২৯ এপ্রিল ২০২৪ / ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / দুপুর ২:৩৯/ সোমবার
এপ্রিল ২৯, ২০২৪ ২:৩৯ অপরাহ্ণ

পুলিশ সুপার হারুনের প্রত্যাহার দাবি বিএনপির

     

গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি
সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদের প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।

২০ দলীয় জোটের প্রধান নির্বাচনী অফিস টঙ্গী থানা বিএনপি কার্যালয়ে ২৯ এপ্রিল রবিবার সকালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবী জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও গাজীপুর সিটি নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়ক ডঃ খন্দকার মোশারফ হোসেন।

পুলিশ সুপার জনাব হারুনের প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত আবেদনও করা হয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।

সংবাদ সম্মেলনে ধানের শীষ প্রতীকে ২০ দলীয় জোট মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার, বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব ও নরসিংদীর সাবেক এমপি খায়রুল কবির খোকন, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, কেন্দ্রীয় নেতা ডাঃ মাজহারুল আলম, গাজীপুর জেলা বিএনপির সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে বিলুপ্ত কাশিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন সরকার, টঙ্গী থানা বিএনপি সেক্রেটারী মাহাবুবুল আলম শুকুর, ছাত্র নেতা প্রফেসর বসির উদ্দিন প্রমুখ বিএনপি নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

খন্দকার মোশারফ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, মহানগর জামায়াত আমির অধ্যক্ষ এস.এম সানাউল্লাহ নিজের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে বিএনপির প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকারকে সমর্থন দেয়ায় সানাউল্লাহসহ জামায়াতের ৪৫ নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তিনি অবিলম্বে তাদের মুক্তি দিয়ে নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিতের দাবি জানান।

তিনি আরো বলেন, শারীরিক অসুস্থতা ও নির্বাচনী আচরণবিধির কারণে মেয়র অধ্যাপক এম.এ মান্নান নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে না পারলেও তার নির্দেশে আত্মীয় স্বজন ও নেতা-কর্মীরা ধানের শীষের পক্ষে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। অথচ ‘জাহাঙ্গীরের পক্ষে আজমত, হাসানের পক্ষে মাঠে নেই মান্নান’ সংবাদ মাধ্যমে এ ধরণের উদ্দেশ্যমূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের ওপর নির্ভর করবে গাজীপুর সিটি নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে কিনা?

জনাব মোশারফ হোসেন আরো বলেন, এই সরকার জণগনের সরকার নয়, ভোট ডাকাতির সরকার। জনগনের ভোট ছিনতাই করে এই সরকার টিকে আছে। গাজীপুর সিটিতেও ভোট ডাকাতির আয়োজন চলছে। ইতিমধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে আমরা গাজীপরের বিতর্কিত এসপির প্রত্যাহার চেয়েছি। এসপি ২০ দলীয় প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় আতংক সৃষ্টি করছে। প্রশাসন নিরপেক্ষ না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। গাজীপুরের এসপি একটি দলের পক্ষপাতিত্ব করছে। আমরা নিরপেক্ষ প্রশাসন চাই।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply