১০ মে ২০২৪ / ২৭শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / বিকাল ৪:০৯/ শুক্রবার
মে ১০, ২০২৪ ৪:০৯ অপরাহ্ণ

একজন বাঙালি সচিবও মুক্তিযুদ্ধে যাননি

     

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান দখলদার বাহিনীর যারা সহযোগী ও অনুগত ছিলেন তাঁদের মধ্যে পূর্ব-পাকিস্তান সরকারের বেসামরিক প্রশাসনের ১৪ সচিবসহ অফিসার ছিলেন ২৬৭ জন। একজন বাঙালি সচিবও মুক্তিযুদ্ধে যাননি।

বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রেক্ষাপট, পরিণতি ও আগামীর বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। শনিবার(১৯ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম – মুক্তিযুদ্ধ ৭১।

সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের কার্যনির্বাহী সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল আলমের সভাপত্বি মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার(অব.), এসময় আরো বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাষ্টি মুক্তিযোদ্ধা ডা. সারওয়ার আলী, শিক্ষাবিদ ও নারী নেত্রী অধ্যাপক মাহফুজা খানম, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান, ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী, সাবেক সচিব মুক্তিযোদ্ধা আবু আলম মোহাম্মদ শহীদ খান প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, পুলিশে ডিএসপি থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন ১০৪ জন। সশস্ত্র বাহিনীর ছিলেন ৯৫ জন অফিসার, তাদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশে ছুটি ভোগ করেছেন। অবাধ সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সুবিধাবাদী চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কারণে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়নি।

বঙ্গবন্ধু হত্যার মাধ্যমে দেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ফিরে এসেছে উল্লেখ করে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বঙ্গবন্ধুর রক্তের ওপর পা রেখে ক্ষমতায় আসা প্রথম সামরিক শাসক মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, দর্শন, চিন্তা, চেতনা, ইতিহাস ও ঐতিহ্য সামরিক আদেশ দ্বারা সংবিধান থেকে বাতিল করে দিলেন। একাত্তরে পাকিস্তানের সহযোগিরা প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপিসহ রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের সর্বত্র চালকের আসনে অধিষ্ঠিত হলেন। জামায়াত, রাজাকার, আলবদরসহ, একাত্তরের ঘাতকেরা রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে ফিরে এলেন। ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতি ফিরে এলো। মধ্যপ্রাচ্যের পেট্রোডলারের সহযোগিতায় দেশের শহর, বন্দর, গ্রাম-গঞ্জে, ছোট-বড় মাদ্রাসার ছদ্মবেশে চরম উগ্রবাদিদের প্রতিপত্তি ও বিস্তার ঘটতে থাকে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সম্প্রদায়িক সহিংসতার শিকার হয়ে সংখ্যালঘুরা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply