ঢাকা অফিস
গত ছয় মাস পূবে সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হাব এর বর্তমান কমিটি নির্বাচিত হয়। ৫ আগস্ট এর পর সভাপতি ও একজন সদস্য পদত্যাগ করলে গঠনতন্ত্র মোতাবেক সর্ব সম্মতি ভাবে কমিটি পুনঃগঠন করা হয়। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় মাত্র দুইজন পতিত সরকার এর অনুসারীর মিথ্যা অভিযোগ এর প্রেক্ষিতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের লুকিয়ে থাকা ফ্যাসিস্ট সরকারের অনুসারীদের সহযোগিতায় অন্যায় ভাবে হাব এ প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে।শনিবার ২৬ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে হাব এর মানববন্ধনে মোবারক উল্লাহ এসব কথা বলেন।
মোবারক উল্লাহ আরো বলেন, হজ ২০২৫ সালের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বাংলাদেশের প্রায় ৯৫ ভাগ হজযাত্রী বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করেন। এই বিপুল সংখ্যক হজ যাত্রীর সমন্বয়হীনতা দেখা দিবে এবং হজ ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলা দেখ দিবে, সরকার বিব্রত অবস্থায় পড়বে। হজ যাত্রীরা মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তাই সাধারণ হজ এজেন্সি মালিকদের প্রাণের দাবি হলোঃ
১) অনতিবিম্বে প্রশাসক নিয়োগের আদেশ বাতিল করতে হবে এবং নির্বাচিত কমিটি পুনঃ বহাল করতে হবে।
২)হজ যাত্রীদের বিমান ভাড়া যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত ভাবে নির্ধারণ এবং থার্ড কেরিয়ার ওপেন করতে হবে।
৩) হজ প্যাকেজ মূল্য সহনীয় পর্যায়ে নির্ধারন করতে হবে।
৪) নিবন্ধনের সময় তিন লক্ষ টাকার পরিবর্তে শুধুমাত্র বিমান ভাড়া জমা দিয়ে নিবন্ধন করার সুযোগ দিতে হবে।
৫) রাজকীয় সৌদি সরকার এর নিবন্ধিত সকল মোয়াল্লেম উন্মুক্ত করতে হবে, যাতে কারো কোনো রকম সিন্ডিকেট গড়ে না উঠে।
৬ )হজ কার্যক্রম থেকে ফ্যাসিস্ট সরকারের অনুসারী দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করতে হবে।
আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রশাসক নিয়োগ বাতিল না করলে আমরা হজ যাত্রী ও এজেন্সি মালিক বৃন্দ কাফনের কাপড় পরে রাজপথে নামার কর্মসূচি ঘোষণা করবো।
এই মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মোবারক উল্লাহ( শিমুল), খালেক আহমেদ বুলবুল, জাহিদ হাসান, মাওলানা হানজালাল, মাওলানা আব্দুল কাদের মোল্লা , মোহাম্মদ মাসুদ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।