২৯ এপ্রিল ২০২৪ / ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ৭:৫৯/ সোমবার
এপ্রিল ২৯, ২০২৪ ৭:৫৯ পূর্বাহ্ণ

আমতলীর সুবন্ধী বাঁধ মরন ফাঁদ খালে কচুরীপানা কৃষকদের সর্বনাশ বিভাগীয় কমিশনারের পরিদর্শন

     

কে.এম.রিয়াজুল ইসলাম ,বরগুনা

বরগুনার আমতলী উপজেলার ৩০ কিলোমিটার ত্রিভুজ আকৃতির বন্ধ চাওড়া নদী। এ নদীর পানি প্রবাহ বৃদ্ধি ও কচুরীপানা অপসারণে এলাকাবাসীর দাবির পরিপেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিকালে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. শহিদুজ্জামান চাওড়া নদীর আমতলী পৌরসভা সলঘœ বাধঘাট পয়েন্ট পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. মোখলেচুর রহমান , আমতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জি এম দেলোয়ার হোসেন , পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান , উপজেলা নির্বার্হী অফিসার মো. সরোয়ার হোসেন , পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মশিউর রহমান , আমতলী উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মো, মজিবুর রহমান , আমতলী সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোতাহার উদ্দিন মৃধা , হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম মৃধা , চাওড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আখতারুজ্জামান বাদল খান , আড়পাঙ্গাশিয়া ইউপি চেয়ারম্যান একেএম নুরুল হক , কুকুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. বোরহান উদ্দিন আহমেদ মাসুম তালুকদার , আঠার গাছিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. হারুন অর রশিদসহ সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। বরগুনার আমতলী উপজেলার তিন ইউনিয়নের ফসলী জমির উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সুবন্ধী খাল কচুরীপানার জটে বর্তমানে মৃতপ্রায় অবস্থায়। পানির প্রবাহ নিয়মিত না থাকায় প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকা জুরে বয়ে যাওয়া এখালে কচুরীপানা নষ্ট হয়ে একদিকে যেমন দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে কৃষক, মৎস্যজীবিদের জিবীকা নির্বাহ কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। গলাচীপার নদী মোহনা থেকে উৎপত্তি হওয়া এ খালটি থেকে কুকুয়া, চাওড়া, চন্দ্রা, হলদিয়া, লক্ষ্মী খাল, কাউনিয়া সহ প্রায় ৮/১০টি শাখা প্রশাখায় পানি প্রবাহিত হয়।
সরেজমিন দেখা গেছে কচুরীপানার জট তীব্র আকার ধারন করায় নৌ চলাচল একবারে বন্ধ রয়েছে। ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে। এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তি অপরিকল্পিতভাবে ¯¬ুইজ গেট আটকিয়ে মাছ ধরছে। এ কারনে নুন্যতম পানির প্রবাহও বন্ধ রয়েছে। পানি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মাছ মরে ভেসে উঠছে। খালের মাছের উপর নির্ভরশীল প্রায় হাজারো জেলের যেমন দুচোখ অন্ধকার তেমনি পানি প্রবাহ না থাকায় কৃষকেরা সেচ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এর দুই পারের চাওড়া হলদিয়া ও আমতলী ইউনিয়নের প্রায় ১লক্ষ মানুষের প্রায় ৩হাজার একর জমির ফসল ফলাতে কৃষকদের সেচ সমস্যার অন্ত নেই। নৌপথে জনচলাচল বিঘিœত হওয়ার পাশাপাশি শুস্ক মৌসুমে গরু মহিসের তেষ্টা মেটাতে সমস্যায় পরতে হচ্ছে। এমনকি কেউ গোসলও করতে পারছে না। চাওড়া ইউনিয়নের ভুক্তভোগী কৃষক আব্দুর রব , আলী, আবুল হালদার, রফিক ও নসু ,মোজাম্মেলসহ আরও অনেকে জানান পানি প্রবাহ অনিয়মিত থাকায় খালে কচুরিপানার সৃষ্টি হয়ে পানি নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষি ফসলের জন্য বিখ্যাত এ অঞ্চলে আর ফসল হয়না ।চাওড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান বাদল খান জানান, বর্তমানে খালের যে অবস্থা তাতে কৃষকদের সমস্যার কোন অন্তনেই। স্থানীয়রা বলেন ২ ব্র্যান্ডের স্লুইজে কৃষকের তেমন উপকারে আসছেনা সুবন্ধি বাঁধটি চাওড়া,হলদিয়া, কুকুয়া বাসীর জন্য মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে ।

বিভাগীয় কমিশনার মো. শহিদুজ্জামান স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বক্তব্য শুনে , সমস্যা সমাধানের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন ।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply