গাজীপুরে ইয়াবাসহ আওয়ামী লীগ নেতা আটক, সড়ক অবরোধ
মুহাম্মদ আতিকুর রহমান
গাজীপুরের শ্রীপুরে আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ মাহতাব উদ্দিনকে ইয়াবাসহ আটকের প্রতিবাদে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে দলটির নেতাকর্মীরা।
৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে টায়ার জ্বালিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। পরে পরিস্থিতি মোকাবিলার আশ্বাস দিলে সকাল ৮টার দিকে অবরোধ তুলে নেয়া হয়। এ ঘটনায় সাতজনকে আটক করা হয়েছে।
শ্রীপুর থানার ওসি মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, আওয়ামী লীগ নেতা মাহতাব উদ্দিনকে আটকের খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে লাঠি-সোটা নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীরা মহাসড়কে অবস্থান নেয়। এ সময় তারা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে।
পরে জেলা ও হাইওয়ে পুলিশের অনুরোধে নেতাকর্মীরা সকাল ৮টার দিকে অবরোধ তুলে নেয়।
ওসি মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় শ্রীপুর পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান, আওয়ামী লীগ আব্দুল লতিফ, আইয়ুব হোসেন ভূইয়াসহ সাতজনকে আটক করা হয়েছে।
শ্রীপুর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাবিবুল্লাহ জানান, ভোর সাড়ে ৩টার দিকে গাজীপুরের ডিবি পুলিশ মাহতাব উদ্দিনকে তার বাড়ি চন্নাপাড়া থেকে মাদকের মিথ্যা অভিযোগে আটক করে নিয়ে যায়।
একই সময়ে গাজীপুর জেলা পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী মুলাইদ গ্রামের লিয়াকত ফকিরকেও আটক করে পুলিশ। খবর পেয়ে চারদিক থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মাওনা চৌরাস্তায় জড়ো হয়।
পরে লিয়াকত ফকিরকে মাওনা চৌরাস্তায় ছেড়ে দেয় পুলিশ। এ ঘটনার পর মাহতাব উদ্দিনের মুক্তির দাবিতে মহাসড়কে অবরোধ করা হয়।
এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ জানান, শ্রীপুর উপজেলা নির্বাচনে মাহতাব উদ্দিন তার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। জেলা আওয়ামী লীগের অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সদস্য পদে তার নাম রয়েছে। মাহতাবের মাদক বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয়।
তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, কেউ প্রমাণ দেখাতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।
শ্রীপুর উপজেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহিদুল ইসলাম জানান, গভীর রাতে গাজীপুর জেলা গেয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে মাহতাব উদ্দিনকে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় তারা কোনো গ্রেফতারি পরোয়ানা দেখাতে পারেনি।
তাকে মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত তারা কর্মসূচি অব্যাহত রাখবেন বলে জানান।
গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আমির হোসেন জানান, মাহতাব এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের অভিযোগও রয়েছে। রাত আড়াইটার দিকে তার এলাকা থেকে ২০০ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মাহতাব উদ্দিন ছাড়া অন্য কাউকে ছেড়ে দেয়া বা আটকের ঘটনা ঘটেনি।