স্টেশনে ২৬টি কাউন্টার খোলা রাখা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি কাউন্টার নারীদের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে। ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১৫ আগস্ট থেকে।টিকিট বিক্রির বিষয়ে কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার সীতাংশু চক্রবর্তী বলেন, সকাল ৮টা থেকে ২৬টি কাউন্টারে অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়েছে। সকাল থেকেই প্রতিটি কাউন্টারের সামনেই মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে। যাত্রী চাপ মাথায় রেখে প্রতিটি ট্রেনেই আমরা অতিরিক্ত বগি সংযুক্ত করছি। ঈদের সময় সবাই এসি টিকিট চায়, কিন্তু আমাদের এসি সিট তো সীমিত তাই সবাইকে দেয়া সম্ভব হয় না। প্রতিটি লাইনে মানুষ সুশৃঙ্খলভাবে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করছেন। এ ছাড়া ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে জন্য আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীসহ রেলওয়ের নিজস্ব বাহিনী তৎপর রয়েছে।আজ চতুর্থ দিনের মতো বিক্রি হচ্ছে ঈদের অগ্রিম টিকিট। আগামীকাল রবিবার দেয়া হবে ২১ আগস্টের টিকিট। বরাবরের মতো এবারও মোট টিকিটের ৬৫ শতাংশ দেয়া হচ্ছে কাউন্টার থেকে। বাকি ৩৫ শতাংশের ২৫ শতাংশ অনলাইন ও মোবাইলে। ৫ শতাংশ ভিআইপি ছাড়াও রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ৫ শতাংশ।