সমাজবিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন বলেছেন, এম ইদ্রিস বি.কম অসাধারণ রাজনৈতিক গুণাবলী সম্পন্ন একজন নেতা ছিলেন। শত কষ্ট–ত্যাগ নির্যাতন সয়ে সারাজীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে সমুজ্জল থেকে কর্মীদের পাশে থেকেছেন। তিনি সাধারণ জীবন যাপনে অভ্যস্ত ছিলেন। তিনি এক অসাধারণ নেতা ছিলেন। কর্মীদের অত্যন্ত দরদ দিয়ে ভালোবাসতেন। ইদ্রিস বি.কমের মতো ত্যাগী নেতাদের মেধা–শ্রমে আওয়ামী লীগ আজকের শক্ত অবস্থানে এসেছে। একজন সাচ্চা আদর্শিক রাজনীতিকের যে গুণাবলী থাকা উচিত যেমন– বিনয়, সততা, যোগ্যতা, পান্ডিত্য ও আপোষহীনতা সব তার মাঝে ছিল। তার শূণ্যতা আমরা পূরণ করতে পারিনি, পারবো না।
২২ জুলাই শনিবার বিকেল ৪টায় সংগঠনের আন্দরকিল্লাস্থ কার্যালয় প্রাঙ্গণে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংগঠনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক এমপি এম. ইদ্রিস বি.কমের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সভাপতির বক্তব্যে দক্ষিণ জেলা আ. লীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ইদ্রিস বি.কম অর্থের লোভে পড়ে কখনো নীতি ও আদর্শচ্যুত হননি। ইদ্রিস বি.কমদের অনুসরণ করে এই দলকে নিরাপদ রাখতে হবে।
সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, দলে পদ লাভ করা আর নেতা হওয়া এক কথা নয়। ইদ্রিস বি.কম’র একজন গুণী রাজনীতিবিদ হিসাবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দায়িত্ব নিয়ে সফলতার পরিচয় দিয়েছেন। তার অবদান আমাদের পাথেয় হয়ে আছে। বিশেষ করে আওয়ামী রাজনীতিতে নতুন যারা আসছে তাদের মেধা মননে দেশকে ধারণ করতে হবে এবং ইদ্রিস বি.কমদের মতো নেতার রাজনীতি হতে শিক্ষা নিতে হবে।
স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা আ. লীগ নেতা এড. মির্জা কছির উদ্দিন, এড. জহির উদ্দিন, প্রদীপ কুমার দাশ, মোছলেহ উদ্দিন মনসুর, খোরশেদ আলম, আবু জাফর, নুরুল আবছার চৌধুরী, এড. মুজিবুল হক, আবদুল হান্নান চৌধুরী মঞ্জু, এড. আবদুর রশিদ, মোস্তাক আহমদ আঙ্গুর, আবুল কালাম আজাদ, বাঁশখালী আ. লীগ সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল গফুর, চন্দনাইশ আ. লীগ সাধারণ সম্পাদক আবু আহমদ জুনু, সাতকানিয়া পৌর মেয়র মোহাম্মদ জোবায়ের, দক্ষিণ জেলা কৃষকলীগ সভাপতি আতিকুর রহমান চৌধুরী, চৌধুরী আবুল কালাম আজাদ, সুরেশ দাশ, নাছির উদ্দিন, খালেদা আক্তার চৌধুরী, জীবন আরা বেগম, কোহিনুর আখতার, আমির উদ্দিন চৌধুরী, পরিবারের পক্ষ থেকে মুহাম্মদ হাছান প্রমুখ।